কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট
বরাবরের মত আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছে কয়েকটি সুস্বাদু খাবারের পোস্ট নিয়ে। আসলে নিজের হাতে তৈরি খাবার গুলো সব সময় স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর হয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি বাচ্চাদের নিজে তৈরি করে খাবার খাওয়ানোর। আসলে যদিও সব সময় পছন্দের জিনিস গুলো তৈরি করে দেওয়া হয় না মাঝে মাঝে বাইরে থেকে ও খাই।তবে আমি মনে করি নিজের তৈরি করার খাবারের সাথে তুকনা হয় না। তাই আজ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিভিন্ন সময়ের আমি তৈরি করেছিলাম, তাই নিয়ে এসেছি।আশাকরি আজকের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
ফটোগ্রাফি -১
এটি হচ্ছে মহিষের মাংস রান্নার রেসিপি। আসলে আমাদের এদিকে মহিষের মাংস পাওয়ায় যায় না। তবে কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় একটা মহিষ জবাই করেছিল। তাই আর কি মহিষের মাংস খাওয়া হয়েছিল।মাংস মোটামুটি বেশ ভালো লেগেছিল। সবাই অনেক মজা করে খেয়েছে।
ফটোগ্রাফি -২
এই পিঠা আমরা সবাই হয়তো চিনি। এটি হচ্ছে আমাদের জনপ্রিয় চিতই পিঠা। এ পিঠা যেকোনো মাংসের ঝোল দিয়ে খেতে অনেক মজা। আমরা মহিষের মাংস দিয়ে খেয়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল।
ফটোগ্রাফি -৩
এটি হচ্ছে আরেকটি জনপ্রিয় পিঠা। এগুলো হলো ছিট রুটি। এই পিঠাগুলো সব মাংসের ঝোল দিয়ে খেতে অনেক মজার হয়ে থাকে। আমার বাচ্চাদের এই পিঠা অনেক পছন্দ। ডিম ভাজার সাথেও খেতে বেশ মজা। অনেক ভালো একটি পিঠা একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে।
ফটোগ্রাফি -৪
এটি হচ্ছে কুমড়ো ফুলের চপ। আমাদের গাছে কয়েকটি কুমড়ো ফুল ধরেছে এখনো কুমড়া ধরেনি। তাই বাচ্চারা চপ খাবে। এই কুমড়ো ফুলের চপ বিকেলে মুড়ি দিয়ে খেতে অনেক মজা। কয়েকদিন আগে বানিয়েছিলাম বাচ্চারা খেয়ে বলেছে আবারো বানিয়ে দিতে। আপনারাও বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন, বেশ মজার একটি চপ।
ফটোগ্রাফি -৫
এটি হচ্ছে সবারই জনপ্রিয় বাইম মাছের চচ্চড়ি।আসলে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এই ছোট মাছের চচ্চড়ি গুলো হলে আর কিছুই লাগেনা। আমি মাঝে মাঝে রান্না করি অনেক মজা করে খাই। আসলে বাসার আর কেউ এই চচ্চড়ি খেতে চাই না শুধু আমার জন্য রান্না করি।এভাবে রান্না করে খেলে আপনাদের কাছে হয়তো ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি -৬
এগুলো হচ্ছে জল পাই এর তেলের আচার রেসিপি। আসলে জল পাই এর তেলের আচার খিচুড়ি দিয়ে খেতে ভীষণ মজা। আমি সব সময় বানিয়ে রাখি।তবে বাচ্চারা এই তেলের আচার পছন্দ করেনা। তাই বেশি বানানো হয় না। কয়েকদিন আগে জলপাইয়ের তেলের আচার বানিয়েছেিলাম তাই একটা ফটোগ্রাফি করে দিয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি -৭
এটি হচ্ছে যারা মিষ্টি পছন্দ করেন তাদের জন্য জনপ্রিয় একটি খাবার। তবে এই খাবার আপনাদের ভাই ও আমার বাচ্চাদের অনেক পছন্দের। তাই আমি মাঝে মাঝে রান্না করি বাচ্চারা অনেক মজা করে খাই। আমার মনে হয় এই খাবার অনেকেই পছন্দ করেন।আশা করি আপনাদের কাছে খাবারটা অবশ্যই ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপু আপনি আজ যে কয়টি খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, প্রত্যেকটি খাবার আমার খুবই প্রিয়। মহিষের মাংস, কুমড়ো ফুলের চপ, জলপাইয়ের আচার একটু বেশি প্রিয়। লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খাবার গুলো আপনার প্রিয় জেনে অনেক ভাল লাগল আপ। ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
এতসব মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি খাবারের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন, যা দেখলে যে কারোর লোভ লেগে যাবে। আর দুপুরবেলায় দেখার কারণে খিদে পেয়ে গিয়েছে আমার। এখানে থাকা প্রত্যেকটা খাবারই আমার খুবই পছন্দের। আর পছন্দের খাবার দেখলে যে কারোর খেতে ইচ্ছে করবে আমি মনে করি। মহিষের মাংস, চিতই পিঠা এগুলো একটু বেশি পছন্দের।
আপনার পছন্দের জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
লোভনীয় এবং মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
বিশেষ করে মহিষের মাংস চিতই পিঠা এবং জলপাইয়ের আচার সব থেকে বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে।
তবে চিতই পিঠা এবং মাংস আলাদা আলাদা ফটো হলেও এই দুটি একসাথে খেতে কিন্তু সবথেকে বেশি মজা লাগে।
জি ভাইয়া দুটি এক সাথে খেতে অনেক মজা, ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। এই খাবারে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে আসলে এত মজার মজার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি আমার পছন্দের খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন আজকে। যেগুলো দেখে লোভ সামলাতে পারছি না আপু। এই খাবার গুলো আমার এতটাই ফেভারিট যা বলে বুঝাতে পারবো না। জলপাইয়ের আচার টা দেখেও খেতে ইচ্ছে করছে। অন্যান্য খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে ইচ্ছে করছে, সবগুলোর থেকে একটু একটু নিয়ে টেস্ট করি। মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখিয়ে, লোভ লাগিয়ে দিয়ে ভালো করলেন না।
একদিন সময় করে চলে আসবেন, অনেক মজার খাবার রান্না করে খাওয়াব।ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রত্যেকটা খাবারই আমার খুবই পছন্দের। শুনেছি কুমড়ো ফুলের বড়া নাকি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তবে কখনো খাওয়া হয়নি।বেশ কয়েক প্রকার লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু কুমড়ো ফুলের বড়া অনেক মজা,অবশ্যই একদিন তৈরি করবেন। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট। আপনার শেয়ার করা খাবারের প্রত্যেকটি পোস্ট দেখেই আমার জিভে জল চলে আসলো আপু। আসলে আপু আমি সব থেকে বেশি মিষ্টি পছন্দ করি । ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর খাবারের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভাই ও অনেক মিষ্টি পছন্দ করে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার কিছু লোভনীয় ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। এ জাতীয় ফটোগ্রাফিগুলো সত্যি খাবারের প্রতি যেন আরো লোভনীয় অনুভূতি জাগ্রত করে ফেলে। প্রত্যেকটা ছেলে দেখার মত। খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো। তবে কুমড়ো ফুলের চপ খাওয়ার খুব ইচ্ছে রয়েছে আমার আজও খাওয়া হয়নি।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই মজাদার একটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখেইতো জিভে জল এসে গেল। একসাথে অনেকগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনি তুলে ধরেছেন বিশেষ করে আমার কাছে মহিষের মাংস এবং কুমড়ো ফুলের চপ এই রেসিপি দুটো দেখে অনেক বেশি লোভনীয় মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
সাবলীল মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজ হাতে তৈরি করা খাবারগুলো খেতে আলাদা একটা মজা লাগে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। নিজ হাতে তৈরি করা খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তবে আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য