অনিক ও নুরের মিষ্টি ভালোবাসা দ্বিতীয় পর্ব||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
নুর ও অনিকের মিষ্টি ভালোবাসার গল্প প্রথম পর্বের পর
অনিক সত্যি অনেক ভালো ছেলে আবার ভালো চাকরি ও করে। যখন অনিক নুরের কাছ থেকে তার বাবা কি বলেছে সব শুনলো, তারপর থেকে নুর সাথে অনেক কম কথা বলে।অনিক নুরের বাবা যা বলেছে সব তার বোনের কাছে বলে দিল। তখন অনিকের বোন বললো তুই আর নুর এর সাথে কথা বলবি না। অনিক ও তার বোনের কথা মতো কথা অনেক কম বলে।কিন্তু কথা কম বললেও অনিক নুরকে ভালোবেসে ফেলেছে ।
এদিকে মেয়েটা যে দেখাইছে সে নুররের বাবাকে বললো, কই আপনি তো কিছু জানালেন না।তখন নুরের বাবা বললো আসলে আমার একটু সময় লাগবে। নুররের বাবা সময় নিয়ে আরো ছেলে দেখবে নুরের জন্য। অনিকের বাড়ির লোকজন ও মেয়ে দেখতে চাইলো। এদিকে নুর মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে কথা বলে নুর অনিককে বলে তার বাবার কথায় কষ্ট পেয়েছে তাই আমার সাথে কথা বলো না। অনিক বলে আরে না এটা তো সত্যি আমি এখনো বিল্ডিং করিনি।তবে বিল্ডিং এ কখনো সুখ হয় না। তবে বিল্ডিং আর বিয়ে দুটো একসাথে করা যাবে না। কারণ বিয়ে করতে গেলে গহনা বানানো লাগবে ও অন্যান্য খরচ আছে তাই আমি বিল্ডিং পরে করবো আর বিয়ে আগে করবো।কারণ আমার যাবতীয় সব খরচ আমার নিজের বহন করতে হবে ।এদিকে নুরের চাচা আবার সোনালি ব্যাংকের এজিএম।
অনিক পূর্বালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার। নুরের চাচা অনিকের চাকরি সম্পর্কে সব খচ খবর নিল।তার নুরের চাচা নুরের বাবাকে বললো আসলে ভাইয়া ছেলে অনেক ভালো চাকরি করে। আর এই ছেলের বাড়ি গাড়ি করতে সময় লাগবে না। তুমি মেয়ে দেও। এদিকে নুর ও অনিককে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে রাজি না। তবে অনিক নুরকে বলেছে আমার বাড়িতে কিন্তু টিনের ঘর, যদিও তোমাকে আমি বাসায় নিয়ে আসবো। তবে আপাতত বাড়িতে টিনের ঘরে থাকতে হবে।তখন নুর বললো আমার মনের মতো একজন মানুষ হলেই চলবে ঘর দিয়ে কি করবো।
এদিকে নুরকে অন্য ছেলে দেখতে আসবে, তখন বললো আমি বিয়ে করবো না। এদিকে নুর অনিককে বলল,আমি যাকে পছন্দ করি আমার বাবা মার তাকে পছন্দ হয় না।আসলে আমার বাবা এরকমের। আমার ভাইয়ের বিয়ে সময়,একই অবস্হা করেছে। আসলে অনিকের বাড়ির লোকজন ও নুরকে আনতে চায় না। কিন্তু নুর এদিকে একাই চলে আসতে চায়, অনিক কথাগুলো তার বোনের কাছে বললো।অনিকের বোন বললো নুর আসতে চায়লে তুই কিন্তু নিয়ে আসবি না। অনিক পড়ে গেল মহাবিপদে। অনিক তখন নুরকে বললো তুমি যদি তোমার বাবা মাকে রাজি করতে পারো, তাহলে আমি তোমাকে মেনে নেব।এদিকে অনিকের বাড়ির লোকজন অন্য মেয়ে দেখতে লাগলো।অনিক নুরকে বললো এক সপ্তাহের মধ্যে তুমি যা বলার বলে আমাকে জানাবে।নুর তার মার কাছে বললো, আমি অনিককেই বিয়ে করতে চাই।[ চলবে]
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো এর বাকি পর্ব নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
গল্পটা পড়ে যা বুঝলাম, অনিক ও নূরের মাঝে সম্পর্ক। কিন্তু অনিকের টিনের ঘর বলে মেয়ে দিতে রাজি না নূরের বাবা! এরকম ঘটনা গ্রামে চোখে পড়ে বেশি। তবে আপু গল্পটা আরেকটু ডিপলি নিতে পারতেন। ইমোশন যোগ করলে গল্পটা পড়তে আরও ভালো লাগবে। গল্প লেখা চালিয়ে যান। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম 🌼
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটা পড়ার জন্য
অনিক ছেলে হিসেবে ভালো। আমার মনে হয় নুরের বাবা ভুল করছে। আসলে ঘরবাড়ি কখনো সুখ এনে দিতে পারে না। হয়তো অনিকের সাথে বিয়ে হলে নুর সুখে থাকতো। দেখা যাক শেষে তাদের বিয়ে হয় কিনা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
জি আপু অনিক ভালো ছেলে, জি আপু পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আগের গল্পে যতটুকু পড়েছিলাম নুরের বাবা যখন জেনেছিল অনিকের বিল্ডিং ঘর নেই সেই হিসেবে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে এখন নুরের চাচা অনিকের সম্পর্কে খবর নিয়ে নুরের বাবাকে বলেছে তবুও বাবা মেয়ে দিতে রাজি নয়। তাছাড়া অনিকের বাড়িতে কেউ এ ব্যাপারটা মেনে নিচ্ছে না। যাই হোক শেষ দিকে কি হবে তা জানা নেই। অবশ্যই গল্পগুলো পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবো। দারুন লিখেছেন আপু।