কঠিন ভালোবাসার গল্প তৃতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
কঠিন ভালোবাসার গল্প তৃতীয় পর্ব
শান্তার ভাই যখন শান্তাকে শামিলের সাথে সম্পর্কে কিছুতেই রাজি না সেই ক্ষেত্রে শান্তার ভাই শান্তাকে চোখে চোখে রাখল।এদিকে শান্তা ও শামিল কে পাবার জন্য অস্হির হয়ে পড়লো। আবার শামিলের বাড়ির লোকজন ও এখন শামিলকে বিয়ে দেবে না। সে শান্তা হোক বা অন্য কেউ হোক। এদিকে শামিল শান্তার ভাইয়ের সাথে বাজি ধরেছে যেকোন মূলে সে শান্তাকে বিয়ে করবেই। তাই শামিল শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।শামিলের শুধু একটাই কথা আমি শান্তাকে চাই।
শান্তাকে শান্তার ভাই ঢাকা এক কলেজে ভর্তি করে দিল যাতে শামিলের সাথে যোগাযোগ না করতে পারে। এদিকে শান্তা শামিল কে ফোনে সব বলে দেয়। শামিল একদিন তার মামার বাসার উদ্দেশ্য ঢাকা চলে গেল। শামিল শান্তাকে নিয়ে ঢাকায় ঘোরাঘুরি করতে লাগলো।এদিকে শান্তার পরিবারের কেউ জানতে পারলো না তাদের সম্পর্কে কথা। শান্তা তার ভাইকে কথা দিয়েছে সে শামিলকে ভুলে যাবে। তাই শান্তার ভাই শান্তাকে বিশ্বাস করে তেমন খোচ খবর নেই নি।শান্তা ঢাকায় তার খালামনির বাসায় থাকত।একদিন শান্তা শামিলের সাথে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা লেগে গেল।তখন শান্তার খালামনি চিন্তায় পড়ে গেল।শান্তাকে আবার শামিল তার মামার বাসার নিয়ে গিয়েছে। যদিও তার মামার বাসায় শুধু তার নানু ছিল।
শামিলের নানু বললো তুই ওকে এনেছিস কেন?তখন শামিল বললো আমি ওকে বিয়ে করব।শামিলের নানু চিন্তায় পড়ে গেল, এই ছেলে তো কথা শুনবে না। শান্তা ও আর ফিরে যাবে না। এখন শামিলের নানু বাধ্য হয়ে শামিলের মাকে ফোন দিল। তারপর শামিলের মা শামিলকে অনেক বুঝিয়ে বললো বাবা আমি তোমাকে এই মেয়েই এনে দেব, তুই ওকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আই। শামিল তারমাকে বললো সত্যি আমি দুই মাস দেখবো তুমি যদি না এনে দাও তাহলে আমরা নিজেরাই বিয়ে করে নেব।শামিলের মা সব শর্তে রাজি।এদিকে শান্তা বাসায় যেতে ভয় পাচ্ছে। তখন রাত আটটা বাজে। এমন সময় শান্তার খালামনি শামিলের ফোনে ফোন দিল।শামিল ফোন রিসিভ করে বললো শান্তাকে নিয়ে এসেছি এখন পৌঁছে দেব।আসলে শান্তার খালামনি বাসায় ছোট একটা বাচ্চা নিয়ে একাই থাকে। তার স্বামী বাইরে থাকেন।তারপর রাত ১০ টার সময় শামিল শান্তা বাসায় পৌঁছে দিল।
বাসায় পৌঁছানোর সাথে সাথে তার খালামনি অনেক রাগ করলো। আসলে ভালোবাসা এমনি জিনিস, ভালোবাসার মতো ভালোবাসলে কখনো ভুলা যায় না। তারপর শান্তা তার খালামনিকে সব খুলে বললো।এদিকে শান্তা ও শামিল দুজন দুজনকে ছাড়া বাঁচবে না। তাই দুজনের পরিবার মেনে না নিলে তারা দুজনেই একাই বিয়ে করবে। এখন শান্তার খালামনি শান্তার বাবা মাকে সব বুঝিয়ে বললো তখন শান্তার বাবা রাজি হলো। আবার এদিকে শামিলের পরিবারের লোকজন মিলো সিদান্ত নিল শামিলের সম্পর্ককে মেনে নেবে।এভাবে দুই পরিবার মিলে সিদান্ত নিল শামিলও সান্তার বিয়ের পাকা কথা দিয়ে রাখবে তবে বিয়ে হবে পরে। একথা শুনে শান্তার ভাই রেগে অস্হির হয়ে পড়লো। যদিও শান্তার ভাই দেশে ছিল না। একথা শুনে সে বিদেশ থেকে আসার জন্য টিকিট খুঁজতে লাগলো।(চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনার গল্পের তৃতীয় পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে শান্তা ও শামিল এর প্রেমের কাহিনীটা সত্যিই অসাধারণ। আর আমার এ ধরনের গল্প গুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে। আপনার গল্পের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।