হাতে মেহেদী দেওয়ার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

হাতে মেহেদী দেওয়ার অনুভূতি

1000013813.jpg

1000013817.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে ঈদে সবাই মেহেদী নেবার জন্য ব্যস্ত থাকে। সত্যি বলতে আমি ও আগে সব সময় মেহেদী পড়ার জন্য ব্যস্ত ছিলাম কিন্তু এখন আর তেমন মেহেদী পড়ার সময় পায়না।আর যদিও পায় তবে পড়ার জন্য তেমন ইচ্ছে করে না। কারণ সব সময় কাজের ওপরে থাকতে হয় । আর মেহেদি পড়ে কাজ করলে আসলে মেহেদি হাত থেকে উঠে যায় তাই আর ইচ্ছে করে মেহেদী পড়ি না । আর ঈদের সময় কোথাও বের হবার উপায় থাকে, শুধু রান্না ঘরেই থাকতে হয়। কি আর করা যাবে আমার মনে হয় মেয়েদের জীবনি এমনি। যাইহোক গতকাল বাবার বাড়িতে এসেছি তাই ভাবলাম হাতে একটু মেহেদী পড়ি।আসলে বাবার বাড়িতে মেয়েদের কোন কাজ নেই। সেখানে মেয়েরা স্বাধীন ভাবে শুয়ে বসে থাকলে কেউ কিছু বলার থাকে না। যাইহোক যেহেতু সুযোগ পেয়েছি তাই বসে পড়লাম মেহেদী পড়ার জন্য। সত্যি অনেক দিন পরে এভাবে মেহেদি পড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তাই চলে আসলাম, তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000013779.jpg

1000013780.jpg
প্রথমে হাতে এভাবে কয়েকটি গোল গোল করে নিয়েছি। তারপর পাশ দিয়ে এভাবে ফুলের মতো করে নিয়েছি।

1000013781.jpg

1000013784.jpg

চিত্রের মতো কয়েকটি ফুল এঁকে নিয়েছি।তারপর ফুলের ভিতরে এভাবে ডিজাইন করে নিয়েছি। আবার ওপর দিকে ফুলের মতো করে নিয়েছি।

1000013786.jpg

1000013787.jpg
ফুলের ভিতরে এভাবে সম্পূর্ণ ডিজাইন করে নিয়েছি। তারপর ফুলের পাশে এভাবে দুটি করে দাগ দিয়ে নিয়েছি।

1000013788.jpg

1000013790.jpg

ফুলের পাশে এভাবে আরো দুটি ফুল করে নিয়েছি। তারপর ফুলের ভিতরে এভাবে ডিজাইন করে নিয়েছি। তারপর মাথার দিকে আরো ডিজাইন করে নিয়েছি।

1000013796.jpg

1000013808.jpg

তারপর মাথার দিকে আরো এভাবে কিছু ডিজাইন করে নিয়েছি। আসলে ছোট ছোট ডিজাইন গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তারপর আবার ফুলের নিচের এভাবে একটু ডিজাইন করতে শুরু করলাম।

1000013813.jpg

এভাবে সম্পূর্ণ ডিজাইন করে নিয়েছি। সত্যি সম্পূর্ণ ডিজাইন করার পরে দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  
 2 months ago 

বাবার বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে হাতে মেহেদি দিয়েছেন আপু। মেহেদির ডিজাইন টা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। হাতে মেহেদি পড়ে কাজ করলে খুব সহজেই মেহেদি উঠে যায়। শ্বশুরবাড়িতে ঈদের মধ্যে সারাদিন রান্নাবান্না ব্যস্ততায় আপনি মেহেদি দিতে পারেন না। তবে এবার বাবার বাড়িতে গিয়ে মেহেদি দেওয়ার ইচ্ছাটা পূরণ হলো। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।

 2 months ago 

ঈদ আসলে মেহেদী আর্ট করার কাজ বেড়ে যায়। প্রত্যেক বাড়িতে যেন মেহেদী ডিজাইন এর কার্যক্রম চলে। আমিও পছন্দ করি এ মেহেদী আট করতে। খুবই ভালো লাগলো অনেক সুন্দর একটি মেহেদী আট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন তাই। হ্যাঁ কথা বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে আপনার এই মেহেদি ডিজাইন।

 2 months ago 

আপনি পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

খুব সুন্দর ভাবে হাতে মেহেদি দেওয়ার অনুভূতি এবং মেহেদী আর্ট টি তুলে ধরেছেন। মেহেদী আর্ট টি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। আসলেই বিয়ের আগে মেহেদী দিতে খুব ভালো লাগতো এখন আর ইচ্ছায় করে না ঠিক বলেছেন। খুব দ্রুত উঠে যায় মেহেদি কাজ কর্মের কারণে। আমিও বাবার বাসায় গেলে প্রচুর মেহেদী দিয়ে থাকি।তখন কাজ থাকে না মেহেদী দিতে বেশ ভালই লাগে। খুব সুন্দর ভাবে সবকিছু উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আপু বিয়ের আগে মেহেদী দিতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু হাতে মেহেদি পড়ে কাজ করলে হাতের মেহেদি উঠে যায়। আর সেজন্যই হয়তো এখন আর মেহেদি পড়া হয় না। আর বাবার বাড়িতে গেলে শান্তি আর শান্তি। মেহেদির ডিজাইনটি দেখে ভালো লাগলো। ডিজাইনটি খুবই সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু।

 2 months ago 

আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

আপনার এত সুন্দর মেহেদি ডিজাইন আর্ট দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই আর্ট তৈরি করা। আসলে এই মুহূর্তে সবাই কম বেশি আর্ট করেছে এবং সুন্দর সব পোশাক পরিধান করে বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করেছে। যাহোক দারুণ ছিল কিন্তু।

 2 months ago 

আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আসলে এখন আর আগের মতো মেহেদি দিতে ইচ্ছে করেনা। তবে ঈদের সময় মেহেদী না দিলে একেবারে ভালোই লাগেনা। আসলে কখনো মেহেদী দেওয়া হয় না হাতে খুব একটা। তবে ঈদের সময় একটু দেওয়ার চেষ্টা করি। ঈদের সময় আপনার হাতে মেহেদি না দেওয়া হলেও, বাবার বাড়িতে আসার পরে হাতে মেহেদি দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। পুরো ডিজাইনটা কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে আপু। আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে এই মেহেদির ডিজাইন।

 2 months ago 

সত্যি আপু ঈদের সময় মেহেদী পড়তে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

ঈদের সময় হাতে মেহেদি না দিলে মনে হয় ঈদ হয় না মেয়েদের। বেশিরভাগ মেয়ে তো ঈদের আগের দিন অবশ্যই মেহেদি দিবে। তবে মেহেদি দিলে অনেক সুন্দরই লাগে মেহেদি রাঙা হাত। আপনি অনেক সুন্দর করে মেহেদি দিয়েছেন। শ্বশুরবাড়িতে কাজের জন্য দিতে না পারলেও বাবার বাড়িতে এসে দিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। মেহেদির ডিজাইন টা কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। সিম্পলের উপর গর্জিয়াস একটা ডিজাইন ছিল এটা। পুরোটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে।

 2 months ago 

আসলে বাবার বাড়িতে মেয়েরা বেশির ভাগ সময় মেহেদী পড়ে, আর তখন মেহেদী পড়তে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আপনার সাথে আমার বেশ মিলে গেছে আপু। আমিও বাবার বাড়িতে এসে হাতে মেহেদি লাগিয়েছি। কারণ ঈদে শ্বশুরবাড়িতে অনেক কাজ ছিল।আর ঠিক বলেছেন বাবার বাড়িতে মেয়েদের কোন কাজ থাকে না। যাইহোক মেহেদি ডিজাইন টা অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার হাতে মেহেদি লাগানোর মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

সত্যি আপু ডিজাইন টা অনেক ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

ঈদের সময় হাতে মেহেদি না দিলে মনে হয় ঈদ হয় না। মেহেদি নিজের হাতে দিতে এবং অন্যের হাতেও দিয়ে দিতে দুটোই অনেক পছন্দ করি আমি। খুব ভালো লাগলো আপু অনেক সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি।আবার দেখছি আপনি বাবার বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে হাতে মেহেদি লাগিয়েছেন। আপনার মেহেদীর ডিজাইন টা অনেক চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.033
BTC 64258.81
ETH 2772.25
USDT 1.00
SBD 2.65