মেয়ের জন্মদিনের কাটানোর মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে গতবুধবারে আমার ছোট মেয়ের জন্মদিন ছিল। এবার ছয় বছর পূর্ণ হলো, তবে তেমন করে জন্মদিন পালন করা হয়নি শুধু বড় জনের জন্মদিন করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। তাই এবার ছোট জন বলছে শুধু আপু গিফট পায় আমাকে দেয় না, এবার আমার জন্মদিন পালন করতে হবে তারজন্য ছোট এই আয়োজন। যদি ও ততো বড় করে করা হয়নি তবে মোটামুটি লোকজন হয়েছে।বিশেষ করে তাদের বন্ধু বান্ধবী থাকলেই তাদের কেক কাটা হয়ে যাবে। তবে তাদের প্রয়োজন গিফটের, তেমন কোন গিফট দরকার নেই ছোট খাটো গিফট হলেই চলবে।তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
কিছু কিছু লোকজন আগেই এসেছে। আসলে বাচ্চাদের তো দরকার কেক অন্য খাবারের প্রতি তাদের কোন লোভ নেই। তাই বাচ্চারা সবাই এসে বেলুন ফোলাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমার মেয়ে ও আমার ভাতিজা ফ্রিজ থেকে বারবার কেক বের করে দেখতে লাগলো।আবার মাঝে মাঝে কেক পাশ থেকে খেয়ে দেখতে চায়।তারপর সব বাচ্চারা সাজ গোছ করলো। আসলে আমি তো অনেক ব্যস্ত ছিলাম তাই তেমন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি।মাঝে মাঝে এসে বাচ্চাদের খবর নিতাম। যাইহোক যখন দুপুর দুটো বেজে গেল তখন সবারই ক্ষুধা পেয়ে গেল। তারপর আমার এক জাকে বললাম আপনি খাবার নিয়ে আগে বাচ্চাদের দিয়ে দিন।
তারপর আমার জা সব প্রকার খাবার টেবিলে নিয়ে আসলো।আমি খাবার গুলো পাতিলে থেকে বেরে দিতে লাগলাম। রান্না করেছিলাম বাচ্চাদের চিকেন বিরিয়ানির ও পায়েস সাথে সালাদ। তবে আমার মা একটা কাঁঠাল এনেছিল কাঁঠাল অনেক মিষ্টি ছিল তাই সকল বাচ্চারা বিরিয়ানির আগে কাঁঠাল খেয়েছে। আসলে ব্যস্ততার মধ্যে কোন রকম কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছি।
তারপর বাচ্চাদের খাটের ওপরে বসিয়ে দিলাম। কারণ আরো লোকজন টেবিলে বসেছিল। তবে বাচ্চারা অনেক আনন্দ সহকারে খাবার খেয়েছে। তবে বিরিয়ানিটা অনেক মজা হয়েছিল। আসলে বাচ্চাদের এই আনন্দ হাজার টাকা দিয়ে পাওয়া যায় না। যাইহোক সব বাচ্চারা অনেক মজা পেয়েছে।
()
এখন বাচ্চারা কেক সাজিয়ে বসে আছে আরো বান্ধবীর জন্য আসলেএমন কেক সামনে থাকলে ওদের আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
অবশেষে বলসব বাচ্চা মিলে কেক কাটলো। তারপর ছোটবড় সবাইকে এক পিস করে কেক দেওয়া হলো।বাচ্চারা অনেক খুশি হলো কেক পেয়ে।তারপর শুরু হলো গিফট দেওয়া।
তারপর শুরু হলো গিফট দেওয়া। আসলে শুধু বাচ্চাদের বন্ধু বান্ধবীরা মগ, গ্লাস, পেন্সিল বক্স, চকলেট ইত্যাদি দিয়েছে। আর সবাই টাকা দিয়েছে। তবে বাচ্চারা টাকার চেয়ে গিফট পেয়ে অনেক খুশি।সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে চকলেট পেয়ে।যাইহোক সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন, যেন জীবনে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ছোট্ট বুড়িকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আগামী দিনগুলো অনেক ভালোভাবে কাটুক। যদিও জন্মদিনের এই ছবিগুলো আপনার ফেসবুকে দেখেছিলাম আগে। আজকে আবার আপনি সেই মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। বাচ্চাদের এই জন্মদিনের আনন্দ গুলো চোখে দেখার মত। ধন্যবাদ আপু আপনার মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু এই আনন্দ গুলো চোখে পড়ার মতো, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার মেয়েকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
তার আগামী দিনগুলো সুখকর হোক এই কামনা করছি।
সবথেকে বড় বিষয় বাচ্চাদের চোঁখে মুখে আনন্দের একটা ছাপ ছিল। পুরো অনুষ্ঠানটি দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।
দোয়া করবেন যেন আগামি দিন গুলো সুন্দর, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেনাকাটার কিছু মুহূর্ত। আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আপনি বেশ কিছু কেনাকাটা করেছেন আপু। দুপুরবেলায় খাবারগুলো বাচ্চাদের অনেক সুন্দর ভাবে খাইয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল ধন্যবাদ আপনাকে।
মেয়ের জন্মদিনের আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগলো আপু।এটা ঠিক বাচ্চারা কেকের প্রতি খুব দুর্বল থাকে অন্য খাবারের চাইতেও।যাক সব বাচ্চারা মজা করেছে এটা খুব ভালো হয়েছে।এই আনন্দটুকুই ওদের স্মৃতিতে রয়ে যাবে।সবার জন্য দোয়া রইলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
আপু আপনার মেয়ের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। সন্তানের জন্মদিন আসলে বাবা মায়েরা সত্যিই অনেক ব্যস্ত হয়ে ওঠে তাদের জন্মদিনটি পালন করার জন্য। সেক্ষেত্রে দেখছি আপনিও আপনার মেয়ের জন্মদিন পালন করার জন্য চিকেন বিরিয়ানি ও পায়েস রান্না করে বাচ্চাদের খুব যত্ন সহকারে খাইয়েছেন। এত কিছু করতে গেলে তো একটু ব্যস্ততা থাকবেই। আর এই ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আপনার মেয়ের জন্মদিনের কিছু ফটোগ্রাফি ও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন যা পড়ে খুব ভালো লাগলো। মেয়ের জন্মদিনের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া বাচ্চাদের নিয়ে আর পারা যায় না, তাদের জন্ম দিন করতেই হয়।আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল ধন্যবাদ।
বাচ্চাদের এমনই জন্মদিন পালন করলে বেশ খুশি হয়। আপনিও ছোট মেয়ের জন্মদিন পালন করলেন ছোটখাটো করে তারপরও তো সেই অনেক বেশি খুশি। অনেক ছোট বাচ্চাদেরকে খাওয়ালেন দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কেক ছোট হোক বা বড় হোক সেটা তাদের জন্য বিষয় নয় কেক কেটে আনন্দ দেওয়াই হচ্ছে মেইন উদ্দেশ্য। অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু খাওয়ার চেয়ে বাচ্চাদের আনন্দই অনেক, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার মেয়ের জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনার মেয়েকে দেখতে অনেক কিউট লাগছে। বাচ্চাদের এই আনন্দ গুলো দেখতে পেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু মেয়ের জন্মদিনে সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগার মত একটি সুন্দর মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যেখানে মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দারুন একটি আয়োজন। ছোট্ট সোনামণিদের সাথে করে সুন্দর আয়োজন করেছেন এবং সেই সমস্ত মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনার সাথে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন তাকে খুশি হলাম। আপনার বাচ্চা দুইটার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আপনি খুশি হয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।