পাঁচ্চর গোল চত্বরে ঘোরাঘুরি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
পাঁচ্চর গোল চত্বরে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো পাঁচ্চর গোল চত্বরে ঘোরাঘুরি। আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন, অনেকেই হয়তো জানেন। বেশকিছু দিন আগে আমার ভাইকে পাঁচ্চর বিয়ে করানো হয়েছে। পাঁচ্চর থেকে পদ্মাসেতু যেতে লাগে ২০ মিনিট লাগে। আমি কয়েকবার গিয়েছি ভাইয়ের শশুর বাড়িতে কিন্ত গত শুক্রবারে আমাদের সবাইকে দাওয়াত করেছিল। আর সেই জন্য আমরা অনেকেই গিয়েছিলাম। আগে কয়েকবার শুধু গাড়িতে গিয়েছি আবার গাড়িতে এসেছি কিছু দেখা হয়নি। তবে এবার একটু ঘুরাঘুরি করেছি ও অনেক মজা করেছি। তো চলুন দেখে নিই কোথায় কিভাবে ঘোরাঘুরি করেছি।
যেহেতু দূরে রাস্তা তাই আমরা সকাল সকাল রওনা দিলাম। যাবার সময় সবাই মিলে মাইক্রোতে গিয়েছি তাই সকাল ১০ টার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছি।যাবার পরে আমরা হালকা নাস্তা পানি খেলাম, তারপর আমার ভাইয়ের বউকে বললাম চলো আমরা গোল চত্বরে ঘুরে আসি। আসলে আমার ভাইয়ের শশুর বাড়ি থেকে গোল চত্বরে আসতে দশ মিনিট লাগে। তারপর আমি আমার বোন ও আমার ভাইয়ের বউ মিলে গোল চত্বরে আসলাম সাথে আমার হ্যাসবেন্ড ও আমার দুলাভাই ছিল তবে বাচ্চারা আসেনি।যাইহোক কয়েক মিনিটের মধ্যে আমরা পাঁচ্চর গোল চত্বরে পৌঁছালাম। ।
গোল চত্বর থেকে আবার আমাদের ফরিদ পুরের বাসে উঠতে হয়। তাই আমরা আসার সময় বাসে করে আসবো সেটা দেখে নিলাম।শুধু সবার মুখে শুনেছি গোল চত্বর এলাকা দেখতে অনেক সুন্দর, আজ নিজে গিয়ে চারপাশ ঘুরে দেখলাম আসলেই অনেক সুন্দর। আমরা এখানে বেশকিছু ক্ষণ ঘুরাঘুরি করেছি অনেক ভালো লেগেছে।
গোল চত্বরের পাশের রাস্তা দিয়ে এগোতে সামনে পড়লো ব্রিজ। রাস্তা ওপর দিয়ে ব্রিজ, ব্রিজের ওপর দিয়ে অনেক লোক জন যাওয়া আসা করে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, তাই আমি ও আমার ভাইয়ের বউ মিলে ব্রিজের ওপর দিয়ে হেঁটে এসেছি। সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে।
ব্রিজের ওপর থেকেই আমরা দেখতে পেলাম নদী।ওপর থেকে নদী দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমরা তারাতাড়ি নেমে সবাই মিলে চলে আসলাম নদীর কাছে। নদীতে মাছ মারার জন্য আলাদা আলাদা করে কাটা দিয়ে রেখেছে।। তবে আমাদের একটু দূর থেকে দেখতে হয়েছিল। নদীর ভিতরে পাথর গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমরা সবাই মিলে নদীর পাশে অনেক ক্ষণ ঘুরাঘুরি করেছি।আসলে আমি মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যায় কিন্তু কখনো সবাই মিলে এভাবে ঘোরাঘুরি করার সুযোগ হয়নি। সত্যি সবাই মিলে এভাবে ঘুরতে অনেক ভালো লেগেছে।ঘুরাঘুরি করতে সবাই পছন্দ করে আর যদি সাথে আপনজন থাকে তাহলে আরো অনেক ভালো লাগে। আমি এবার মনে হয় একটু বেশি আনন্দ পেয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
পাঁচ্চর গোল চত্বরে ঘুরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছেন তাইতো অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। যেহেতু নতুন বউ আপনাদের সাথে ঘুরাঘুরি করছিল তাই আনন্দ আরও বেড়ে গিয়েছে। অনেক সময় অনেক জায়গায় বাচ্চাদেরকে না নিয়ে যাওয়াই ভালো হয়। যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জি আপু এমনিতেই নতুন জায়গা আর সাথে নতুন বউ সব মিলে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি।আর আপু আমরা তাড়াতাড়ি চলে আসবো তাই বাচ্চারা যেতে চায়নি দেখে নেওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপু।
নদীর পাড়ে দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করলে। আসলে নদীর পারে ঘুরতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি। আপনাদের সাথে যেহেতু নতুন বউ ও ঘুরাঘুরি করেছিল তাই একটু বেশি আনন্দ করেছেন মনে হচ্ছে। আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্তের পোস্ট পড়ে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
সত্যি ভাইয়া নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ভাইয়ের নতুন বউকে নিয়ে ব্রীজের উপর থেকে নদী দেখে আবার নীচে নেমে নদীর কাছে এলেন। আর খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। নদীর পারে ঘোরাঘুরি আর বেশকিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপু
পাচ্চোর গোল চক্কর নাম টা আজ প্রথম শুনলাম। তাই একটু হাসিও আসছিল। আপনারা নতুন বউ কে নিয়ে পদ্ধা সেতুর কাছাকাছি পাচ্চোর গোল চত্বরে বেড়াতে গেলেন। তাও আবার নতুন বউ। কি মজাই না করেছেন আপনারা। তা আপনার পোস্ট এর প্রতিটি লাইন পড়ে বুঝাই গেল। আবার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ী নাকি দাওয়াত ও খেয়েছেন। কত ভাল ভাল খাবার তাই না? তবে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সব যায়গাই কিন্তু যাওয়াও বেশ মুশকিল।
আপু দাওয়াত থাকলে খাওয়া দাওয়া তো ভালো হবেই।আর সব জায়গায় বাচ্চাদের নিলে বিরক্ত বোধ করে । ধন্যবাদ আপু।