বাচ্চাদের গোল্লা আইসক্রিম খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বাচ্চাদের গোল্লা আইসক্রিম খাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মত আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছি বাচ্চাদের একটু খাওয়া-দাওয়া পোস্ট নিয়ে । আসলে আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা সবাই হয়তো জানেন গত শুক্রবারে আমরা একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। তারপর সূর্যমুখী বাগানে ঘুরতে গিয়েছিলাম।অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর বাচ্চাদের দেশ পানি পিপাসা লেগে গিয়েছিল। যদিও পানি আমাদের সাথে ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে সামনে পড়লো আইসক্রিমের মতোন একটা খাবারের জিনিস এটার নাম নাকি গোলা বিভিন্ন ধরনের কালার দিয়ে তৈরি করে উনারা। তাই এইগুলা দেখে বাচ্চারা খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল । যাই হোক জীবনে কখনো খাইনি সেগুলো খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ একটু সবারই বেশি থাকে। তাই উনাদের বললাম আগে ছোট তিনটা দিন ।বড়টা বিক্রি করছে ৬০ টাকা আর ছোটটা বিক্রি করছে ত্রিশ টাকা । যেহেতু আমাদের সাথে বাচ্চা ছিল তিনজন তাই আমরা ৩০ টাকার তিনটা আইসক্রিম অর্ডার দিলাম। যাই হোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আমরা যে রাস্তায় সামনে এগুলো দেখলাম , আর দেখা মাত্র বাচ্চাদের জন্য অর্ডার দিলাম। আসলে যদিও শীতের সময় এমন ঠান্ডা খাবার বাচ্চাদের খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তবে বাচ্চারা নাছরবান্দা তারা খাবেই। কি আর করা। উনারা প্রথমে একটা দিয়েছে কিন্তু আর দুজন বলছে আমাদের গুলো কই। তারপর তারা আরো দুইটি দিল। আমার দেবরের ছেলে বারবার বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার নিচ্ছে। সে বলছে খেতে অনেক মজার। তবে আমার আরো বেশি কালার লাগবে। সত্যি উনারা ওকে বারবার কালার দিচ্ছে। আর সে খুব আনন্দে সহকারে খাচ্ছে।
তারপর আমরা আরো কিছু সময় অপেক্ষার পরে আরো দুটি গোল্লা দেওয়া হলো। আসলে বাচ্চারা খাক না খাক কিন্তু তাদের সবাইকে এক সাথে না দিলে অস্হির হয়ে পড়ে। যখন সবাইকে দেওয়া হলো।তখন আমার বড় মেয়ে বলছে আম্মু এটা কেমন আইসক্রিম খেতে একটু ও ভালো লাগে না। উনারা শুধু রং বেশি করে দিয়েছে, তখন আমার ভাতিজা বললো রং আমার অনেক পছন্দ। আমি শুধু রং দিয়েই খেয়ে থাকি। তারপর বড় মেয়ে একটু খেয়ে আর খেল না। তবে আমার ছোট মেয়ে ও আমার ভাতিজা অনেক মজা করে খেয়েছে।
আসলে খাওয়া দাওয়া যাইহোক তবে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছিল না।আসলে বাচ্চারা অনেক আনন্দ সহকারে খেতে পেরেছে তাই তারা বেশ আনন্দে ছিল। আমারা ও অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।আসলে রাস্তার ওপরে শীতের সময় মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে এভাবে গোল্লা আইসক্রিম খেতে সত্যি অনেক আনন্দের ছিল। আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
কতদিন যে এ জাতীয় আইসক্রিম খাইনি। তবে আইসক্রিম খাওয়ার প্রতি আমার যে এতটাই লোভ ছিল, তা বলে বোঝাতে পারবো না। হয়তো খুব শীঘ্রই এ জাতীয় একটি গল্প আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব ভেবেছি। তবে যাই হোক বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আপনি আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ ধরনের খাবারগুলো সত্যিই বেশ অস্বাস্থ্যকর। কারণ এতে এত পরিমাণে রং ব্যবহার করা হয়, যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক। সত্যি কথা বলতে বাচ্চাদের আকৃষ্ট করার জন্য এটা করা হয়। তবে কিছু কিছু জায়গায় ভালো মানের ফুড কালার ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে তাদের সেখান থেকে কিনে খাওয়া যেতে পারে। আমাদের এখানেও এইগুলো পাওয়া যায়, তবে আমি কোনদিনও খাই না। যদিও আপনাদের ওইখানে এর দাম, আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে। ৩০ টাকা কিংবা ৬০ টাকা অনেক বেশি। আমাদের এখানে দশ টাকায় পাওয়া যায়।
আমাদের এখানে মনে হয় অনেক কিছুর দাম অনেক বেশি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু, আপনাদের ওইখানে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। এইবার বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়ে সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম।