দুই বান্ধবীর ভালোবাসা ২য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
দুই বান্ধবীর ভালোবাসা ২য় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মত আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি দুই বান্ধবীর ভালোবাসার শেষ পর্ব নিয়ে। আসলে পৃথিবীতে এখনো কিছু বন্ধুবান্ধব আছে যা নিজের জীবনের থেকেও অনেক বড় কিছু। তবে বর্তমানে এমন বান্ধবী খুব কমই পাওয়া যায়। যাইহোক নীলা মেঘলার ভালোবাসার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। মেঘলাকে যখন নীলা তার বরকে দেখানোর জন্য নিয়ে গেল। মেঘলা হৃদয়কে দেখে অবাক হয়ে গেল । মেঘলা যেন আকাশ থেকে পড়ছে তার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল। ইতিমধ্যে নীলার বাবা নীলাকে ডাকল। তখন নীলা মেঘলাকে তার বরের সাথে কথা বলতে দিয়ে চলে আসলো।
তখন মেঘলা হৃদয় কে জিজ্ঞেস করল আরে হৃদয় তুমি। কিন্তু হৃদয় কোন উত্তর দিলো না, বলল আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি কিভাবে আপনাকে চিনব আমি তো কখনো আপনাকে দেখিনি। মেঘলার হৃদয়ের সাথে কাটানো সব কথা মনে পড়ে গেল আর হৃদয়ের কথা শুনে অবাক হতে লাগলো। আসলে হৃদয়ের ও মেঘলার সব কথা মনে পড়েগেল কিন্তু হৃদয় বুকে পাথর বেঁধে সব কিছু না স্বীকার করল।তারপর মেঘলা হৃদয়ের ঘর থেকে বের হয়ে আসলো।তখন মেঘলা নীলাকে সব কথা বলার জন্য খুঁজছে।
এদিকে নীলাকে বিয়ে পড়ানোর জন্য সবাই নিয়ে যাচ্ছে। যাবার সময় মেঘলা হৃদয়ের বাবাকে দেখতে পেল। তখন মেঘলা বাবা বলে ডাকতে শুরু করলো। নীলার বাবা বললো পরে তোমার কথা শুনবে আগে বিয়ের কাজটা কমপ্লিট করি।তখন মেঘলা সিদ্ধান্ত নিল যে করেই হোক এই বিয়ে আটকাতে হবে। কারণ হৃদয় থেকে শুরু করে তার বাবা-মা কেউ ভালো মানুষ না নীলার জীবনটাও শেষ করে দেবে আমার মত। তবে মেঘলার মুখে ভাষা না থাকলে সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে মেঘলা সুযোগ খুজছে কিভাবে নীলাকে সব বলবে।আর মেঘলা ভাবতে লাগলো মানুষ কতটা খারাপ হলে নিজের সন্তানকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করতে পারে। যেহেতু হৃদয়ের বাবা-মার দ্বারা সবই সম্ভব তাই মেঘলা কিছুতেই নীলাকে হৃদয়ের সাথে বিয়ে হতে দেবে না।
নীলা ওয়াশ রুমে যাবার জন্য বিয়ের আসর থেকে বের হল। আর তখন মেঘলা নীলার সাথে কথা বলল । নীলাকে একটু আড়ালে নিয়ে গিয়ে বলল তুই আমাকে দুই মিনিট সময় দে।তারপর নীলাকে মেঘলা সকল কথা খুলে বললো।আসলে নীলাকে সব বলার আগেই মেঘলা বিষ পান করেছিল।নীলাকে বলতে বলতে মেঘলা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেল। তখন সবাই মেঘলার কাছে এসে জড়ো হল।তারপর নীলা আর হৃদয়কে বিয়ে করবে না। নীলা তার বাবাকে সব বলে দিল। কিন্তু নীলার বাবা নীলাকে জোর করে হৃদয়ের সাথে বিয়ে দিতে চাইল। এদিকে সবাই মেঘলার লাশ বাড়িতে দেবার ব্যবস্হা করছে। আর এই সুযোগে নীলা নিজের রুমে গিয়ে গলায় দড়ি দিল। মেঘলার লাশ পাঠানোর আগেই নীলার লাশ নামালো।আসলে নীলা মেঘলার মৃত্যুকে কখনো মেনে দিতে পারিনি।তারপর নীলার বাবা মেয়ের শোকে পাথর হয়ে গেল। আর ভাবতে লাগলো আমি যদি মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিতে না চাইতাম তাহলে এমন হতো না। এদিকে মেঘলার ঘটনা সবাই নীলার মুখে শুনে পুলিশ নিয়ে আসলো। তারপর হৃদয়ের পুরো পরিবারকে নিয়ে গেল পুলিশ। সত্যি হৃদয়ের পরিবারের এমন করার উচিত হয়নি। আসলে তাদের একটু ভুলের জন্য তিনটি জীবন শেষ।হৃদয় বেঁচে থেকেও মৃত্যুর মতো আছে।আসলে আমাদের ভেবে চিন্তে সব কাজ করা উচিত।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
যদিও বা আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি আমার তবে আজকের পর্বে এতটুকু বুঝতে পেলাম যে নীলাও মেঘলার বন্ধুত্বের ভালোবাসা কতোটা গভীরে ছিলো।আসলে বন্ধু খুব ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর মর্ম অনেক বেশি আর তাই ফুটে উঠেছে নীলাও মেঘলার এই গল্পটিতে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।