সঞ্চয় উত্তোলনের অভিজ্ঞতা||১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো সঞ্চয় উত্তোলনের অভিজ্ঞতা। আমি তেমন কোন সমিতি করি না। তবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক নামক একটি সমিতি আমাদের বাড়িতে বসে।সমিতিটি এখানে এসেছিল (১-১-১৭) সালে । তখন অনেকেই সমিতিতে ভর্তি হয়েছিল সাথে আমি ও ভর্তি হই। ভর্তি হবার সময় উনারা বলেছিল প্রতি মাসে ২০০ টাকা জমা দিতে। ২০০ টাকা জমা দিলে উনারা ৪০০ টাকা দেবে।২০০ টাকা করে ৫ বছরে যত সঞ্চয় হবে তার ডাবল দেবে।এখন পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েগেছে। তাই ভাবলাম সঞ্চয় গুলো তুলে নেব।তার জন্য আরকি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে যাওয়া। কিন্তু সঞ্চয় গুলো তুলে আনতে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। চলুন দেখে নিই কি অভিজ্ঞতা হলো ।
এখন টাকা গুলো তোলার জন্য আমি বাসা থেকে বের হলাম। তারপর অটোতে করে চলে গেলাম উপজেলায়।আমার বাসা থেকে উপজেলায় যেতে খুব বেশি সময় লাগে না। ২০ মিনিটের মতো লাগে। আমি আগে ও উপজেলায় কয়েকবার গিয়েছি। তবে একা না সাথে লোক ছিল। এবার ভাবলাম বেশি সময় লাগবে না তাই আমি একাই গিয়েছি। তারপর উপজেলার গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম। আসলে গেট দিয়ে ঢুকতে প্রথমে চোখে পড়ল উপজেলা পরিষদ সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন।আমি ভবনটির সামনে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম।আসলে ভবনটি দেখতে অনেক ভালো লেগেছে । তারপর দাঁড়ানো অবস্থায় আমাদের সমিতির আপাকে ফোন দিলাম। আমাদের সমিতির আপার নাম হলো সালমা আপা।সামলা আপা আমাকে বলল আপনি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করুন।এই বলে আমি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ভিতরে ঢুকে গেলাম।
এখন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ভিতরের পরিবেশ। আসলে আমি অনেক বার এসেছি ব্যাংকে কোন কাজ ছাড়া। তাই ভিতরের পরিবেশ সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা ছিল না। আমি ভেবেছি ভিতরে গেলে মনে হয় কিছু ক্ষণের মধ্যে টাকা গুলো দিয়ে দেবে। কিন্তু ভিতরে গিয়ে দেখলাম সব উল্টা।প্রথমে যেয়ে দেখলাম সালমা আপা নেই।সালমা আপা না থাকায় মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। । তারপর আমি সালমা আপাকে আবারো ফোন দিলাম। আপা আপনি বলেন, আপনি আছেন, আসতে তাহলে কই আপনি?তখন সালমা আপা বলল আপা আপনাকে আসতে বলেছি, আমি ও ছিলাম। কিন্তু আমার জরুরি কাজের জন্য অন্য জায়গা আসতে হয়েছে। আপনাকে না বলিনি কারণ আপনি তো অটোতে তখন চলে এসেছেন। আমি বললাম ঠিক আছে এখন কি করব বলুন।সালমা আপা বলল রাবিয়া আপার কাছে আপনার বই দেন।রাবিয়া আপা আপনাকে কি করতে হবে বলে দেবে।রাবিয়া আপা বলল আপা একটু বসুন আমার হাতের কাজ শেষ করে নিই। আমার আর ভালো লাগছে না। কিছু ক্ষণ পর রাবিয়া আপা আমাকে ডাকলেন, বলেন আপনি কয়েক জায়গা সই করুন। তারপর আমি কয়েক জায়গায় সই করলাম। আমার সঞ্চয় হয়েছিল ১৩০০০ টাকা, তারা বলেছিল ডাবল দেবে কিন্তু অবশেষে ২০, ০০০ টাকা দেবে বলেছে লাভ সহ।।যাইহোক সঞ্চয় উত্তোলন মানে নিজের টাকাই নিজেকে ফেরত দেওয়া।
এখন আর একটা সই দিয়ে টাকাগুলো হাতে নিলাম। আসলে টাকাগুলো তুলতে অনেক সময় লেগেছে। যদিও সালমা আপা থাকলে এতো সময় লাগতো না। যাইহোক অবশেষে টাকা গুলো হাতে পেয়েছি এটাই বড় কথা। তবে মাসে ২০০ টাকা তো আর হাতে থাকতো না এখন একবারে পেয়েছি অনেক ভালোই লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
পোষ্টের | বিবরণ |
---|---|
ডিভাইস | LGK30 |
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
লোকেশন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি । আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
সমিতি করার এটাই একটা বড় সুবিধা প্রত্যেক মাসে অল্প অল্প করে জমানো টাকা একটা সময় একবারে হাতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের কথা অনুযায়ী তো আপনাকে ১৩০০০ টাকার পরিবর্তে ২৬ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল। যাইহোক ২০ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন এটাও অনেক ভালো কিছু ।কেননা এই ২০০ টাকা করে প্রত্যেক মাসে যদি জমা না রাখতেন তাহলে এই টাকাটা পেতেন না। সব টাকা আগেই খরচ হয়ে যেত।
জি ভাইয়া জমা না রাখলে সব টাকা আগেই খরচ হয়ে যেত
কিন্তু একবারে পেয়েছি অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ
সঞ্চয় হলো একটি ভবিষ্যৎ৷ যা আপনি ধীরে ধীরে জমা করেছেন ৷ আর মাসে এই দুইশো টাকা কত খরচ হয়ে যায় ৷ আপনার ৫টি বছর ধরে জমা করে আজ একসাথে একটা মোটা অংকের টাকা পেলেন ৷যেটা আপনি এখনো কাজে লাগতে পারবেন ৷
যা হোক খুব ভালো লাগলো আপনার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের টাকা উঠানোর গল্পটা ৷
আপনার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে টাকা উঠানোর অভিজ্ঞতা খুব ভালো লাগলো। আবার খারাপ লাগলো এইটা জেন ডাবল দেওয়ার পরিবর্তে অর্ধেক দিয়েছে। যাইহোক আপু অল্প অল্প কিছু জমিয়ে একসাথে অনেকগুলো টাকা পেয়েছেন এটাই অনেক। এখন আপনি এই টাকাটা কোন একটা কাজে লাগাতে পারবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ডাবল দেওয়ার পরিবর্তে তা দেইনি।সত্যিই একবারে এতো গুলো টাকা পেয়ে অনেক খুশি। ধন্যবাদ
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে সঞ্চয় তুলতে বলে অবশ্যই আপনাকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একজন সদস্য হতে হবে। আমার বড় ভাই ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরি করে আর এটা বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার দ্বারা পরিচালিত। আর যে কোন জায়গায় নিজের একজন পরিচিত লোক থাকলে ভোগান্তিটা অনেক কম হয় যেমন আপনার পরিচিত সালমা আপা যদি সেখানে থাকতো তাহলে আপনি আরো অল্প সময় কাজ শেষ করতে পারতেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিচিত লোক থাকলে ভোগান্তিটা অনেক কম হয়।মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমি মনে করি আমাদের চলার পথে সঞ্চয় করাটা অনেক জরুরী। কারণ আমরা সাধারণত সব টাকাই খরচ করে ফেলি। কিন্তু দেখা যায় যে আমাদের প্রতিনিয়ত খরচের থেকে যদি কিছুটা টাকা আমরা এভাবে সঞ্চয় করি তাহলে সেটা একদিন বড় একটা মতে পরিণত হয়। আপনার ক্ষেত্রেও দেখুন ২০০ টাকা করে রেখেছেন কিন্তু এখন ২০ হাজার টাকা পেলেন একসাথে। যদিও তারা ডাবল দেবে বলে দেয়নি। এরকম অনেক জায়গায় হয়ে থাকে তারা অনেক কিছুর ভ্যাট বলে পুরো টাকাটা দেয় না। কিন্তু তাও আমি মনে করি এটা বেশ ভালো একটি কাজ। যেহেতু একসাথে এতগুলো টাকা পাওয়া যায়।
সত্যি বলেছেন আপু আমাদের চলার পথে সঞ্চয় করা জরুরি । আসলে একশ, দুশত টাকা হাতে থাকে না। আর এভাবে জমা রাখলে এক সময় অনেক টাকা হয়। তখন অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে প্রশংসানীয় মন্তব্যের জন্য।
দয়া করে বানানের প্রতি একটু যত্নশীল হোন, নিজের পোষ্টটা একটু পুনরায় পড়ে দেখুন, টাইটেল এ একটু বানান ভুল আছে সেটা ঠিক করে নিন।
ঠিক আছে ভাইয়া ঠিক করে নিয়েছি। বলার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।