দুঃখের জীবনে দুঃখই থাকে ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
দুঃখের জীবনে দুঃখই থাকে ১ম পর্ব
নীপার দুঃখ ভরা জীবন। নীপা যখন চার বছরের তখন নীপার মা মারা যায়। নীপার আগের একটা বোন ছিল, সে নীপার থেকে দশ বছরের বড়।যাইহোক নীপার যখন চার বছর তখন তার মা মারা গেছে নীপাকে তার খালা নিয়ে গিয়েছিল। খালার অভাবের সংসার।নীপাদের দুই বোনকে নিয়ে সে কোনরকম সংসার চালাতো।
এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল।নীপার বাবা আবার বিয়ে করলো। নীপা আর তার বোন খালার কাছেই বড় হতে লাগলো।নীপার খালার একটা ছেলে হলো।এখন সবাইকে নিয়ে চলতে নীপার খালার অনেক কষ্ট হলো। এদিকে নীপার বাবা তেমন কিছু করে না মানুষের বাড়িতে দিন মজুর খাটে। সে তার সংসার চালিয়ে নীপাদের কিছু দিত। ইতিমধ্যে নীপার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেল। নীপা কিন্তু অনেক সাহসী মেয়ে। আসলে ছোটবেলা থেকেই দুঃখের মধ্যে মানুষ হয়েছে তাই কোনরকম হাই স্কুল অব্দি উঠেছে। কোন মতে খাওয়াতে পারে না আবার লেখাপড়া। এভাবে কোনরকম খেয়ে পড়ে তারা সুখেই ছিল। আসলে শুধু টাকা পয়সা থাকলে সুখ হয় না।একদিন নীপার খালার কাছে নীপাদের পাশের বাড়ির একজন লোক বললো তোমার ভাগ্নিকে বিয়ে দেবে।তখন নীপার খালা বললো আসলে আমরা ভালো পেলে বিয়ে দিয়ে দেব। ওর লেখাপড়া করানোর মতো আমাদের সামর্থ নেই।
তবে আপনাদের কে আছে, যে নীপাকে বিয়ে দিতে যান। তখন সে বললো আছে অনেকেই। তবে আমাদের ঘর থেকে আপনারা মেয়ে নেবেন নাকি?আসলে নীপার বয়স তেমন না (১২-১৪) বছর হবে হয়তো।তখন নীপার খালার প্রতিবেশি তার ভাইয়ের জন্য নীপাকে প্রায় ঠিক করে ফেলল।প্রতিবেশির নাম হলো আরজু। আরজুর স্বামী একজন ব্যাংকার। আরজুরা হলো ছয় বোন এক ভাই। নীপাকে আরজুর ভাইয়ের সাথে নিতে চায়।আসলে নীপা দেখতে বেশ সুন্দর আর আরজুর ভাইয়ের আবার একটা সমস্যা ছিল, ছোটবেলা থেকে রক্ত দিতে হতো।প্রতি মাসে একবার করে রক্ত দিতে হয়।যদিও অনেক দিন ধরে এখন আর রক্ত দিতে হয় না, বেশ ভালোই আছে। আাবার আরজুদের বাড়ি বেশ ভালোই।
এই প্রস্তাব পেয়ে নীপার খালা নীপাকে বিয়ে দেবে। তারপর নীপার বাবা বললো আমাদের ঘরের মেয়ে উনারা নিতে চেয়েছে এটাই তো অনেক। আরজুর ভাইয়ের আবার বেশ ভালোই একটা দোকান রয়েছে রোডের পাশে।আসলে নীপার বাবা অনেক অসহায়, ১৫ বছরের মতো হবে নীপার বয়স।তখন নীপার বাবা নিজেই নীপার বিয়ে ঠিক করলো আরজুর ভাইয়ের সাথে।( চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনি তো সুন্দর গল্প শেয়ার করেন আপনার গল্প গুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রামের পরিবেশে সেই সুখ দুঃখের গল্প গুলো আপনি শেয়ার করেন। আজকেও নিপার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। নিপাকে বিয়ে দেওয়ার পর কি হয় ঘটনাটি জানার জন্য অনেক আগ্রহী।
আসলে আপু এই গল্পটা গল্প নয় বাস্তবে ঘটে যাওয়া কাহিনি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি পড়ে বুঝতে বুঝতে পারলাম নিপার জীবনে নিশ্চয় কোন বড় ঝড় আসতে চলেছে। জানার অপেক্ষায় রইলাম যে পরের পর্বে নিপার জীবনে কি ঘটতে চলেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
জি আপু শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসবো ধন্যবাদ আপু