মেয়ের স্কুলে চুরি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি অন্য রকম একটা পোস্ট নিয়ে।পোস্টটি হলো মেয়ের স্কুলে চুরি। আরো দুদিন আগে সকাল ৭.৩০ মিনিট হবে সম্ভবত একটা ফোন এসেছিল আপনাদের ভাইয়ের কাছে স্কুল থেকে। আমি তখন সকালের নাস্তা বানাই। মেয়ের পরিক্ষা চলছে স্কুলে।আপনাদের ভাইয়া ফোন পাওয়ার সাথেই চলে গেল স্কুলে।তার কিছু ক্ষণ পরে আমি আপনাদের ভাইকে ফোন দিলাম যে স্কুলে কি হয়েছে। ওপাশ থেকে বলল স্কুলে চুরি হয়েছে। আসলে আপনাদের ভাইয়া স্কুলের সভাপতি তাই প্রথম তাকেই ডাকল।আমরাও তারাতাড়ি স্কুলে চলে গেলাম, আমার মেয়ের সেই দিন ছিল বাংলা পরিক্ষা। স্কুলে গিয়ে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। এতো হতাশ বলার মতো নয়।।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
সত্যি বলতে আমি কখনো এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি হতে দেখিনি। যারা এসকল কাজ করে তাদেরকে আমি ধিকার জানায়।আসলে আমার মনে হয় যারা এভাবে জাতীয় সম্পদ চুরি করে , তারা আসলে অমানুষ।সত্যি বলতে স্কুলে গিয়ে আমার খারাপ লেগেছে। সব স্যার ম্যাডামরা অনেক দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা সকাল বেলা গিয়ে দেখে স্কুলে এই অবস্থা। তাদের স্কুলের আলমারি থেকে কিছু টাকা, তার পর কিছু বিস্কুট ছিল , রাইস কুকার ইত্যাদি চুরি করেছে। সত্যি অনেক বড় ধরনের চুরি হয়েছে। কিছু দিন আগে স্কুলটা দোতলা করেছে। স্কুলটা নতুন করার পরে স্কুলের সব কিছু একেবারে নতুন করা হয়েছে।তারা রাইস কুকারে সব সময় চা বানাই। বাচ্চাদের জন্য স্কুলে কিছু বিস্কুট বিক্রি করে,সেগুলো চোরে নিয়েছে ।
চোর গুলো লাইব্রেরিতে ঢুকে টেবিলের ওপর এভাবে চেয়ার দিয়ে ফ্যান গুলো খুলে নিয়েছে। প্রতি ক্লাস ৪ টা করে ফ্যান ছিল। আর আগের ছিল ২ টা।শুধু একটি ক্লাস বাদে প্রতি ক্লাস থেকে মোট ১৮ টা ফ্যান নিয়েছে। শুধু ফ্যান নয়, লাইট, সুইচ, রাউটার ইত্যাদি। সত্যি সেদিন স্কুলে গিয়ে এই অবস্থা দেখে আর ক্লাসের দিকে তাকিয়ে ভালো লাগেনি।মনে হচ্ছেছিল এটা কোন মানুষের কাজ নয়।তারপর বাচ্চাদের পরিক্ষা টা সময় মতো নিতে পারেনি।১০ টার পরিক্ষা নিয়েছে ১১ টায়।সেই দিন অনেক খারাপ অবস্থার মধ্যে পরিক্ষা দিয়েছে বাচ্চারা ।
আসলে প্রতিটি দরজার তালা ভেঙ্গে ফেলে ভিতর প্রবেশ করেছে। তারপর লাইব্রেরিতে চা বানিয়ে খেয়েছ।পতাকাকে নিচে ফেলে দিয়েছে।
কিছু ক্ষণের মধ্যে স্কুলে লোকজন ভরে গেল। তারপর হেড ম্যাডাম আসলো।উনি শিক্ষা অফিসে জানালো এই চুরির ব্যাপার। তারা বলল আপনি থানায় জিডি করে আসুন। তারপর আমাদের এখানের আরো অনেক লোক জন এর কাছ থেকে সই নিয়ে ম্যাডাম চলে গেল থানায়।ম্যাডাম থানায় যাবার পরে আমার মেয়ের পরিক্ষা শেষ হলে আমি চলে এসেছি। তাটপর বিকেল ৩ টার দিকে পুলিশ এসেছে। এখনো তদন্ত চলছে আরকি।যাইহোক দেখা যাক কি হয়।আপনারা সবাই দোয়া করবেন এই চোর গুলো যেন ধরা পরে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
পোস্ট পড়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম আসলেই এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।এমন জাতিকে ধিক্কার জানাই এবং শাস্তি হওয়া খুবই দরকার।যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি হয় সে দেশের মানুষ কথাটা হীন মানসিকতা না পড়লেই বোঝা যায় না।একটা স্কুল থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার স্টুডেন্ট শিক্ষা নিয়ে বের হচ্ছে।এটা হচ্ছে জাতির সম্পদ,দেশের সম্পদ, একটি পরিবারের সম্পদ।এমন কাজ যারা করতে পারে এগুলো তো মানুষ না-মানুষ নামের কলঙ্ক।যারা চুরি করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে খুব ভালো মানের একটা শাস্তি হওয়া উচিত। দেশে মানুষ জানুক এবং সকলেই জানতে পারুক এমন হীন মানসিকতার মানুষের শাস্তি কেমন হওয়া উচিত।
সত্যি আপু এ রকম জাতিকে আসলে ধিক্কার জানাই,ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এ আবার কেমন কথা আপু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮টি পাখা চুরি। তাহলে সিকিউরিটি গার্ড কোথায় ছিল? আর যারা এরূপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে চুরি করল তাদের কি একটু লজ্জা হলোনা। আমার তো মনে হয় কোন হিরোইন খোররা চুরি করেছে। এদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
জি আপু সবাই এমন ধারণা করছে, পুলিশ ও খুঁজছে সবাইকে ধরার জন্য। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক দুঃখজনক পোস্টটি। অনেক খারাপ লাগলো পড়ে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এইভাবে চুরি করেছে। যেই দেশে থাকছে সেখানকার জাতীয় পতাকাকে ফেলে দিয়েছে। খুবই অসৎ মস্তিষ্কের মানুষ। খুবই খারাপ লাগছে।
সত্যি দিদি এরা খুবই অসৎ মস্তিষ্কের মানুষ, ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।