হঠাৎ করে জন্মদিন পালন করা||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো হঠাৎ জন্মদিন পালন। আসলে জন্মদিন পালন করার মতো এবার কোন ইচ্ছে ছিল না। সকালে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসে সকল কাজ করছিলাম। মেয়ে স্কুল থেকে এসে বলল আম্মু আমার বান্ধবীদের বলে এসেছি, বিকালে এসে কেক কাটবে।কিন্তু আমি তো কিছুই করিনি। তখন বাজে ১২ টা। তারপর বাচ্চাদের রেখে চলে গেলাম কেক আনার জন্য। কেক, মুরগী ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কিছু কিনে নিয়ে চলে আসলাম দুটোর ভিতরে।যেহেতু ছোট বাচ্চাদের বলেছে তাদের একটু না খাওয়ালে কেমন হয় ।তারপর আমাদের পাশের কয়েকজনকে বললাম। সবাই সন্ধ্যার পরে আমাদের বাড়িতে এসে কেক কাটবে ও কিছু খাওয়া দাওয়া করবে। সময় অনেক কম ছিল তাই বেশিকিছু আয়োজন করতে পারিনি। তারপরে ও যা কিছু করেছি ভালোই হয়েছিল। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নিই হঠাৎ করে কিভাবে জন্মদিন পালন করলাম।
আমি বাইরে থেকে আসার পরে রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ওদিকে বাচ্চারা তাদের জন্মদিনের সকল আয়োজন করছে। আসলে সময় ছিল না বলেই অনেক কষ্ট করে সব কিছু করতে হয়েছে। কিছু না করলে তো বাচ্চাদের মন অনেক খারাপ হয়ে যাবে। তাই নিজের একটু কষ্ট হলে ও বাচ্চারা তো আনন্দ পাবে। তারপর এদিকে রান্না ও দিকে বাচ্চাদের রেডি করানো। কারণ বাচ্চারা ছোট একা একা কিছু করতে পারে না। ইতিমধ্যে আমার ভাসুরের ছেলে ও বউ এলো। তখন একটু সস্তির নিঃশেষ দেখতে পেলাম। উরা এসে এদিকে বাচ্চাদের রেডি করছে। তখন আমার আর বাচ্চাদের দিকে কোন নজর রাখতে হলো না। তারপর আমার জা এলো আমাকে রান্নার জন্য সাহায্য করল। আমার জা রান্না করল আমি সব যোগার করে দিলাম। যাইহোক মোটামুটি সন্ধ্যার পরপরই রান্না শেষ হয়ে গেল। এখন বাচ্চারা কেক কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই আগে কেক কাটা হল
তারপর শুরু হলো কেক কাটা। বাচ্চারা অনেক আনন্দের কেক কেটে উপস্থিত সবাইকে খাওয়ালো। বাচ্চাদের বিরিয়ানি খাবারের চেয়ে কেক অনেক বেশি প্রিয়।কেক খাওয়া শেষ হলে শুরু হলো গিফট দেওয়া। আসলে ছোট মানুষের দাওয়াত তাই গিফট ও ছোট ছোট।ছোট হোক বড় হোক গিফট তো গিফটই। এই ছোট গিফটেই বাচ্চারা অনেক খুশি। আমার মেয়ে গিফট পেয়ে মনে হচ্ছিল ওর কাছেই সব আনন্দ। কেউ কেউ টাকা দিয়েছে, সে টাকার দিকে ফিরে তাকাল না কারণ তার কাছে গিফট যথেষ্ট।সত্যি বলতে বাচ্চাদের একটা চকলেট দিলেই তারা মহা খুশি। যাইহোক বাচ্চারা খুশি ছিল তাই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
সব শেষে শুরু হলো খাওয়া দাওয়া। বাচ্চারা বিরিয়ানি বেশি পছন্দ করে তাই তাদের জন্য বিরিয়ানি তৈরি করা হয়েছিল। বিরিয়ানি খাওয়া শেষ হলে, সবাইকে একটু মিষ্টি মুখ করানো হলো । সবাই বসে এক সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করল। যাইহোক অনুষ্ঠানটা একটু ছোট হলেও আনন্দটা একটু বেশি ছিল। বাচ্চাদের আনন্দ দেখে মনে হচ্ছিল আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে। সর্বোপরি আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছিলাম।। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ভালো লাগলে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
আজ এখানেই শেষ করছ। আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময় অন্য কোন ব্লগ নিয়। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবে, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
জি ভাইয়া মেয়ের দাওয়াতের জন্য সব কিছু আয়োজন করা। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু, অনুষ্ঠানটা একটু ছোট হলেও আনন্দটা একটু বেশি ছিল, এর চেয়ে বড় পাওয়া বোধ হয় আর কিছুই নেই। জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, পেট পুরে খাওয়া, আবার গিফট পাওয়া সবকিছু মিলিয়ে আপনার মেয়ের মুখের হাসি সত্যিই পরম পাওয়া। আর বাবা মায়ের কাছে সন্তানের হাসিটুকু অত্যন্ত মূল্যবান। আপনার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে খুবই আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপু, আপনার মেয়ের জন্মদিন যেন প্রতিবছরেই এত হাসি ও আনন্দে ভরে থাকে এই কামনা করছি। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি ভাইয়া সব কিছু মিলে আমার মেয়ের মুখে হাসি ফুটেছে এটাই আমার কাছে অনেক পাওয়া।জি ভাইয়া দোয়া করবেন এমন দিন যেন বারবার ফিরে আসে ওর জীবনে।ধন্যবাদ
সবকিছু এত অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করা আপনার খুবই কষ্ট হয়েছে আপু। তবে বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সেই কষ্টগুলো করেছেন এবং তাদের আনন্দ দেখে আপনার কষ্ট সার্থক হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার প্রিয় মানুষটির জন্মদিন তাই কষ্ট তো একটু করতেই হবে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি তাকে। তার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। যাইহোক আপু ব্যস্ততম একটি দিনের মাঝেও অনেক সুন্দর ভাবে জন্মদিনের উৎসব পালন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সত্যিই আপু এত অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করা অনেক কষ্ট হয়েছে। প্রিয় মানুষের জন্য এতটুকু কষ্ট করে তার মুখে হাসি ফুটেছে, এই হাসি আমার স্বার্ধকতা । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বেশ আনন্দ করেছে মনে হচ্ছে বাচ্চারা। বাচ্চারা খুব সুন্দর আয়োজন করেছে ত। আপনার বিরিয়ানি এবং পায়েস দেখে ত খুব লোভ লাগছে। কেকটাও বেশ সুন্দর লাগছে। আসলেই বাচ্চারা একটু খুশি হলে মা বাবার মন ভরে যায়। ধন্যবাদ আপু।
সত্যি ভাইয়া বাচ্চারা একটু খুশি হলে মা বাবার মন ভরে যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি বারোটার পরে জন্মদিনের প্রস্তুুতি শুরু করে সন্ধার মধ্যে সব প্রস্তুুতি শেষ করলেন। তাও আপনি একা মানুষ এত কিছু করেছেন। খাবারের দিক দিয়ে বিরানি, পায়েস রান্না করলেন। তারপর যেটা দেখলাম বাচ্ছারা টাকার পরিবর্তে গিফটের দিকে মনযোগ বেশি। গিফট ছোট হোক বড় হোক সেটা গিফটই। কেকটা অনেক সুন্দর ছিল। সব মিলিয়ে আপনার মেয়ের জন্মদিনটা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
সত্যি ভাইয়া গিফট তো গিফটই, কেকটা সুন্দর হয়েছে যেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।