আলু ও বেগুন দিয়ে মলা মাছের চচ্চড়ি || ১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো আলু ও বেগুন দিয়ে
মলা মাছের চচ্চড়ি।গতকাল অনেক বৃষ্টি হয়েছে, তাই আজ সকালে বাজারে অনেক মাছ উঠেছে। অনেক ধরনের মাছ। তাই আমাদের পাশে নদী থেকে কিছু মলা মাছ এনেছে। মাছগুলো ছিল অনেক তাজা। তাই তারাতাড়ি করে কেটে নিয়েছি। সেখান থেকে কিছু মাছ রান্না করেছি।মাছগুলো খেতে অনেক মজা। আমার বাগানের তাজা বেগুন দিয়ে এই ছোট মাছের চচ্চড়ি অসাধারণ হয়েছে। নদীর তাজা তাজা মাছ দিয়ে তাজা তাজা বেগুন রান্না করলে একবারে জমে যায়। তাহলে শুরু করা যাক আজকের রেসিপিঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মলা মাছ | পরিমাণ মতো |
বেগুন | ৪ টি |
আলু | ১ টি |
পিঁয়াজ | ১ কাপ |
কাঁচা মরিচ ফালি | কয়েকটি |
হলুদ গুঁড়ো | দেড় চামচ |
ধনের গুঁড়ো | ১ চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
ধাপ-১
প্রথমে আমি চারটি বেগুন ও একটি আলু নিয়েছি। তারপর বেগুন ও আলু ভালো করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
এখন বেগুন ও আলু গুলো কাটা হলে পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর পানি থেকে তুলে নেব।
ধাপ-৩
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর কেটে রাখা আলু ও বেগুন দিয়ে দিলাম। এখন লবন ও হলুদ দিয়ে দেব।
ধাপ-৪
এখন ভালো করে মাখিয়ে কেটে রাখা কাঁচা মরিচ ফালি ও পিঁয়াজ দিয়ে দেব।তারপর ধুয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৫
এখন তেল দিয়ে আর একটু মাখিয়ে নিলাম। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেব। এখন ঢাকনা দিয়ে বেশকিছু ক্ষণ ঢেকে রান্না করে নেব।
ধাপ-৬
পানি কমে এভাবে হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নেব। ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজার মলা মাছের চচ্চড়ি। এখন একটি প্লেটে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
আলু বেগুন দিয়ে মলা মাছ চচ্চড়ির দারুণ একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আমার ছোট মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। আর ছোট মাছ এভাবে রান্না করলে আরও বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি বলেছেন আপু ছোট মাছের চচ্চড়ি অনেক মজা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট মাছের চচ্চড়ি আমার খুব প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে আলু ও বেগুন দিয়ে মলা মাছের চচ্চড়ি তৈরি করেছেন। আসলে এই ধরনের চচ্চড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে আমার। নিশ্চয়ই আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে মনে হলো অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া অনেক মজা ও সুস্বাদু হয়েছে। প্রশংসানীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটা দেখেই মনে পড়লো। বাবা আজ সন্ধ্যেবেলা বলছিলো যে, "কাল যদি মৌরলা(মলা) মাছ আনি কুটে দিতে পারবি?" আমি বললাম, "নিয়ে এসো।"
আমার বাড়িতে সবাই ই এরকম মিছ চচ্চড়ি ভীষণ ভালোবাসে। এর সাথে পাতলা ডাল হলে আর কিছু লাগে না।আমার তো দেখেই জিভে জল আসছে।
ঠিক বলেছেন আপু মলা মাছের সাথে পাতলা ডাল অনেক মজা। এই ছোট মাছ গুলো কাটা একটু ঝামেলা তাই আরকি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃষ্টির দিনে খাল-বিলে বেশ ছোট মাছ পাওয়া যায় তাই বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছোট মাছ কিনতে পাওয়া যায় । আলু বেগুন দিয়ে মলা মাছের চচ্চড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে, আমার ছোট মেয়ে তো এই মাছের চচ্চড়ি খুবই পছন্দ করে তাই আমি প্রায়ই এই মাছ বাসায় রান্না কর।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি মাছ ছোট মাছের চচ্চড়ির রেসিপি শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যিই তো আপু এই ছোট মাছের চচ্চড়ি অনেক মজা। প্রশংসানীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যেকোনো ছোট মাছ আমার খুবই পছন্দের এবং আমাদের চোখের জন্য অনেক উপকার। মলা মাছের খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আমার মনে হয় এমন ছোট মাছের জন্য বেস্ট সবজি হল আলু আর বেগুন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ছোট মাছের জন্য বেস্ট সবজি হলো আলু বেগুন। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার অনেক প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আলু ও বেগুন দিয়ে এভাবে মলা মাছের চচ্চড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।গরম ভাতের সাথে এই রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় মোলা মাছের রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের গ্রামের পাশে ছোট একটি নদী আছে যেদিন একটু বৃষ্টি হয় সেদিন পশুর মাছ ওঠে ছোট্ট একটি বাজারে। সকালবেলা এখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়, ছোট ছোট মাছ টাটকা সবজি দিয়ে যদি চচ্চড়ি রান্না করা হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোট ছোট মাছ টাটকা সবজি দিয়ে যদি চচ্চড়ি রান্না করা হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।ধন্যবাদ
আপু আজেকে একটি কমন রেসিপি সেয়ার করেছেন। বৃষ্টি হলে এই মাছ গুলো বাজারে বেশি পাওয়া যায়। আর মলা মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী । এই মাছ গুলো সবসময় পাওয়া যায় না। গ্রামে গেলে তখন টাটকা মলা মাছটা পাওয়া যায়। সাথে বেগুন দিয়ে খুব মজা করেই চচ্চড়ি করেছেন। ধন্যবাদ অপু সেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া বৃষ্টির দিনে এই মলা মাছ গুলো অনেক পাওয়া যায় বাজারে। গ্রামেই টাটকা মাছ ও সবজি বেশি পাওয়া যায়।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।