অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
[source]( ডিস্কোড থেকে নেওয়া হয়েছে)
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের বাঙালির জন্য অনেক পাওয়া। বাঙালি জাতি একটি ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে।বাঙালির জাতির জীবনে একটি বিশেষ তাৎপর্যময় দিন হলো শহীদ দিবস। বাঙালি জাতি বীরের জাতি।এ জাতির অন্যতম সৃষ্টি মহান একুশে । পৃথিবীর সব ভাষায় আজ একুশে বন্ধনে আবন্ধ।বাংলা ভাষার প্রতি অনেক আগে থেকেই অবহেলা চলে আসছে।দেশের জনসংখ্যার মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাকে অবহেলা করে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।কিন্তু বাংলা সচেতন মানুষ এ ঘোষণা মেনে নিতে পারিনি। বরং বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শুরু হয় তীব্র গণ- আন্দোলন। বাঙালির এই আন্দোলন স্থিমিত করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা মর্যাদা দানে প্রত্যয়ী জনগণ , ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। পুলিশ নির্মমভাবে গুলি চালালে শহীদ হন বাংলার দামাল ছেলে সালাম, বরকত, রফিক জব্বার সহ নাম না জানা আরও অনেকে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর জঘন্য হত্যাকাণ্ডের খবর সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে সারা দেশের জনগণ বিক্ষোভে ভেঙে পড়ে। এরই ফলে পাকিস্তান সরকার ৫৬ সালের সংবিধান বাংলাদেশী স্বীকৃতি দেয়। মহান একুশের আছে এক অবিনাশী চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্য দিয়ে আমরা আপন সত্তা আবিষ্কার করতে পেরেছি। প্রতিবছর অত্যন্ত ভাব গম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। নতুন নতুন চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে জাতীয় জীবনে দেখা দেয় একুশে ফেব্রুয়ারি। বর্তমানে একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান আলোচনা সবার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসব কিছুর মূলে থাকে ২১ এর স্মৃতিচারণ।
১৯৯৯ সালে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। আর এই ঘোষণা আমাদের বাঙালির জন্য বিরাট পাওয়া।এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪ হাজারের বেশি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় আমাদের ভাষা শহীদের আত্মত্যাগের আন্তরিক স্বীকৃতি মিলছে। এখন সারাদেশে মানুষ আমাদের মাতৃভাষা শহীদদের স্মরণ করবে, শ্রদ্ধা করবে, এর চেয়ে বড় কিছুই হতে পারে না। একুশ আজ বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এই দুর্লভ অর্জন অনেক আনন্দের।মায়ের ভাষার জন্য এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য বিরল ঘটনা।সত্যি বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্ববোধ করি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
.
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
হ্যাঁ ১৯৫২ সালে যদি ভাষা আন্দোলনে তারা জীবন না দিত তাহলে হয়তো ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিত না। একুশে ফেব্রুয়ারী দিনটা আমাদেরকে আবার স্মরণ করিয়ে দেয় আমরা একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মাতৃভাষা দিবস কে কেন্দ্র করে আপনি বেশ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার আজকের এই পোস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এ সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের সন্তানের কাছে উল্লেখ করা প্রয়োজন এতে তারাও অতীতের এই সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে ধারণা পায় আর লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ পোষণ করে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের ভাষা সৈনিকেরা যদি আজকে ভাষার জন্য আন্দোলন না করতেন তাহলে আমরা সুন্দর একটি ভাষা পেতাম না। তাদের রক্তের বিনিময়ে আজকে আমরা খুব সুন্দর একটি নিজস্ব ভাষা পেয়েছি। যে ভাষার মাধ্যমে আমরা সুন্দরভাবে মনের ভাব গুলো প্রকাশ করতে পেরেছি। তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তারা যেন পরপারে ভালো থাকে সেই দোয়া করি। ভাষা দিবসের অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
সত্যি আপু সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
১৯৫২ সালে শহীদদের জীবনের বিনিময়ে পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। প্রতিটা ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ আমাদেরকে বার বার স্মরণ করিয়ে দেয় সেই স্মৃতিগুল। শহীদদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের স্মৃতিগুলো সত্যি স্মরণ করে দেয়।