জসীম পল্লী মেলায় ঘোরাঘুরি ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
জসীম পল্লী মেলায় ঘোরাঘুরি ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । আজ এসেছি জসিম পল্লী মেলায় ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে । ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী মেলা জসিম পল্লী মেলা। আসলে মেলাটা প্রতিবছরই মেলে তবে করোনার জন্য কয়েক বছর বন্ধ থাকায় গতবার থেকে আবার শুরু হয়েছে। আসলে বাচ্চাদের নিয়ে একটু মেলায় তো যেতেই হয়। যদিও মেলার এপাশ থেকে ওপাশ দেখতে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। যাইহোক তারপরও যতটুক সম্ভব ঘুরে দেখেছি। আসলে মেলাতে অনেক কিছু পাওয়া যায় তবে বাইরের জিনিস থেকে দাম দ্বিগুন। তারপরও মেলা থেকে কিছু না কিনলে কেমন হয়। আসলে কিনতে কিনতে এক সময় দেখা গিয়েছে অনেক কিনা হয়েছে।আমরা মেলা থেকে যা যা কিনেছি, ও খাওয়া দাওয়া, রাইডে চড়া সব আস্তে আস্তে শেয়ার করব। । আর যাদের বাচ্চা আছে তারা বুঝেন যেখানে যায় না কেন আগে বাচ্চাদের জিনিস কিনে তাদের শান্ত করে রাখতে হয়। তাই আজ এসেছি বাচ্চাদের কেনাকাটা ও মেলায় ঘোরাঘুরির কিছু জিনিস নিয়ে। যাই হোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট ।
প্রথমে আমরা মেলার এক নম্বর গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম। আসলে আমরা গিয়েছিলাম বিকেল চারটার দিকে, তখন তেমন ভীর ছিল না। গেটের ভিতরে পুরো ফাঁকা ছিল তবে অটো যাতায়াত একটু বেশি ছিল। যাইহোক প্রথমে আমরা মেলার মাঠে নেমে গেলাম। সত্যি বলতে মাঠটা বেশ ফাঁকা লেগেছিল। মাঠে নামার সাথেই দুই মেয়ে বলছে আগে তাদের খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য। আসলে বাচ্চাদের খাওয়ার জিনিসের চেয়ে খেলনা কিনার প্রতি বেশি আগ্রহ।যাইহোক যেহেতু খেলনা কিনবে তাই চলে গেলাম খেলনা কিনার জন্য।
তারপর আসলাম বাচ্চাদের জন্য মাথার ক্লিপ কিনার ।যদিও এই সব কিছু অনেক রয়েছে তারপর মেলার জিনিস বলে কথা। তারপর মেয়েদের জন্য কিছু মাথার ব্যান্ড কিনলাম। তবে ব্যান্ড গুলো কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল। যদিও বাইরে থেকে পিস প্রতি দশ টাকা বেশি ছিল।
তারপর গেলাম বলের দোকানে। আসলে আমার মেয়েরা এই গ্যাস মাছ অনেক পছন্দ করে। তাই দুজনের জন্য দুটি মাছ কিনলাম। আসলে বাচ্চাদের যতই কিছু কিনে দেয় না কেন তারা আরো নেওয়ার জন্য ব্যস্হ থাকে। ছোট মেয়ের জন্য একটা বেলুন কিনলাম।
তারপর ছোট মেয়ে তার হাড়ি পাতিল কেনার জন্য গেল।আসলে যতই ছোট পাতিল হোক না কেন সব কিছু প্রাইজ দশ টাকা। তবে বটি, চুলা, কুলা আরো অন্য জিনিসের দাম ২০ টাকা করে। আমার মেয়ে একে একে অনেকগুলো জিনিস কিনলো।সে মনে হলো না কোন কিছু বাদ দিয়েছে।যাইহোক ১০ টাকা করে হলে কি একসাথে ৫০০ টাকার খেলনা পাতি কিনলো । আসলে খেলনা জিনিসগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে । তবে এগুলো বাড়িতে আনা পর্যন্ত তারপর দেখবে কোনটা কোথায় থাকে তার ঠিক নেই। সত্যি বলতে খেলনা পাতি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।
তারপর তারা আরো ফুলের মালা কলস কিনল।আসলে আমাদের একটা ছোট বাবু আছে তার জন্য এই কলস কিনলো।তবে ফুলের মালা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। এখন তাদের খেলনার সব কিছু হয়েছে তবে ঢেঁকি কিনা বাকি ছিল। কি আর করা সব কিনা হলে একটা বাদ দিয়ে আর কি লাভ। তারপর একটা ঢেঁকি কিনা হলো।অবশেষে বড় মেয়ে একটা ফ্লাট বাড়ি কিনল। আসলে ফ্লাট বাড়ি আগেও অনেক কিনেছে কিন্তু আবার নতুন করে কিনবে।আজ এই পর্যন্তই। মেলার পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য পরবর্তী পর্ব পড়তে হবে।(চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
পল্লী কবি জসীম উদ্দিন কে স্মরণ করে এই জসীম পল্লী মেলা আয়োজিত হয়েছিল।আর এই পল্লী মেলায় পল্লীর যাবতীয় জিনিস পত্র নিয়ে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসলে আমি কখনো পল্লী মেলা দেখিনি তবে, আজকে আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে পল্লী মেলার যাবতীয় খুঁটিনাটি দেখতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া সুযোগ হলে দেখে নিবেন, ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মেয়েদের মত ছোটবেলায় এই মেলায় গেলে আমরাও এরকম হাড়ি পাতিল কেনার জন্য অস্থির হয়ে থাকতাম। জিনিসপত্রের দাম কম হলেও অনেকগুলো কিনতে কিনতে দেখা যায় অনেক টাকারই কেনা হয়ে যায়। ঠিকই বলেছেন সবকিছুই যেহেতু কিনে দিয়েছেন তাহলে ফ্ল্যাট বাড়িটা বাকি রেখে লাভ কি। ভালো করেছেন তাদের মনের মত খেলনা কিনে দিয়ে। মেলায় ঘুরাঘুরি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
সত্যি বাচ্চাদের পাড়িপাতিল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
জসীম পল্লী মেলা ঘুরাঘুরি করে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে আবার বেশ ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে উক্ত মেলায় বিক্রয় করতে আসা বিভিন্ন প্রকারের জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যাহোক জসিম পল্লী মেলা সম্পর্কে আরো জানার জন্য আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জি ভাইয়া চেষ্টা করব তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য।
জসিম পল্লী মেলায় বিকেলবেলা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করলেন তাহলে আপু। মেলা ঘুরে মেয়েদের জন্য জিনিসপত্র কিনে, খেলনা কিনে, বেশ উপভোগ করেছেন সময়টা সেটা বুঝাই যাচ্ছে। আসলেই খেলার হাঁড়ি পাতিল গুলো বেশ কিউট। বাইরের থেকে দাম বেশি হলেও মেলার ভেতরে অনেক জিনিসের সমাহার দেখতে পেলাম একসাথে।
ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জসিম পল্লী মেলায় বেশ অসাধারণ কিছু মুহুর্ত শেয়ার করেছেন আপনি। এই মেলায় আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ খুব সুন্দরভাবে এই মেলার সবগুলো দোকান এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই মেলার সুন্দর একটি মুহূর্ত দেখে৷
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য।
মেলা আমার অনেক ভালো লাগে৷ আপনি যেভাবে এই মেলার সবকিছু শেয়ার করেছেন তা আমার অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হয়েছে৷
আপনারা তো দেখছি জসিম পল্লী মেলায় ঘুরাঘুরি করেছেন বেশ ভালোভাবেই। আপনাদের মেলায় ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তের পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। আপনার মেয়েরা ৫০০ টাকার খেলনা কিনেছিল শুনে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চারা এমনিতেই খেলনা কেনার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে। মেলাতে অনেক রকমের জিনিসপত্র উঠেছে দেখলাম। প্রথম পর্বের রিভিউ ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় আছি। আশা করছি পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
আপনাদের ভালো লাগা আমার কাজের সার্থকতা ধন্যবাদ আপু।।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমি তো খুবই ভালোবাসি। আর বাচ্চারা তো অবশ্যই পছন্দ করবে মেলায় ঘুরাঘুরি করতে। কারণ মেলায় গেলে বাচ্চারা বিভিন্ন রকম রাইড এর মধ্যে উঠতে পারে। এবং কি অনেক রকমের খেলনা কিনতে পারে। বাচ্চারা নানান রকমের খেলনা কিনতে পেরে খুশি হয়েছিল মনে হচ্ছে অনেক বেশি। আপনি অনেক টাকার খেলনা তাদেরকে কিনে দিয়েছিলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। মেলার সৌন্দর্য আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার মেলায় ঘুরতে ভালো লাগে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জসিম মেলায় গিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু।আমার লাস্ট ২০১৭ তে যাওয়া হয়েছে।এখন আগের থেকে অনেক জমজমাট করা হয় মেলার মাঠ বুঝতে পারলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।