প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশে প্রকৃতির মুগ্ধ হাওয়ায় ঘুরতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে ঈদ মানে আনন্দ। আশাকরি ঈদের আনন্দ সবাই অনেক ভালো ভাবে কাটিয়েছেন। আর আমাদের তো ঈদের দিন কিভাবে যায় বুঝা মুশকিল। সত্যি আমার মনে হয় সব মেয়েদের জীবনই এমন, ঈদের দিন রান্না করতে করতে শেষ।তাই আর ঈদ দিনে কোথাও যাওয়া হয়নি। তবে ঈদের দিন সব কাজ শেষ করে, দুপুরে খাওয়া দাওয়া সবারই শেষ করে একটু রেস্ট নিয়েছি।তারপর বিকেলে আমরা কয়েক জন মিলে একটু নদীর পাড়ে হাঁটতে গিয়েছিলাম। তবে প্রকৃতির মাঝে এভাবে ঘুরতে অনেক ভালো লেগেছে, আর সবাই মিলে ঘুরার মজাই আলাদা।তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আমরা যেহেতু প্রায় পাঁচটার সময় বের হলাম। আসলে ঈদের দিন রান্না করে যখন সবাই বের হলাম তখন বেশ ভালোই লেগেছে। আসলে একদিকে যেমন প্রকৃতির মুক্ত বাতাস অন্য দিকে ঈদের আনন্দ দুটি মিলে বেশ ভালোই লেগেছে।
আমরা যখন নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম তখন নদীর পাড়ে দেখি অনেক লোক জন ঘোরাঘুরি করছে।আসলে ঈদের দিন দেখে মনে হচ্ছে অনেক লোকজন ঘুরছে।যদিও আমাদের নদীর পাড়ে এভাবে লোকজন প্রতি দিন ঘোরাঘুরি করে।আবার অনেক লোকজন নদীর ভিতরে নৌকা নিয়ে ঘুরছে। সত্যি এভাবে নদীর পাড়ে নৌকা দিয়ে ঘুরতে সবারই অনেক ভালো লাগে।
নদীর পাড়ে প্রকৃতির পরিবেশ পেলে আসলে অনেক ভালো লাগে। আমরা কিছু দূর যেতেই চোখে পড়ল সুন্দর কলার বাগান। আমার মেয়ে কলার বাগানের ভিতরে গিয়ে বেশ মজা করলো। আমার জা ও কলার বাগান দেখে অনেক ভালো লাগল। আমি আগে যদিও কলার বাগানে এভাবে ঘুরিনি।প্রথম দেখে বেশ ভালোই লেগেছে।
তারপর আরো কিছু দূর এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ল অনেক গুলো ছাগল। ছাগল গুলো দেখে একটু এগিয়ে গেলাম। অনেক লোকজন ছাগলকে ঘাস খাওয়াচ্ছে। এগুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আবার লোকজন বসে বসে গল্প করছে । সত্যি অনেক দিন পর এভাবে ঘুরতে অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
---|---|
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আসলে প্রকৃতির মাঝে অন্যরকম শান্তি অনুভূত হয়। ফটোগ্রাফির মাঝে গ্রামীণ দৃশ্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নদীর পাড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দরভাবে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া প্রকৃতির মাঝে শান্তি খোঁজে পাওয়া যায়, ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের কথা মনে পড়ে গেল। এমন কলার ক্ষেতে আমরা লুকোচুরি খেলতাম।ঈদের দিন দেখেই নদীর পাড়ে বেশি মানুষ এসেছিল।ঈদের দিন বিকেলে আপনার ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করে অনেক গুলো ফটো আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ঈদের দিন বিকাল বেলা বিনোদন কেন্দ্র গুলো আর নদীর পারে অনেক মানুষের জমায়েত হয়। নদীর পারে সময় কাটাতে আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া নদীর পাড়ে বিনোদন কেন্দ্র হয়, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলছেন আপু ঈদের দিন আসলেই সব মেয়েদের একই অবস্থা রান্নাবান্না থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ন পর্যন্ত অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে বিকেল বেলায় একটু রেস্ট দিয়ে তারপরে নদীর পাড়ে ঘুরতে গেছেন অনেক ভালো কাজ করছেন। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে সময় অনেক ভাল ছিল।
জি আপু সারাদিন কাজ শেষ করে বিকেলে এভাবে নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
জানেন তো আপু গরমের এই সময়টাতে এরকম গ্রামের মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার খুব একটা গ্রামে যাওয়াই হয় না। আর নদীর পাড় হলে তো কথাই নেই। মন জুড়িয়ে যায় পুরো। ছবিগুলো দেখছেন আমার ভাবছিলাম আমিও বোধহয় আপনার হাটা পথ দিয়েই হাঁটছি। ভীষন ভালো লেগেছে সত্যি।
জি ভাইয়া এটা সত্যি গ্রামের এই পথ দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।