জেনারেল রাইটিং দুঃখের পরে সুখ আসে
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
দুঃখের পরে সুখ
বরাবরের মত আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে প্রতি দিন চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে আসতে।সেই চেষ্টা থেকে আজ ও এসেছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। ব্লগটি হলো জেনারেল রাইটিং"দুঃখের পরে সুখ "।আসলে এর আগে আমি একটা জেনারেল রাইটিং লেখেছি। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সুন্দর সুন্দর জেনারেল রাইটিং লেখেন, তাদের দেখে আমি ও লেখা শুরু করলাম।এটা আমার দ্বিতীয় লেখা, আগের লেখাটা আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আজ ও আবার আসলাম আরো একটা লেখা নিয়ে। এখন থেকে চেষ্টা করব প্রতি সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং লেখার জন্য । আপনাদের ভালো লাগলে হয়তো আবার নতুন লেখা নিয়ে আসব।তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
সাগর এক দরিদ্র পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছে।সাগরের বাবা দিন আনে দিন খায়।সাগর ও তার এক বোন আছে। সাগর বড় আর সাগরের বোন ছোট সাগর যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে আর সাগরের বোন থ্রিতে পড়ে, তখন সাগরের বাবা মারা যান।সাগরের বাবা মারা যাবার কয়েক দিনের মধ্যেই সাগরের দাদি তার মাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সাগরের মা, সাগর ও তার বোনকে নিয়ে মহা সাগরে পড়ল।তবে সাগর ও সাগরের বোন দুজনেই বেশ সুন্দর ও পড়াশোনায় অনেক ভালো।
অবশেষে সাগরের মা বাধ্য হয়ে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। তারপর শহরে একটা ছোট বাসা ভাড়া করে সাগরের মা। তারপর ডালির মেলে চাকরি নেয় সাগরের মা। এভাবে চলতে থাকে তাদের জীবন। অনেক কষ্ট করে সাগরকে এস এসসি পাশ করাল।সাগর এস এসসি পাশ করে টিউশনি করে তার পড়াশোনা চালায়। সাগরকে পড়াশোনা করতে এক পর্যায়ে যুদ্ধ করতে হয়েছে। এমনি দিন গিয়েছে সাগর না খেয়ে পড়াশোনা চালিয়েছে।সাগর ও তার বোনের খবর তার দাদা দাদি কখনো নেয়নি।
এভাবে সাগর নিজে পড়ে ও তার বোনকে পড়ায়।আস্তে আস্তে সাগরের টিউশনি আরো বেড়ে গেল।সাগর এইচ এসসি পাশ করে বিভিন্ন জায়গায় পরিক্ষা দিতে লাগল।এদিকে ভর্তি পরিক্ষা অন্যদিকে চাকরির পরিক্ষা। টাকার অভাবে কোচিং করতে পারেনি তাই সাগর কোন ভার্সিটিতে চান্স পায়নি।তবে সাগর হাল ছেড়ে দেয়নি। অবশেষে হিসাববিঙ্গান নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। এদিকে নিজের প্রাইভেট পড়া ও অন্যদিকে বাচ্চাদের পড়ানো সব মিলে সাগরকে অনেক পরিশ্রম করতে হলো।তা ও সাগরের ইচ্ছে সে সফল হবে, তার মার সম্মান ফিরিয়ে দেবে।এখন সাগর মাষ্টার্স শেষ করলো হিসাববিঙ্গানে। বেশ ভালো একটা রেজাল্ট করলো সাগর।
কিছু দিনের মধ্যে সাগর ব্যাংকে ম্যানেজারের পোস্টে চাকরি পেল।এদিকে সাগরের বোন ভালো সাবজেক্ট এ পড়াশোনা করছে।এখন সাগর সফল, তার মাকে নিয়ে ফ্লাটে থাকে।সাগর তার মাকে নিয়ে তার দাদির বাড়িতে গিয়ে প্রামাণ করে দিল তার মা নির্দোষ। সত্যি এখন সাগরের পরিবারের সুখের শেষ নেই। আসলে সুখ দুঃখ একে অপরের পরিপূর্ণ। দুঃখ আছে বলেই সুখের এত দাম। কারো জীবন যেমন শুধু সুখে যায় না আবার কারো জীবন তেমনি দুঃখে যায় না।যাইহোক সাগরের জীবন দুঃখ ভরা ছিল কিন্তু সাগর দুঃখকে জয় করতে পেরেছে। আসলে মানুষ চেষ্টা করলে সব পাবে। এটা চিরন্তন সত্যি দুঃখের পরে সুখ আসে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
বিষয় | দুঃখের পরে সুখ |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
এজন্যই তো রবি ঠাকুর বলেছেন মেঘ দেখে কেউ করিস নি ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে।
বিপদে ধৈর্য ধারণ করায় বুদ্ধিমানের কাজ।
ধৈর্যধারণ করলে অবশ্যই দুঃখের পরে সুখ অনিবার্য।।
জি ভাইয়া সবুরে মেওয়া ফলে, ধন্যবাদ আপনাকে।
চিরন্তন একটি বাস্তব কথা আপনি লিখেছেন আসলেই দুঃখের পরে সুখ আছে এবং সুখের পরে কষ্ট আসে।পরিশ্রম হচ্ছে সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। পরিশ্রম করে সাগরের মা ও সাগর নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছেন। তারা তার দাদিকে তার প্রমাণ দেখিয়ে দিতে পেরেছেন তার মা ছিল নির্দোষ ধন্যবাদ আপু।
জি আপু পরিশ্রম হলো সৌভাগ্যের চাবিকাঠি, পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আসলে এখানে সাগরের অদম্য মনোবল এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে সে দারুণভাবে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আর মানুষের জীবনে এভাবেই দুঃখের জীবন পাল্টিয়ে সুখের জীবন শুরু হয়। দারুন একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া দুঃখের জীবন শেষ হলেই সুখের জীবন শুরু হবে এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও কখনো জেনারেল রাইটিং লিখিনি, তবে আপনার এটা দ্বিতীয় জেনারেল রাইটিং দেখে ভালো লাগলো। সত্যিই আমার বাংলা ব্লগের সদস্যরা খুব সুন্দর সুন্দর জেনারেল রাইটিং লেখেন। সত্যিই সাগর অনেক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা করে শেষ পর্যন্ত একটি ভালো পোস্টে চাকরি পেল এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো ।ঠিক বলেছেন আপু দুঃখ চিরকাল মানুষের জীবনে স্থায়ী হয় না তেমনি সব সময় যে মানুষ সুখী থাকবে এমন কোন কথা নেই, সুখ - দুঃখ একে অপরের পরিপূরক ।একটি যাবে অপরটি আসবে। সাগর যে তার দুঃখে ভেঙে না পড়ে শেষ পর্যন্ত নিজের চেষ্টায় সফল হতে পারল ও তার মাকে নির্দোষ প্রমাণ করল এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। আপনার জেনারেল রাইটিং টি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো আপু।
জি আপু সাগর তার মাকে নিদোষ প্রমাণ করতে পেরেছে এটাই অনেক, তার তার সফলতার জন্য সে ভালো কিছু করতে পেরেছে। ধন্যবাদ আপু।
সাগরের মায়ের সাথে যেটা ঘটেছে সেটা অনেকের সাথে ঘটে। আসলে মানুষ দিন দিন স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। সাগরের দাদা দাদির উচিত ছিল সবাইকে বাড়িতে রেখে সাপোর্ট দেওয়া। যাইহোক সাগরের মায়ের এবং সাগরের কষ্ট হলেও তারা সফল হয়েছে এটা খুব ভালো লেগেছে। আসলে পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। নতুন কোন গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এখন মানুষ সার্থপর বেশি, জি ভাইয়া দোয়া করবেন যেন ভালো ভালো গল্প নিয়ে আসতে পারি।