মসুর ডাল দিয়ে পিঁয়াজু বানানোর রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
মসুর ডাল দিয়ে পিঁয়াজু বানানোর রেসিপি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আসলে আজ এসেছি একটি রেসিপি নিয়ে। গতকাল বিকেল বেলা এই পিঁয়াজু বানিয়েছি।আসলে সকালে কিংবা বিকেলে এই পিঁয়াজু চা বা মুড়ি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। আসলে আমি মাঝে মাঝে মসুরি ও খেসারি ডাল দিয়ে পিঁয়াজু বানাই কিন্তু এবার শুধু মসুরির ডাল দিয়ে বানিয়েছি।শুধু মসুরি ডালের পিঁয়াজু খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার মেয়ে ও আপনার ভাই এই পিঁয়াজু গুলো খেতে অনেক পছন্দ করে।আমার মনে হয় এই পিঁয়াজু খেতে সবারই অনেক পছন্দ। তবে বর্তমান পিঁয়াজের অনেক দাম তাই পিঁয়াজু খেতে অনেক ঝামেলা। তবে দাম হলেই কি জিভে তো আর দাম মানে না। পিঁয়াজু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনারা চাইলে এভাবে তৈরি করে খেতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
১.মসুর ডাল
২.রসুনবাটা
৩.পিঁয়াজ কুচি
৪.কাঁচামরিচ কুঁচি
৫. হলুদের গুড়ো
৬.লবন ও তেল
ধাপ-১
প্রথমে আমি কিছু মসুর ডাল ও আতব চাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর ডালগুলোকে ব্লেন্ডারের ভিতর দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-২
তারপর বেন্ডারের ঢাকনা দিয়ে দুই তিন মিনিট ব্লেন্ডার করে নিয়েছি। এখন একটা বাটিতে ঢেলে নিব।
ধাপ-৩
তারপর ডালের ভিতরে কিছু পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দেব। এখন এক চামচ রসুন বাটা দিয়ে দেব।
ধাপ-৪
এখন কিছু কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে দেব।তারপর পরিমাণ মতো হলুদ গুড়ো দিয়ে দেব।
ধাপ-৫
সব কিছু দিয়ে এভাবে মাখিয়ে নেব। তারপর চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দেব।
ধাপ-৬
কড়াই গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দেব। তারপর মাখিয়ে রাখার ডালগুলো থেকে এভাবে কিছু পিঁয়াজু দিয়ে দেব।
ধাপ-৭
এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব। এখন একটা প্লেটে বেড়ে পরিবেশন করব।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
কি যে লোভনীয় পেঁয়াজি আপু।ঠিক বলেছেন বিকেলে নাস্তায় চা,দিয়ে পেঁয়াজি খেতে খুব ভালো লাগে।অসাধারণ লোভনীয় পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী আপু কি চা দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু পোস্ট করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যেকোনো ডাল দিয়ে পেঁয়াজু বানালে আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে মসুরের ডাল দিয়ে পেঁয়াজু রেসিপি করেছেন। তবে এই ধরনের পেয়াজু দিয়ে যে কোন জিনিস খেতে অনেক মজা লাগে। আবার পিঁয়াজু গুলোকে হালকা ঝোল করে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। যাইহোক আপনার মেয়ে এবং আমাদের ভাই পেঁয়াজু খেতে পছন্দ করে শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মসুরের ডাল দিয়ে পেঁয়াজু বানানোর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জিয়া ভাইয়া পিয়াজুগুলো অনেক মজা লাগে তবে কখনো ঝোল করে রান্না করিনি। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মসুর ডাল দিয়ে পিঁয়াজু বানানোর রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে, এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি মসুর ডাল দিয়ে বানানো বড়া খেয়েছি তবে পিঁয়াজু বানিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে মসুর ডাল দিয়ে বানানো এই ভিন্ন ধরনের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পিয়াজু বানিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পিঁয়াজু আজকে আমি সকালে খেয়েছিলাম। বাসায় মা এমন করে মুসুরের ডাল তৈরি পিঁয়াজু তৈরি করেছিলো। গরম গরম মুচমুচে পিঁয়াজু জমিয়ে খেয়েছিলাম। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সত্যি ভাইয়া গরম গরম জমিয়ে পিঁয়াজু খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
মসুর ডালের পিঁয়াজু আমার ভীষণ পছন্দ আপু। আমি প্রায় এই ডালের পিঁয়াজু তৈরি করে খাই। তবে এই পিয়াজু গুলো গরম গরম খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি মসুর ডালের পিয়াজু দেখে আমার তো এক্ষুনি খেতে ইচ্ছে করছে। তবে আপনার পরিবারের সবাই পেঁয়াজু খেতে ভালোবাসে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু এই পিয়াজু গুলো গরম গরম খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু
মসুরের ডাল দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি আপনার এই রেসিপিটা আমার কাছে চমৎকার লেগেছে আপু। অনেক অনেক খুশি হলাম আপনার সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে। আসলে এ জাতীয় ঝাল রেসিপি আমারও খুব প্রিয়।
আপনি খুশি হয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
চা বা মুড়ির সাথে পিঁয়াজু খেতে কিন্তু সত্যি খুব ভালো লাগে আপু। অন্যান্য সময় মুসুরি ও খেসারির ডাল একসাথে মিশিয়ে পিঁয়াজু তৈরি করলেও এইবার দেখছি শুধুমাত্র মুসুরির ডাল দিয়ে পিঁয়াজু তৈরি করেছেন। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল এটি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মসুরের ডালের পেঁয়াজ গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয় আপু। আমিও প্রায় সময় তৈরি করে থাকি মসুরের ডালের পেঁয়াজু। খুব সহজেই খুব তাড়াতাড়ি মুচমুচে হয়ে যায়। এমন মজাদার পেঁয়াজু বিকেল বেলায় খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব মজাদার এবং চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে।
সত্যি আপু খুব সহজেই মুচমুচে হয়ে যায়, বিকালে খেলতে অসাধারণ লাগে, ধন্যবাদ আপু।
পেঁয়াজু খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি মসুর ডাল দিয়ে খুব সুন্দর করে পিয়াজু রেসিপি করেছেন। তবে পেঁয়াজু যে সময় খাওয়া হয় খেতে অনেক মজাই লাগে। তবে অনেক সময় আমরা পেঁয়াজু গুলোকে হালকা এবং মরিচ দিয়ে দোপেঁয়াজু রান্না করি। ধন্যবাদ আপনাকে পেয়াজু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি কখনো দোপেঁয়াজু রান্না করি না আপু দেখি একদিন করব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।