আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
আলু ও বেগুন দিয়ে চিতল মাছের চচ্চড়ি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। আমার মনে হয় মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হ্যা তবে সবাই সব মাছ খায় না। যাইহোক কয়েক দিন আগে আমাদের দুটি চিতল মাছ এনেছে। আসলে মাছটি স্বাদে ভরপুর কিন্তু মাছে রয়েছে অনেক কাঁটা।তাই বাসার অনেকেই খেতে চাই না। তবে আমার কাছে ভালো লাগে। আসলে কাঁটা যুক্ত মাছ খেতে একটু সময়ের ব্যাপার। আসলে কাঁটা ছাড়াতে লাগে তাই সময় নিয়ে খাওয়া উচিত। তবে যাইহোক চিতল মাছের চচ্চড়ি বেশ মজা হয়েছে। আসলে আগে কয়েক দিন এই মাছগুলো ভুনা করেছিলাম তবে গতকাল চচ্চড়ি করেছি।আমার মনে হয় ভুনার থেকে চচ্চড়ি বেশি ভালো লেগেছে। আপনারা চাইলে এভাবে রান্না করে খেতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
১.চিতলমাছ
২.আলু ও বেগুন
৩.মরিচ ফালি
৪.পিঁয়াজ কলি ও পেঁয়াজ কুঁচি
৫.হলুদ ও ধনের গুঁড়ো
৬.ধনের পাতা
৭.লবন ও তেল
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে আমি আলু ও বেগুন গুলো কেটে নিয়েছি। তারপর তরকারি গুলো কেটে করে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর কড়াই হালকা গরম হয়ে আসলে তেল দিয়ে দিলাম। এখন তরকারি গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৩
তারপর পেঁয়াজকলি, পেঁয়াজ, হলুদ, ধনের গুঁড়ো ও মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৪
মাছগুলো দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে হালকা পানি দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব।ঢাকনা খুলে কিছু ধনের পাতা কুঁচি দিয়ে দেব।
ধাপ-৫
ধনের পাতা দিয়ে আরো কিছু সময় রান্না করে নেব।এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব ।এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আলু ও বেগুন দিয়ে চিতল মাছের চচ্চড়ি।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম
@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
চিতল মাছে মূলত এই একটাই সমস্যা কারণ এই চিতল মাছে অনেক বেশি কাটা থাকে যার কারণে ছোট বাচ্চারা খুব একটা বেশি এই মাছ খেতে চায় না। কয়েকদিন আগে দুটো চিতল মাছ নিয়ে এসেছিল এবং আপনি সেই চিতল মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আলু এবং বেগুনের সংমিশ্রণে। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আলু বেগুন দিয়ে চিতল মাছের চচ্চটি রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে আপনার বাসায় দুটি চিতল মাছ এনে ছিলো, আসলে বাসার কেউ এই চিতল মাছ খায় না কাটা আছে বলে। আসলে এই মাছগুলো খেতে হয় একটু সময় নিয়ে। তাহলেই কাটার ভয়ে থাকে না। আসলে কাঁটা যুক্ত মাছ অনেক সময় গলায় আটকে যায় তাই ভয় লাগে।সময় নিয়ে আসতে আসতে খেলে কাটার সমস্যা থাকে না। আপনার রেসিপি পরিবেশন কিন্তু অসাধারণ হয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কাটার জন্য খেতে ইচ্ছে করে না,কিন্তু মাছ অনেক মজার। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলো এবং বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার চিতল মাছ চচ্চড়ি রেসিপি দেখে বেশ লোভ লাগছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আলু ও বেগুন দিয়ে চিতল মাছের চচ্চড়ির চমৎকার একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরির বর্ণনা গুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং একই সাথে রেসিপি তৈরির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলু এবং বেগুন দিয়ে চিতল মাছ চচ্চড়ি দারুন একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই রেসিপিটা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। একটু বেশি পরিমাণে মরিচ ব্যবহার করলে এই রেসিপি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়।
মাছ ছাড়া তো আমাদের একদিনও চলে না। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন চিতল মাছে এত বেশি কাটা যে বাচ্চাদের খাওয়ানো খুবই মুশকিল। কাটার জন্য অবশ্য আমারও খেতে ভালো লাগে না। কিন্তু যে কোন মাছের চচ্চড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার চিতল মাছের কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
আপনি ঠিকই বলেছেন যে কোন মাছের চচ্চড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালে বিভিন্ন সবজি পাওয়া যায় এসব সবজির মধ্যে আলু বেগুন অন্যতম। আপনি আজকে আলু এবং বেগুন দিয়ে চিতল মাছের চচ্চড়ি করেছেন। আপনার রান্না দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্নাটি কতটা সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার প্রত্যেকটা ধাপগুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে চিতল মাছের মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন।
এরকম রেসিপি আমারও খুব প্রিয় তবে অনেক দিন শীতল মাছ খাওয়া হয় না।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল খেতে।
জি ভাই অনেক মজার হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে
আলু বেগুন ও চিতল মাছের চচ্চড়ি দেখিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে। আলু বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আলু বেগুনের তরকারি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে খুব সুস্বাদু লাগছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সত্যি আপু আলু বেগুনের তরকারি অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
আলু,বেগুন, পেঁয়াজ কলি,ধনে পাতা দিয়ে দারুণ সুন্দর রেসিপি করেছেন মজাদার চিতল মাছ দিয়ে আমরা সাধারণত এরকম সবজি দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি খেয়ে থাকি কিন্তুু আপনি দারুণ সুন্দর করে বড়ো চিতল মাছ দিয়েও সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন যা খুব ভালো লাগলো আমার।ধাপে ধাপে চমৎকার করে রেসিপিটির রন্ধন প্রনালী তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।