কঠিন ভালবাসার গল্প দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট ।
কঠিন ভালবাসার গল্প
শামিল ও শান্তার ভালোবাসার গল্প প্রথম পর্বের পর
শামিলকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হলো তখন শামিলের পরিবারের কেউ জানলো না। হঠাৎ করেই শামলের এক বন্ধু শামিলের মাকে ফোন করলো। শামিলের বন্ধুর ফোন পেয়ে শামিলের মা যেন আকাশ থেকে পড়লো।এমন কি হলো যে শামিলকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো।তারপর শামিলের মা বাবাসহ কয়েক জন হাসপাতালে গিয়ে শামিলের কাছ থেকে সব কিছু জানতে পারলো। আসলে শামিল তাদের পরিবারের কাউকে কিছু বলেনি।
তখন শামিল রাগে অস্হির হয়ে পড়লো।শামিল শুধু ভাবতে লাগল কিভাবে এর প্রতিশোধ নেওয়া যায়। আসলে শান্তা ও শামিল দুজনেই দুজনকে অনেক ভালোবাসে।তবে শান্তার ভাইয়ের শামিলকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি।ওদিকে শান্তা শামিলকে দেখার জন্য অস্হির হয়ে পড়ল।আর শান্তার ভাই শান্তাকে মেরে ঘরে বন্ধী করে রাখলো।তারপর শান্তার বাবা মা শান্তাকে বুঝিয়ে বললো, তোমার ভাই যাই বলুক না কেনো তুমি ভালো করে পড়াশোনা করো আমি তোমাকে শামিলের সাথে বিয়ে দেব।এদিকে শামিল শান্তার ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত। শামিলের চাচা একজন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। শামিলের চাচার বেশ ক্ষমতা। শামিল তার চাচার কাছে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বললো।শামিলের চাচাকে দিয়ে শান্তাকে নিয়ে আসবে।তখন শামিলের চাচা বললো এই মেয়ে আনা তেমন কোন ব্যাপার নয়। তবে এখন জিদে পড়ে আনলে তোমার ক্ষতি।
তোমার বাবাএকজন অফিসার মানুষ। আর তুমি এখনো ছোট পড়াশোনা শেষ করতে পারোনি, এখন আবার কিসের বিয়ে। চাচার মুখে এমন কথা শুনে শামিল চাচার কাছ থেকে চলে গেল। এখন শামিল মনে মনে ভাবলো শান্তার ভাইকে আমি মারব যেভাবেই হোক।যেহেতু শামিল চাচার কাছ থেকে কোন হেল্প পেল না।তাই শামিল সিদান্ত নিল সে নিজেই মারবে।এভাবে একদিন শান্তার সাথে শামিল দেখা করতে চাইলো। শান্তা ভয়ে ভয়ে শামিলের সাথে কথা বলে। শান্তার ভাই শান্তাকে বলেদিয়েছে শান্তা যদি শামিলের সাথে সম্পর্ক রাখে তাহলে অবস্থা খারাপ হবে।
কিন্তু শান্তা নাছর বান্ধা, সে শামিলকে বলেছে আমি মরে গেলেও অন্য কাউকে বিয়ে করব না। যাইহোক এভাবে তাদের সম্পর্ক ঠিক রেখে চলতে লাগল। শান্তা এখন এসএসসি পরিক্ষা দেবে ওদিকে শামিল শান্তাকে বিয়ে করবেই। কারণ শান্তাকে বিয়ে করে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে।আসলে প্রতি শোধ নিতে গেলেই তো আর নেওয়া যায় না। শান্তা এসএসসি পাশ করলো,তখন শামিল তার বাসার সবাইকে বললো সে যেকোন মূল্যে শান্তাকে চাই। আর এদিকে শান্তার ভাই বলেছে আমার জীবন থাকতে আমার বোনকে শামিলের সাথে তুলে দেব না।(চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।