হাঁসের ডিম পাড়ার আনন্দ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
হাঁসের ডিম পাড়ার আনন্দ
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু নিয়ে আসার জন্য। অনেক দিন আগে হয়তো হাঁস নিয়ে পোস্ট করেছিলাম আপনাদের মাঝে। আমি এবার ষোলটা হাঁস কিনেছিলাম। আসলে আমাদের বাড়িতে অনেক ধান রয়েছে আবার পাশে নদী তাই হাঁস পালতে তেমন সমস্যা হয় না।তবে মাঝে মাঝে ঔষধ খাওয়াতে হয়। আবার মাঝে মাঝে হাঁস মারা ও যায়।আসলে জীব মারা যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে হাঁস গুলো প্রায় (৪-৫)মাসের মতো আমি পালন করেছি।আসলে সব কিছুই প্রথম দিকে যতটা কষ্ট হয় আস্তে আস্তে সব কিছু ঠিক হয়ে যায়।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমি যেহেতু ষোলটা হাঁস কিনেছিলাম। প্রথমে দুই মাস একটু কষ্ট করতে হয়েছিল তারপর সব হাঁসগুলো পালতে কোন সমস্যা হয় না।সকালে উঠে হাঁসের ঘর ছেড়ে দেই, সাথে সাথে হাঁস গুলো নদীতে চলে যায়।আবার সন্ধ্যার আগে বাড়িতে চলে আসে। তারপর কিছু ধান দেয় পেট ভরে খেয়ে হাঁসগুলো ঘরে চলে যায়। তিন মাস পালার পরে আমার দুটি হাঁস মারা গেছে, তখন হাঁস দুটির জন্য অনেক খারাপ লেগেছিল। তারপর আবার ঔষধ খাওয়াতে থাকি। মাশাআল্লাহ বাকি গুলো ভালোই ছিল। দেখতে অনেক হাঁস গুলো বড় হয়েছিল।চার মাস পার হবার পরে একটা হাঁস হারিয়ে গেল আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাহলে আমার ১৩ টা হাঁস রয়েছে। আসলে সবাই হাঁস মুরগি পালে ডিমের জন্য। যাইহোক আমার সবহাঁস গুলো ডিমের পার এসেছে। কয়েকটি ডিম পারছে। আসলে প্রথমে তিনটি ডিম পেরেছে তারপর চারটি এভাবে আস্তে আস্তে ডিম পারা বাড়তে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন নদী থেকে সব হাঁস গুলো বাড়িতে এসেছে। ঠিক একই ভাবে খাওয়ানোর পরে ঘরের দরজা দিয়েছি। সকালে উঠে দেখি হাঁস চারটি ডিম পেরেছে। তখন একটা হাঁস ডিম পারতে গিয়ে আর উঠছে না। তারপর তারাতাড়ি করে হাঁসটা বের করে অন্য গুলো ছেড়ে দিয়েছি। যেহেতু ডিম পারা হাঁস তাই তারাতাড়ি জবাই করেছি।হাঁসটা বানানোর সময় দেখি হাঁসের পেট ভর্তি ডিম। আসলে এতদিন পালন করার পরে ডিম পারার সময় এভাবে মারা গেলে খারাপ লাগে।তবে মৃত্যুর কাছে আমাদের কারো হাত নেই। যাইহোক হাঁসটা রান্না করে খেয়েছিলাম অনেক মজা হয়েছিল।তবে হাঁসটার জন্য অনেক খারাপ লেগেছিল। যাইহোক কি আর করা যাবে।
মোট ষোলটার মধ্যে আমার হাঁস রয়েছে ১২ টা। তবে এখন প্রতি দিন ছয়টা থেকে আট করে ডিম পারে। যেডিম গুলো দেখছেন সব গুলোই কিন্তু আমার হাঁসের ডিম। এই ডিম গুলো দুই দিনের। আসলে নিজের হাতের জিনিস খেতে অন্যরকম আনন্দ।আসলে সকালে যখন হাঁসের ঘর ছাড়া হয় তখন এক সাথে ডিম গুলো দেখে অনেক ভালো লাগে। হাঁসের ডিম অনেক উপকারী। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন আমার হাঁসগুলো বেঁচে থাকে আর ডিম পাড়ে।সত্যি একটা জিনিস কষ্ট করে পাললে যখন স্বার্থক হয় আসলে তখন অনেক ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার পোস্টটি ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর অনুভূতি নিয়ে ব্লগটি লিখেছেন। ১৬টা হাঁসের মধ্যে বর্তামানে ১২টা আছে। ৬ থেকে ৮টা যদি ডিম দেয় বাকি গুলো কি পুরুষ হাঁসি না কি। সেটা তো ক্লিয়ার করে বললেন না। ডিম বিক্রয় করলে জানাবেন,হা হা হা।
সব গুলোই মেয়ে হাঁস শুধু একটা পুরুষ হাঁস, এতো ডিম তো খাওয়া যায় না বিক্রি তো করব, চলে আসবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কি দারুণ হাঁসের ডিম গুলো।ঠিক বলেছেন মৃত্যুতে কারোই হাত নেই।জীবন মানেই মৃত্যু।আপনার ১৬টি হাঁসের মধ্যে হারি গেছে মারা গেছে এখন ১৩টি ছিলো।ডিম পারতে গিয়ে আবার একটি অসুস্থ হয়ে গেছে। তবে এবার হাঁসটি কেটে রান্না করে মজা করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ঠিক বলেছেন নিজের হাতের পালন করা হাঁসের ডিম দেখতেও যেমন ভালো লাগে খেতেও।আপনার হাঁসের ডিমের অনেক গুলো ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
জি আপু অনেক মজা করে খেয়েছিলাম, ধন্যবাদ আপু।
আসলেই তাই একটা জিনিস কষ্ট করে পালার পর যখন সার্থক হয় তখন সত্যিই খুব ভালো লাগে। ১৬ টা হাসির মধ্যে ১৩ টা হাঁস আছে জেনে একটু খারাপ লাগলো। আবার ডিম পাড়ার সময় একটি অসুস্থ হয়ে গেল। হাঁসের ডিম গুলো দেখে আমার কাছেও খুব ভালো লাগছে।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আসলে কষ্ট করে হাঁস পালন করার পরে যখন হাঁসগুলো ডিম দেওয়া শুরু করে তখন এমনিতেই মনের মধ্যে আনন্দের উদয় হয়। আমাদের সকলের উচিত আপনার মতো করে বাড়িতে হাঁস পালন করে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করা। সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া সুবিধা থাকলে হাঁস পালন করাই ভালো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
হাঁসের ডিম খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপু আপনার হাঁস গুলোতে দেখছি বেশ মোটা মোটা ডিম পাড়ে। আপনার বর্তমান 12 টি হাঁস রয়েছে ১৬ টি হাঁসের মধ্যে। প্রতিদিন যদি এভাবে ডিম পাড়ে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু।
জি আপু প্রতিদিনের ডিম পাড়ে দোয়া করবেন আপু আমার হাঁসের জন্য। ধন্যবাদ আপু।
গ্রামে এসেছি পরশুদিন সবাই মিলে আমরা ঠিক করেছি হাঁসের ডিম দিয়ে পিকনিক করবো। আপনার হাঁসের ডিম গুলো পেলে বেশ ভালো হতো।মজা করলাম আপু। সত্যি হাঁস মুরগি লালন পালন করার পর যখন তারা ডিম দেয় তখন অনেক আনন্দ লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনার হাঁসের ডিম পাড়ার আনন্দ আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য।
আপু একদিন বেড়াতে আসবেন অনেকগুলো ডিম দিয়ে দেব ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো দেখতেছি অনেকগুলো হাঁস লালন পালন করতেছেন। ১৬ টি হাঁসের মধ্যে দুটি হাঁস মারা গেল একটি হাঁস হারিয়ে গেল একটি হাঁস জবাই করে খেয়েছেন। বাকি বারটি হাঁস এখন ডিম পারতেছে সত্যি খুব আনন্দের। তবে আমাদের এদিকে হাঁস-মুরগি পালন করা যায় না কুকুর এবং বিড়ালের জন্য। তারা হাঁস মুরগি গুলোকে মেরে ফেলে। তবে এটি ঠিক কোন একটি প্রাণী যদি লালন পালন করে তখন ওই জিনিসের উপর মায়া বসে যায়। তবে হাঁসের ডিমের মধ্যে পশুর পরিমাণ ভিটামিন আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া প্রশংসনীয় মতামতের জন্য
হাঁস-মুরগি ফালন করা ভালো। আর জায়গা থাকলে হাঁস পালন করলে অনেক ভালো হয়। আপনি তো দেখতেছি মোটামুটি অনেকগুলো হাঁস লালন পালন করতেছেন। তবে কিছু লালন পালন করলে যদি মারা যায় তখন সত্যি অনেক খারাপ লাগে। তবে এখনো পর্যন্ত যে হাঁসগুলো আছে মোটামুটি সেগুলো ডিম দিতেছে এই কারণে আপনার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে। আর হাঁসের ডিম খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। তবে আমার কাছে হাঁসের ডিম এবং হাঁসের মাংস খেতে খুব মজা লাগে। এখনকার সময় হাঁসের ডিম একদম পাওয়াই যায় না। যাইহোক সুন্দর করে পোস্টটি করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু হাঁসের মাংস ও ডিম অনেক মজার, ধন্যবাদ আপু ।