সাবেক মন্ত্রী খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের বাড়ি ঘোরাঘুরি ১ ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটি ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ কয়েক দিন ধরে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে যাচ্ছি। তারপরে ও কমিউনিটির কাজ গুলো করার চেষ্টা করি। যাইহোক কয়েক দিন আগে আমরা গিয়েছিল সাবেক মন্ত্রী খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর বাড়িতে। আসলে অনেক আগে একদিন গিয়েছিলা৷ এবার পরিবারের সবাই মিলে মন্ত্রীর বাড়ির পাশে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম এখান থেকে আবার মন্ত্রীর বাড়ি ফিরে এলাম। আসলে সবাই মিলে এভাবে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে। বাচ্চারা তো অনেক আনন্দ পায় কোথাও ঘুরতে গেলে। আসলে ঘোরাঘুরি করলে জ্ঞান অভিজ্ঞতা দুটিই হয়।সত্যি আমাদের সবারই উচিত মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা প্রথমে মেইন গেট দিয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করলাম। আসলে অনেক আগে যখন গিয়েছিলাম তখনকার পরিবেশ আর এখনকার পরিবেশ দিন আর রাত।সত্যি মানুষ বলে না কারো পোষ মাস আবার কারো সর্বনাশ । আসলে মন্ত্রী যখন ছিল তখন তার বাড়িতে লোকজনের অভাব নেই। তারপর আবার সব সময় পুলিশ পাহাড়ায় ছিল। আসলে রাজনীতি এমনি এক সময় রাজা আবার এক সময় পূর্জা। যাইহোক রাজনীতি নিয়ে কথা নাই বা বলি।যাইহোক আমরা যখন ভিতরে প্রবেশ করলাম সত্যি চারপাশ দেখে মন প্রাণ জুড়ে গেল। আসলে পুকুরের ভিতরে হাঁস গুলো কতো সুন্দর ভেসে বেড়াচ্ছ।সত্যি হাঁস গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।
তারপর বাচ্চারা নিজের ইচ্ছে মতো ঘুরতে থাকলো। আসলে বিকেলের পরিবেশ অনেক সুন্দর থাকে। এদিকে তেমন শীত ও নয় গরম ও নয় নাতিশীতোষ্ণ ছিল দেখে মনে হচ্ছিল আরো বেশি সুন্দর। সত্যি তারপর চারপাশে সবুজের সমরোহ ছিল। তারপর বাচ্চারা নিজেদের ইচ্ছে মতো ঘোরাঘুরি করেছিন। তবে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল পুকুর পাড়ের গাছের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকতে। সেখানে সবাই অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।আসলে সবুজে ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশে। আমরা সেখানে যাই না কেন সবুজের মাঝে থাকতেই বেশি ভালো লাগে।
তার পর আমরা চলে আসলাম মন্ত্রীর কবর দেখার জন্য। আসলে মন্ত্রীর জন্য কবর তৈরি করে রেখেছে। প্রথম দেখে ভেবেছিলাম হয়তো মসজিদ হবে।কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারলাম এখানে মন্ত্রীকে কবর দেওয়া হবে। যাইহোক মন্ত্রীর মূর্তটি কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তারপর আরো কিছু মূতি ছিল যা দেখার মতো। তবে মূর্তির ভিতরে মানে নিচে বেশ পানি রয়েছে। সেখানে বাচ্চারা গিয়ে অনেক সময় ধরে দেখছিল। কিছু সময় দেখার পরে আমার মেয়ের হাতের খেলনা পানির ভিতরে পরে গেল। এদিকে আমরা অনেক পাশে ঘুরছি। তারপর ওরা চিৎকার শুরু করে দিল। আসলে পানির একপাশে ঝুলে ছিল খেলনাটি।অবশেষে লাঠি দিয়ে তুলতে পেরেছি।মন্ত্রীর বাসার ভিতরে রয়েছে ছোটখাটো পার্ক। সেখানে সবাই সব সময় ডুকতে পারে না।তবে আমাদের লোক থাকায় পার্কের ভিতরে ডুকিয়ে দিল।পার্কের ভিতরে গিয়ে আমরা কি কি দেখলাম পরবর্তী পর্বে জানাব।সত্যি আমরা অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
(চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
.
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনারা দাওয়াত খেতে গিয়ে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের বাড়ি ঘোরাঘুরি করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং সেখানকার দারুণ কিছু ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখছি। যদিও শেষ পর্যায়ে এসে আপনার মেয়ের খেলনা পানিতে পড়ে গিয়েছিল অবশেষে সেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন। পার্কের ভেতরে গিয়ে কি কি দৃশ্য দেখলেন পরবর্তী পর্বে অবশ্যই শেয়ার করবেন অধীর আগ্রহে বসে থাকলাম। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া পরবর্তী পর্ব তারাতাড়ি নিয়ে আসার চেষ্টা করব, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্! সাবেক মন্ত্রী খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বাড়ি তো চমৎকার ভাবে সাজানো। একেবারে ছোটখাটো পার্কের মতোই মনে হচ্ছে। এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি আনন্দ করতে পারে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এমন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন আপনারা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টটি পড়ে সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সাবেক মন্ত্রীর বাড়িটি সত্যিই অনেক সুন্দর। যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাড়িটা নির্মান করতে অনেক টাকা পয়সা খরচ করে বাড়িটি সাজিয়েছে। এখন সে নেই তবে তার স্মৃতি গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আপনার মেয়েরা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছে। ধন্যবাদ।
পোস্ট পড়ে সাবলীল মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।