জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কিছু সময়||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ

PhotoCollage_1676803337668.jpg

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো জন্মদিন অনুষ্ঠানে কিছু সময়। আমাদের সাথে আমি জন্মদিনের গিফট কেনা শেয়ার করেছিলাম কয়েক দিন আগে। আমার ভাতিজার ছেলের প্রথম জন্মদিন। প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে তার বাবা মার ইচ্ছে একটু অনুষ্ঠান করা।তাই আমাদের কয়েক জন ও তাদের আত্মীয় স্বজন মিলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আসলে প্রতিটি বাবা মার ইচ্ছে থাকে তার সন্তানকে নিজের মতো করে মানুষ করা, কিন্তু সবার সব ইচ্ছে তো আর পূরণ হয় না। তারপরেও সবাই সবার সাধ্য মতো চেষ্টা করে আরকি।আর যাইহোক প্রথম জন্মদিনের অনুভূতি বাচ্চার থেকে বাবা মার বেশি থাকে।তো চলুন শুরু করি আমরা জন্মদিনে কিভাবে কাটালাম।

20230215_152411.jpg

20230215_152409.jpg

প্রথমে আমরা রেডি হয়ে চলে গেলাম তখন দুপুর তিনটা বাজে।আসলে আমাদের যেতে একটু দেরি হয়েছিল।তারপর আমরা যেতেই দেখি গেটের সামনে লোকজন সাউন্ড বক্স ছেড়ে নাচ করছে। আমাদের দেখে নাচ ছেড়ে সবাই লাইন ধরে দাঁড়ালো বললো আপনারা আগে ভিতরে গিয়ে খেয়ে নিন তারপর আমরা আবার নাচ করবো।আমরা বেশ কয়েক জন মিলে একসাথে গিয়েছিলাম। তাই আমরা আর নাচের জায়গায় না দাঁড়িয়ে সোজা চলে গেলাম খাবারের জায়গায়।

20230215_154524.jpg

20230215_152513.jpg

20230215_152428.jpg

যেহেতু তিনটা বেজে গেছে তাই ভাবলাম আগে বাচ্চাদের খাবার দিতে বলি। ভিতরে যাবার সাথে সাথে সবাই টেবিলে বসে পড়লো খাবারের জন্য।সত্যি বলতে যেহেতু দুপুর সময় তাই সবারই ক্ষুধা পেয়েছে। তারপর টেবিলে বসার কিছু ক্ষণ পরে খাবার চলে আসলো।চিকেন বিরিয়ানির সাথে ছিল সালাদ আর পায়েস। আমরা বাচ্চাদের আবার চিকেন বিরিয়ানির অনেক পছন্দের। তবে একটু ঝাল হলে তারা আর খায় না। বিরিয়ানিতে সামান্য একটু ঝাল হয়েছে তাই তারা সামান্য খেল।কি আর করা আমার ছোট মেয়েকে একটু পায়েস খেতে দিলাম আর বড়টা তাও খেল না।তবে একটু ঝাল হলেও বিরিয়ানি কিন্তু অনেক মজা হয়েছিল। খাবার খাওয়া শেষ করা হলে সবাই রইল আমি চলে আসলাম। কারণ কেক কাটবে সন্ধ্যায় তাই বাচ্চাদের রেখে আমি চলে আসলাম।

20230215_184346.jpg

20230215_183743.jpg

বাসায় এসে টুকিটাকি সব কাজ সেরে নিলাম। তারপর সন্ধ্যার পরে আবার চলে আসলাম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। তারপর যেয়ে দেখি সবাই অনেক আনন্দ করছে। আর সবাই সবারই মতো ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত।এখন আমি ও গিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম। তারপর সুন্দর করে বেলুন ফুলিয়ে ঘরটা সাজানে হলো। তবে বাচ্চা তো ছোট এগুলো দেখে কান্না শুরু করে দিল।কিছুতেই তাকে কেক কাটাতে পারছিল না।

20230215_184332.jpg

20230215_184519.jpg

20230215_184458.jpg

তারপর তার বাবা কোন রকম একটু দাঁড় করালো কেক কাটার জন্য। আসলে সবারই প্রথম জন্মদিন এমনি হয় কারণ তখন তারা বুঝতে পারে না। বাচ্চার বাবা ও দাদি মিলে জোর করে দাঁড় করালো। তারপর একজন ওর হাত দিয়ে কেক কাটলো। সবাইকে একপিস করে কেক দিল। আবার বাচ্চারা তো অনেক খুশি। তাদের কাছে এই কেক সব। সবাই কেক কাটা পর্ব শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। যেন বারবার এমন দিন ওর জীবনে ফিরে আসে।জন্মদিনে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনলিংক

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

Sort:  
 last year 

আপু জন্মদিনের গিফট কেনার পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই জন্মদিন আজ দেখলাম পোস্টের মাধ্যমে। যাক অনেক দোয়া করি আল্লাহ সুস্থ রেখে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলুক।জন্মদিনে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।

 last year 

গতকাল মনে হয় মিথিলা আপুর পোস্ট দেখেছিলাম তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক অর্ডার নিয়ে পোস্ট করেছিল। সেখানে আমি কমেন্ট করেছিলাম। তবে আজকে আবার আপনি আপনার ভাতিজার জন্মদিনের মুহূর্তে কাটানো কিছু সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাহলে আপনি মিথিলা আপুর রিলেটিভ তা বুঝলাম। আর ছোট বাচ্চারা এমনই, তারা জন্মদিনের কোন কিছুই বুঝে না মানুষজন হয়তো বেশি দেখার কারণে কান্নাকাটি বেশি করে। যাই হোক আপু আপনার ভাতিজার জন্য অনেক দোয়া রইল। প্রত্যেক দিন তার জন্মদিনের মত সুন্দর হোক।

 last year 

আপনার গিফট এর পোস্ট পড়েছিলাম।এমন কি এই কেক টা মিথিলা আপুর পোস্ট ও মনে হয় দেখেছিলাম। জন্মদিনে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সবাইকে নিয়ে।আমার মনে প্রতিটি বাচ্চাই প্রথম জন্মদিনে কান্না কাটি করে😜।আমার বোনের ছেলে আমার ছেলেও এমন কান্নাকাটি করেছিলো।যাই হোক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

জি আপু আপনি ঠিক দেখেছেন মিথিলার পোস্ট এর মাধ্যমে। সত্যি আপু সব বাচ্চাই প্রথম জন্মদিনে কান্নাকাটি করে।ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আমার দেখা প্রথম জন্মদিনে কোন শিশু কান্না করেনি এমন দেখেনি। অনেক মানুষ দেখে তারা ভয় পেয়ে যায়। তবুও শেষ পর্যন্ত কেক কাটা হয়েছে এবং সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে ,সেটাই ভাল। আপনার ভাতিজার ছেলের জন্য অনেক দোয়া সে যেন মানুষের মত মানুষ হয়। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

 last year 

জি আপু অনেক মানুষ দেখে ওরা ভয় পাই, আসলে প্রথমে বোঝেনা তাই হয়তো কান্নাকাটি করে।

 last year 

আপনি গত সপ্তাহে বার্থডে তে যাওয়ার জন্য গিফট কিনেছিলেন সে বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেই বার্থডেতে গিয়ে অনেক আনন্দ করলেন খাওয়া-দাওয়া করলেন সাথে নাচ গান দেখলেন অনেক আনন্দ উপভোগ করছেন বাচ্চাদের নিয়ে। ঠিক বলছেন আসলে বার্থডে মানে হচ্ছে বাচ্চাদের চেয়ে মা-বাবার আরো আনন্দ বেশি। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সাথে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন বিষয়টি ধন্যবাদ।

 last year 

সত্যি আপু বাচ্চারা প্রথম জন্মদিনে তেমন কিছু বোঝে না বাবা মাই সব। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপনার ভাতিজার জন্মদিনে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে ফটোগ্রাফিতে।এটা যেহেতু ওর প্রথম জন্মদিন ছিল তাই কান্নাকাটি করছিল,আসলে বাচ্চারা এরকমই করে প্রথমে।একটু বড় হলে সব ঠিক হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু প্রথম জন্মদিনে সব বাচ্চারাই বোঝে না তাই কান্নাকাটি করে তারপরে সব ঠিক হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।

 last year 

আপনার ভাতিজার ছেলের প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার অনুষ্ঠানে গিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। যার জন্মদিন সেই কেক কাটতে গিয়ে কান্না করছে,হি হি হি। ছোট মানুষ প্রথম এমন আয়োজন দেখেছে তাই কান্না করে দিছে। একটু বড় হলেই সাহস হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

জি ভাইয়া ছোট বাচ্চা তাই বুঝতে পারছে না, বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনার জন্মদিন উপলক্ষে গিফট কেনার পোস্টটি আমি পড়েছিলাম। আজকে জন্মদিনের অনুষ্ঠান দেখে খুব ভালো লাগলো। বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ আপু জন্মদিনে কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64573.45
ETH 3441.06
USDT 1.00
SBD 2.51