সুস্বাদু আমড়া রান্নার রেসিপি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট
প্রতিদিনের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে একটি রেসিপি নিয়ে। বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো আমড়া রান্নার রেসিপি। আমড়া রান্না অনেক মজা। আমার বাচ্চারা এভাবে আমড়া রান্না করে দিলে অনেক মজা করে খাই। একটু রস রস থাকলে তারা ভালো খায়। আপনারা চাইলে রস না রাখলে ও পারেন। আমরা কয়েকদিন আগে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার বাবার বাড়ি আমড়া গাছে অনেক আমড়া রয়েছে। সেখান থেকে আমি বেশ কিছু আমড়া এনেছি আচার বানানোর জন্য। কিন্তু আচার বানানো তাদের আর দেরি হচ্ছে না। তারা বলছে আমাদের এভাবেই রান্না করে দেও। তার জন্য অল্পকিছু আমড়া এভাবে রান্না করে দিয়েছি। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক আমি কি ভাবে আমড়া রান্না করেছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আমড়া | আধা কেজি |
কাঁচা মরিচ | ৩ টি |
হলুদ | সামান্য |
চিনি | ৪ চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমান মতো |
🥣ধাপ-১ 🥣
প্রথমে আমি আমড়া গুলো খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে প্রেশার কুকার এর ভিতরে দিয়েছি।
🥣ধাপ-২ 🥣
এখন আমড়ার ভিতরে চিনি লবণ,তেল, হলুদ ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৩ 🥣
সবকিছু দিয়ে মাখিয়ে একটু পানি দিয়ে দিলাম সিদ্ধির জন্য।
🥣ধাপ-৪ 🥣
এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছু সময় রান্না করে নিলাম।
🥣ধাপ-৫ 🥣
ঢাকনা খুলে এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব।
🥣ধাপ-৬🥣
ব্যাস এভাবে হয়ে গেল আমার আমড়ার রান্নার রেসিপি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনি সুস্বাদু আমড়া রান্নার রেসিপি করেছেন। আজকে আমি মাছ দিয়ে আমড়া রান্না করেছি। আসলে আমড়া দিয়ে খানা খেতে খুব মজা হয়। মুখে আলাদা একটি টেস্ট আসে। আপনার রেসিপি কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছে আর খেতে অনেক টেস্টটি। ধন্যবাদ
আমড়ার টক খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমড়ার টক ডাল এবং ভাতের সাথে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমিও কয়েকদিন আগে এভাবে আমড়ার টক রান্না করেছিলাম। আপনার আমড়া রান্নার রেসিপিটি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
হাহা আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার ভালো লেগেছে জেনে।
কি দেখাইলেন ভাই😋😋জিভে যে পানি চলে এসেছে🤤🤤।
গতবছর খেয়েছিলাম, আম্মু বানিয়েছিল।
অনেক ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন সম্পূর্ণ বিষয়টি।শুভ কামনা রইলো 😊🥰
জি ভাইয়া জল আসার মতো জিনিস। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনার রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে এলো।আমড়া এভাবে কখনও রান্না করা হয় নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। নিশ্চয়ই খুব ভালো হয়েছে খেতে।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সত্যি আপু অনেক ভালো হয়েছে। একদিন তৈরি করে খাবেন অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য জন্য।
আমড়ার যে কোন রেসিপি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমড়ার আচার খেতে অনেক মজা। রান্নার প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সহজভাবে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমড়া রেসিপি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালো লাগলো। আসলে রেসিপি টা অনেক সহজ ইচ্ছা করলে তৈরি করা যাবে। ধন্যবাদ
আজ যে পোস্ট আপনি দেখালেন তা দেখে তো জিভে জল সামলালোই মুশকিল। আমার এমনিতেই লবণ দিয়ে আমড়া খেতে ভালো লাগে আর যদি সেটা এভাবে তৈরি করা হয় তাহলে তো আর কথা নেই। খুবই ভালো হয়েছে আপনার এই রেসিপি। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
ভালো হয়েছে জেনে আমার অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে এলো।আমড়া এভাবে কখনও রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখতে সত্যিই অনেক লোভনীয় হয়েছে ৷ খেতেও নিশ্চয়ই খুব ভালো হয়েছে ৷ অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়াখেতে অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার আমড়া রান্নার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। ইচ্ছে করছে এখনই গিয়ে খেয়ে ফেলি। অনেকদিন হয়ে গেল আমরা রান্না খাওয়া হয়নি। ভাতের সাথে খেতে বেশ দারুন। ধন্যবাদ অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু ভাতের সাথে অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আমি কখনো এভাবে আমড়া রান্না করে খাইনি। কিন্তু আমড়ার আচার খেয়েছি অনেকবার। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। তাই আমি একবার বাসায় ট্রাই করে দেখব। আমড়া গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।
জি আপু এভাবে একদিন বাসায় ট্রাই করেন অনেক মজা লাগব। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
আমড়া যে রান্না করে খাওয়া যায় আপনার পোস্ট না দেখলে জানাই হতো না। আমার কাছে এই রেসিপি টা সতি একদমই ইউনিক লেগেছে। আমি কখনো একন আমড়া রান্না খাই নাই। আমি শুধু কাচা আমড়া খাই। যাইহোক এটি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো।
জি ভাইয়া এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবে অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।