জেনারেলখ রাইটিংঃ ভোগে সুখ নাই,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
আসলে আমরা ত্যাগ করতে না পারলে ভোগ করে আনন্দ পাওয়া যায় না। স্বার্থলোলুপতা, ভোগাকাঙ্ক্ষা বা আত্মসুখ পরায়ণতা মনুষ্যত্বের পরিপন্থী। আর সে ব্যক্তি শুধু নিজের স্বার্থচিন্তায় তৎপরন,নিজেরন ভোগবিলাসে নিমজ্জিত, জগৎ ও জীবনের বৃহত্তম অঙ্গন থেকে সে স্বেচ্ছানির্বাসিত।
জগৎবাসীর ভালো -মন্দ, সুখ -দুঃখ, মঙ্গল -অমঙ্গল তার হৃদয় মনকে স্পর্শ করে না, এই পৃথিবীর আলো-আঁধার মানসরাজ্যে কোন রূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। এ জগত সংসারে কল্যান অকল্যাণ সম্পর্কে যে একান্ত নির্লিপ্ত ও উদাসীন, তার মানব জীবন বৃথা।তার বেঁচে থাকা না থাকা সমাব। মানুষের যে দুর্লভ গুণটি তাকে অপরাপর সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে তাই মনুষ্যত্ব। আর মনুষ্যত্বের সার কথা হলো জাগ্রত বিবেককে শুভ্র ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করা। অপরাপর প্রাণীর প্রতি সহজাত মমত্ববোধ মানুষকে মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত করে তোলা।
তাই মানুষকে হতে হয় অপরের হিতৈষী। আত্মসুখ বিসর্জন দিয়ে পরের কল্যাণে নিজেকে অকাতরে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই মনুষত্ববোধের বিকাশ ঘটে । আর ভোগ মানুষকে অবসন্ন করে তার চিন্তাশক্তিকে ভোতা করে আর জীবনকে হীনতার অভিশাপ পুষ্ট করে ।কথায় আছে আগুনে ঘি ঢাললে আগুন যেমন না নিভে দাউ দাউ, তেমনি ভোক বিলাসীর জীবন ও নতুন থেকে নতুনতর ভোগের নেশায় সর্বদা বহুগুণ বেগে জ্বলতে থাকে। অথচ ত্যাগের মধ্যে পরম শান্তি লাভ করা যায় জীবনকে গৌরবান্বিত তো করা যায়।ত্যাগ মানুষের পরম লক্ষ্য হওয়া উচিত। আসলে ভোগকে কেউ মনে রাখে না মনে রাখে ত্যাগ কে। এই পৃথিবীতে মানুষের জন্মই হয়েছে মানুষের তথা সৃষ্টির উপকার করার জন্য। যে মানুষ শুধু পেতেই চায় দিতে চায় না সে পাওয়ার উপযোগী নয়।আর তাকে কোন কিছু দান করার অর্থই হবে অপাত্রে প্রদান।
বস্তুত ত্যাগের মাধ্যমে পরিপূর্ণ তৃপ্তি । এর জন্যই বলা হয়েছে ভোগ এই সুখ নাই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
বিষয় | ' ভোগে সুখ নাই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ' |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
মাঝে মাঝে কোন কিছু বিসর্জন দেওয়ার মাঝেও অনেক সুখ খুঁজে পাওয়া যায়। আসলে আমরা সবসময় যদি নিজের স্বার্থ হাসিল করার চিন্তা করি তাহলে কখনো সুখী হতে পারব না। অন্যকে খুশি করার মাঝেও আলাদা রকমের আনন্দ রয়েছে। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। দারুন লিখেছেন আপনি।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা নিজের স্বার্থ হাসিল করার চিন্তা করলে কখনো সুখী হতে পারব না।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই ভোগে সুখ নেই তাকে প্রকৃত সুখ কিন্তু বর্তমান সময়ের মানুষরা ভোগ করতে বেশি পছন্দ করে। ত্যাগ করলে মনে হয় যেন তারা এই শোক সামলাতে পারবেনা। মানুষের মধ্যে এখন মনুষত্ববোধ উঠে গেছে। তাই মানুষ কোন কিছু ত্যাগ করতেই বা বিসর্জন দিতে রাজি নয়। আপনার উল্লেখিত কথাগুলো খুবই ভালো লেগেছে।
সত্যি আপু মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ উঠেগেছে,ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে বর্তমান সমাজে বেশিরভাগ মানুষই স্বার্থান্বেষী হয়ে পড়েছে । কে কার কথা ভাবছে ।আসলে কখনো কখনো নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে অন্যের কথা চিন্তা করলে আলাদা একটা আনন্দ অনুভব করা যায়। কিন্তু বর্তমান মানুষ এখন নিজের ভোগ নিয়েই ব্যস্ত । অন্যের কথা চিন্তা করার সময় কোথায় । যাই হোক বেশ ভালো ছিল ধন্যবাদ।
যদিও আমাদের অন্যের কথা চিন্তা করার মতো সময় নেই, তারপরেও মাঝে মাঝে নিজের সুখকে বিসর্জন দিলে আসলে আলাদা রকম শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর লেখেছেন আপু। এই কথাটি সেই ছেলেবেলা হতেই শুনে আসছি। আসলে এখন তো মানুষ গুলো সবাই ভোগেই সুখ খুঁজে বেড়ায়। সত্যি বলতে ত্যাগে যে কি সুখ সে উপলব্দি কেউ করে না বা করতেই চায় না। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা আর নিজের স্বার্থের চিন্তা করা লোকগুলোর সংখ্যা দিনেদিনে বেড়েই যাচেছ।
আসলে আপু ছেলেবেলা থেকে কথাটা শুনেছি কিন্তু এখন অনেক বুঝি এই কথার মর্ম। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
প্রতিটি মানুষের জীবনে দুটি শব্দ খুবই পরিচিত এবং জড়িত। সেটা হচ্ছে ভোগবিলাস এবং ত্যাগ স্বীকার করা। তবে ভোগের সাথে সাথে মানুষের ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তাহলে জীবনে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। এমন কিছু মানুষ আছে যারা ছাড় দিতে একদম পছন্দ করেন না। শুধু পেতে চায় আর পেতে চাই সবার থেকে হাতিয়ে নিতে চাই। আসলে তাদের জীবনের সুখ বলতে তারা উপলব্ধি করতে পারে না। বেশ ভালই লিখলেন অনেক সুন্দর লেখা ছিল আজকের।
আপু প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন আপনি। ভোগে সুখ নাই,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। অন্যের জন্য কোন কিছু করতে পারা কি যে আনন্দে তা সত্যি বলে বুঝানো সম্ভব না। শুধু নিজের কথা চিন্তা না করে অন্যজনের উপকারের কথা ভাবতে হবে আমাদের। তাহলে আমাদের হৃদয়ের প্রশান্তি লাভ করবে। এত সুন্দর বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন আপু।অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি শুধু ভোগে সুখ নেই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।নিজেকে অন্যের উপকারে লাগাতে হবে।বসে বসে শুধু নিজের ভাবনা ভাবলেই হবে না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু কথা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু নিজেকে অন্যের উপকারে লাগাতে হবে বসে বসে নিজের কথা ভাবলে চলবে না ধন্যবাদ আপু।