আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সখিনার জীবনের গল্প শেষ পর্ব
source
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি সখিনার জীবনের গল্পের তৃতীয় বা শেষ পর্ব নিয়ে। আসলে সখিনা যখন জানতে পারল তার স্বামী অন্য আর একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে। তখন সখিনা কি করবে বুঝতে পারছিল না। তারপর থেকে সখিনা একটু বুদ্ধি করলো। সে তার স্বামীকে বুঝতে দিল না যে তার বিয়ের কথা সে জানে।
তাই সখিনা মনের কষ্ট মনে নিয়ে বিদেশের মাটিতে পড়ে রইল। এভাবে কয়েক দিন চলে গেল একদিন সখিনার স্বামী সখিনাকে বললো আমার জন্য কিছু টাকা পাঠাও। সখিনা এমন ভাবে বললো যে তার স্বামী কিছুই বুঝতে পারল না।আসলে সখিনার টাকা থাকা সত্ত্বেও তার স্বামীকে দিল না। এদিকে সখিনার সতীন তার স্বামীকে টাকার জন্য চাপ দিতে লাগলো। কারণ তার কসমেটিক কিনতে হবে। সখিনার স্বামী এখন ভাবতে লাগলো সখিনার কথা। আসলে সহজে কিছু পেলে মানুষ তার মূল্য দিতে জানে না।যেমন টা করেছিল সখিনার স্বামী। সখিনাকে সহজ সরল পেয়ে ঠকিয়েছে।এদিকে সখিনা কাজ করে চলছে ঠিক কিন্তু মনের ভিতরে সব সময় দূচিন্তা রয়ে গেছে
।
সখিনা আস্তে আস্তে তার স্বামী টাকা পয়সা সব দেওয়া বন্ধ করে দেয়।এদিকে সখিনার স্বামী সবাইকে বলতে থাকে সখিনা বিদেশের মাটিতে মারা গিয়েছে কিন্তু সখিনার সাথে তার সব সময় কথা হয়।সখিনা শুধু দেশে আসার জন্য টাকা জোগাড় করছে।তার স্বামী বললো আমাকে উনারা একবারে তিন মাসের বেতন দেবে।আমি টাকা গুলো না পাওয়া পর্যন্ত তুমি একটু কষ্ট করে চলো।সখিনার স্বামী সব বিশ্বাস করল।এদিকে সখিনার সতীন তার স্বামীর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো। এভাবেই চলতে লাগলো সখিনার জীবন।
সখিনা ওর মাকে শুধু হাত খরচের কিছু টাকা দেয়। এভাবে প্রায় ছয়মাস পেরিয়ে গেল।বিদেশে সখিনা একদিন অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ল।তারপর তাকে হসপিটালে নিয়ে দেখে সখিনার ক্যান্সার হয়েছে। মালিক এ কথা সখিনাকে বললো।তখন সখিনা বললো আমার বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছে নেই, শুধু একবার আমার মাকে দেখব। সখিনা একদিন কাউকে না বলে দেশে চলে আসলো।এসে সোজা উঠল তার স্বামীর বাড়িতে উঠল।এদিকে সখিনাকে দেখে সবাই কেঁপে উঠল। আসলে সখিনার স্বামীর বাড়িতে আর একটা বউ রয়েছে।তখন সখিনা বললো ভয় পেয় না আমি থাকতে আসিনি।তবে সখিনার শশুড় শাশুড়ি সখিনাকে বলেছিল বউমা তুমি থাক আমার ছেলের সাথে। তখন সখিনা বলল না সতীন নিয়ে কখনো ঘর করা যায় না। এই বলে সখিনা তার মায়ের কাছে চলে এলো।
মায়ের কাছে এসে সখিনা সকল টাকা পয়সা সব তার মাকে বুঝিয়ে দিল।তারপর তার মাকে বললো মা আমাকে একটু আদর করো না ছোটবেলার মতো।বাবা আমাকে ডাকছে আমি বাবার কাছে যাব।সখিনার মা সখিনাকে আদর করতে লাগলো আর এর মধ্যেই সখিনা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলো।হয়তো সখিনা আরো কিছু দিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকত। আসলে শারিরীক অসুস্থতার চেয়ে মানসিক অসুস্থতা মানুষকে তারাতাড়ি মৃত্যুর কাছে নিয়ে যায়।সখিনা হাজার কষ্ট বুকে নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদয় নিল।আসলে সখিনার পক্ষে দাঁড়ানোর মতো কেউ ছিল না। সখিনার মতো এমন হাজারো সখিনা আমাদের দেশে রয়েছে। আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম
@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপনার গল্পের শেষ পর্বটি পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। যদিও আমি আপনার গল্পের প্রথম পর্বগুলো পড়েনি। সখিনা বিদেশ থেকে তার স্বামীর জন্য টাকা পাঠায়। অথচ স্বামী অন্য একটি বিয়ে করে ওয়াইফকে নিয়ে আছে। যদিও সখিনা ব্যাপারটি জানতে পেরে সত্যি অনেক কষ্ট পেয়েছে। তবে এরকম হাসবেন্ডগুলোকে ঝাঁটায় ফিটা করা দরকার। সখিনা দেশে এসে লাস্ট পর্যন্ত মারা গেল অসুস্থ কারণে। যাই হোক বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু এরকম হাসবেন্ড থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো, ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টে বেশ কয়েক জায়গায় কিছু ভুল রয়েছে। আশা করছি আরও একবার পোস্টটা পড়ে ঠিক করে নিবেন। সখিনার জীবনের গল্পের শেষ পর্বটা পড়ে অনেক খারাপ লেগেছে। আসলে আমাদের দেশে এরকম হাজারো মানুষ রয়েছে যারা এরকম পরিস্থিতির মধ্যে গিয়ে থাকে। সখিনার মৃত্যুর কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো।
আপু ঠিক করেছি,ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে দুঃখ যাদের চিরসঙ্গী তাদের কপালে দুঃখ গুলো যায় না। যা ঘটে গেল সখিনার জীবনের সাথে। অবশেষে সেই চিন্তা করতে করতে রোগে পড়ে গেলেন। সে এমন একটি রোগে পড়ে গেল যার কারণে তার মৃত্যু হয়ে গেল।একদম ঠিক বলছেন শারীরিক সুস্থতার জন্য আসলে মানসিক সুস্থতা খুবই প্রয়োজন। মানুষ মানসিক ভাবে যদি ভেঙ্গে পড়ে তাহলে আর ভালো থাকতে পারে না। অনেক ভালো লিখেছেন আপু আপনি গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
আমি সখিনার সব কয়টি পর্ব পড়েছিলাম এবং আজকে শেষ পর্ব দেখার সৌভাগ্য হল। জ্বী আপু সহজে কিছু পেলে মানুষ মূল্য দিতে জানে না। জি আপু সতীন নিয়ে ঘর করা যায় না। সখিনা কত সংগ্রাম করলো নিজের জীবন নিয়ে পরিবারকে ভালো রাখতে বিদেশ গেল এবং সেই সখিনা আজকে দেখল তার স্বামী বিয়ে করেছে। আসলে মানুষ বড়ই স্বার্থপর।অনেক খারাপ লাগল যে সখিনা বাবা মার কাছে এসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। আসলে মানুষগুলো এমন কেন। সখিনার প্রতি যদি তারা একটু ভালোবাসা দেখাত তাহলে সখিনা কত সুন্দরভাবে জীবনটা কাটাতে পারতো
সত্যি ভাইয়া সাখিনার দুঃখ দেখার মতো কেউ নেই,ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।