বাচ্চাদের বরই পাড়ার মূহুর্ত||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্টঃ

বাচ্চাদের বরই পাড়ার মূহুর্ত

20221227_105229.jpg

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি বরই পাড়ার মূহুর্ত।বেশ কয়েক দিন আগে আমরা গিয়েছিলাম আমার ভাইয়ের বিয়েতে। বিয়ের দুদিন পরে আমি ও আমার ভাই বোনের বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।আমার চাচার গাছে অনেক বরই ধরেছে।আসলে ছোটবেলায় এখানে আরেটা গাছ ছিল আমরা আমাদের বাচ্চাদের মতো বরই পেরে অনেক খেয়েছি।আসলে অনেক দিন পর এভাবে বরই পাড়া তাই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তাই আমি কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। যাইহোক তো চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

20221227_105040.jpg

20221227_105155.jpg

20221227_105050.jpg

আসলে আগের বরই গাছ এখন আর নেই। সেখানেই আর একটি বরই গাছ হয়েছে, গাছে এতো পরিমাণ বরই ধরেছে বলার মতো নয়।বাচ্চারা বরই পারার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল।আসলে বরই গুলো মাত্র ছোট এখনো খাওয়ার মতো হয়নি।তবে বাচ্চারা দেখা মাত্র লাঠি দিয়ে পাড়া শুরু করে দিল।আমার মেয়ে ব্যাগ নিয়ে বরই গুলো টুকাতে লাগল।আমার ছোট মেয়ে ব্যাগ ভাগে পায়নি তাই সে তার গেঞ্জিতেই বরই রাখছে।সত্যি বলতে ওদের বরই পাড়া দেখে আমারো ছোটবেলার কথা অনেক মনে পড়েছিল। যদিও বরই গুলো খাওয়ার মতো নয় কিন্তু এভাবে ছোট সময় কতো পেরেছি।

20221227_105146.jpg

20221227_105056.jpg

20221227_104458.jpg

বেশকিছু বরই পাড়ার পরে আমার ভাগ্নি আরো অনেক বড় একটা লাঠি নিয়ে আসলো বরই পাড়ার জন্য। তখন আমি সব বাচ্চাদের বললাম এই বরই গুলো নষ্ট করো না বড় হলে আমরা এসে নিয়ে যাব।কিন্তু বাচ্চারা তো কোন কথা শুনার নয়। তখন আমি বললাম দাঁড়াও তোমার নানুকে ডেকে আনি, অযাথা বরই গুলো এভাবে নষ্ট করছে কেনো।অনেক বরই পেরেছে তাই আমার কাছে অনেক কষ্ট লাগছে।আমার ভাগ্নি বলল নানু আমাকে বরই পারতে বলেছে তাই আমরা পারছি।আবার বরই নিয়ে বাচ্চাদের মধ্যে মারামারি পর্যন্ত হয়ে গেল।কিছু ক্ষণের মধ্যে আমার চাচি এলো।

20221227_104454.jpg

20221227_105234.jpg

20221227_105229.jpg

তারপর আমি আমার চাচিকে বললাম তুমি বাচ্চাদের বরই পারতে কেনো বলেছো। চাচি বলল বাচ্চারা খাবে তাই বললাম।এমনিতেই অন্য মানুষ বরই বড় হলে পেরে নিয়ে যায়, এখন ওরা পেরে নিক।তারপর আমার চাচি বলল এই বরই গাছ বিক্রি করে দেব কিছু দিনের মধ্যে তার জন্য ওরা যতখুশি পাড়ছে।এই ধরন্ত বরই গাছ কেনো বিক্রি করবেন। সে বলল এখানে নাকি ধান রাখার জন্য ঘর তুলবে। এখনো বিক্রি করেনি। তবে আর কেউ যেমন তেমন আমার মেয়েরা অনেক আনন্দ অনুভব করেছে। তারা জীবনে প্রথম এমন বরই পাড়া দেখল ও সাথে থাকল।আসলে বাচ্চারা কোনো আমারো অনেক ভালো লেগেছিল।তবে আমার দুই মেয়ে অনেক বরই টুকিয়েছিল।আশাকরি আপনাদের কাছে ও অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনলিংক

g6br9NKHvSo72r7xnHSpj1hkcv6csCddDyMEi1jUecgDw3N4Yfy6YpdUvdCyw6kiWy8pVjCrDNVML5aQoBLFZoYCEFX6JNcKgvs5UsgTeh3J1kkfdqcLg16eYhyDuv...vc46UPdpEf1AVVuUWBn8RUMuwUdmFWuyrwZEyyuDTDyVbPcmkcnLzvaPhyPaKzykkdRpMiY3R5t15G2er9hQQRrN59nMWe2xMnGw1fVdX6StCUsD1ukGkadgPX.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

Sort:  
 2 years ago 

আপনার পোস্ট দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো। আসলে ছোটকালে বরই গাছ দেখলে বড়ই পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে ঢিল মারা আরম্ভ করতাম। আসলে এখনো স্মৃতিগুলো মনে পড়লে হৃদয় অস্থির হয়ে পড়ে। যাইহোক ছোট ছেলে মেয়েরা অনেক আনন্দ করেছে। তাদের এই আনন্দ টাকা দিয়ে কেনা যায় না। ছোট ছেলে মেয়েরা বরই পাওয়ার পর তাদের মুখের হাসি অসাধারণ। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের এধরনের আনন্দ করতে টাকার প্রয়োজন হয় না,ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এই বড়ই খাওয়া নিয়ে ছোটবেলার কত স্মৃতি মনে আছে বলার মত।কারো বাড়িত বড়ই গাছ থাকলে সেই বাড়িতে গিয়ে বড়ই পারতাম।পারতে না পারলেও নিচে ঝরে পড়েছে কিনা দেখতাম।আর এখন সামনে এনে দিলেও খাওয়া হয়না তেমন তবে মাঝে মধ্যে একটু খেয়ে দেখি।বাচ্চাদের অনুভূতি দেখে আমার বেশ ভাল লেগেছে।খুব সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন বেশ ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

জি আপু ঠিক বলেছেন বরই নিয়ে কতো স্মৃতি ছোট বেলার ছিল যা বলে শেষ করা যায় না। এখনো তার উল্টো। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপু গাছটি বিক্রি করতে দিয়েন না। বড়ই আমার খুব প্রিয়। আমি আসব বড়ই খেতে। বাচ্চারা আনন্দ করে বরই পারছে আর আপনার কষ্ট লাগছে। আপনি তো বড় নিরস।

 2 years ago 

আসলে আপু বরই গুলো তো ছোট ছিল তার জন্য কষ্ট লাগছিল ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপু আপনার এই পোস্ট পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমরা কত যে এভাবে বড়ই পেরে লবণ দিয়ে খেয়েছি তার হিসেব নেই। আমাদের নিজেদের দুটো গাছ ছিল আর সেই বড়ই খেতে অনেক মজার ছিল। কিন্তু আমাদের ঘর করার জন্য এখন দুটো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু ছোট বেলায় লবন দিয়ে এই বরই গুলো খেতে অনেক মজার ছিল, ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago (edited)

যদিও বরই গুলো এখনো বড় হয়নি তারপরও ছোটরা এগুলো পাড়ার মাধ্যমে অনেক মজা পাই। এগুলো আরো কিছুদিন পরে পারলে ভালোভাবে খাওয়া যেত। গাছ বিক্রয় করে দেবে এই জন্যই আপনার চাচি ছোটদেরকে এগুলো পাড়তে বলেছে হয়তোবা।

 2 years ago 

জি ভাইয়া গাছ বিক্রি করে দেবে তাই বাচ্চাদের এভাবে পাড়তে বলেছে, আসলে বিক্রি না করলেও বাচ্চারা পারতো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

মনে পড়ে গেলো সেই পুরনো দিনের সৃতি গুলো ৷ স্কুল থেকে ফেরার পথে অন্যের বড়ই গাছ হতে ঢিল দিয়ে বড়ই পারা ৷ আর লাঠি তাড়া খাওয়া ৷ আসলে সৃতি কখনো ভুলে যাওয়ার নয় ৷
যা হোক বাচ্চারা এমনি তারা তো বোঝে না ৷ যে এগুলো পেকেছে কি না ৷ যা হয়েছে তাড়াহুরো ৷ কাচা বড়ই আর কয়েকদিন হলেই তো পেকে যেতো৷
যা হোক আপনি চমৎকার কিছু ছবি ক্যাপচার করেছেন ৷

 2 years ago 

ছোট বাচ্চাদের বড়ই পাড়ার আনন্দ দেখে নিজের ছোটবেলার কথা গুলো মনে পড়ে গেল। যদিও এই ছোট বইগুলো খেতে পারতাম না তারপরও গাছ থেকে পেড়ে আনতাম। আপনার পোষ্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো।

 2 years ago 

জি আপু আমি বরই গুলো খেতাম না তবে পাড়া বাদ দিতাম না, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ছোটবেলায় কত এরকম বড়ই পেরে খেয়েছি ঠিক নেই। এখনো মাঝে মাঝে গ্রামে গিয়ে এভাবে পাড়তে ইচ্ছে করে। আপনার ছবিগুলো দেখে নস্টালজিক হয়ে গিয়েছি। বাচ্চা গুলোকে বড়ই পাড়তে এবং কুড়াতে দেখে ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

জি ভাইয়া আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তাই আমি কিছু ছবি তুলে নিই, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল।এভাবে কত বরই যে পেড়েছি।আমি আবার ঢিল দিয়ে বড়ই পাড়তে দক্ষ ছিলাম।তবে একবার ঢিল একজনের মাথায় পড়ার পর অনেক ধোলাই খেয়েছি।ভাগ্নিরা অনেক মজা পেয়েছে।এভাবে পাল্লা দিয়ে বরই কুড়ানো মজাই আলাদা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করে শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

জি ভাইয়া পাল্লা দিয়ে বরই কুড়ানোর মজাই আলাদা, আর ঢিল মারা নতুন কি এটা ছেলেরা বেশি করে থাকে।যাইহোক ঢিল মেরে ধৌলায় খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বড়ই পাওয়া দেখে ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেল। ছোটকালে আমরাও কোথাও বড়ই গাছ দেখলে পাড়ার জন্য লাঠি নিয়ে যেতাম। তবে আপনি আপনার ভাইয়ের বিয়েতে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে বড়ই পারতেছেন। বড়ই গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলো অনেক ছোট। আমরাও ছোটকালে বড়ই পাওয়ার জন্য অনেক ভাইনা ধরতাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জি আপু বরই গুলো অনেক সুন্দর, আর বাচ্চাদের বরই পাড়া দেখে অনেক ভালো লেগেছিল, ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58560.83
ETH 2491.85
USDT 1.00
SBD 2.40