কুয়াশাঘেরা শীতের সকালের গল্প||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
কুয়াশাঘেরা শীতের সকালের গল্প
বর্তমানে প্রায় সব জায়গায়তে কম বেশি শীত পরা শুরু করেছে।তবে এই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক । তবে এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আমাদের চারিদিকে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি লেগে রয়েছে। এমন সময় আমাদের সবারই সাবধানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এখন সারাদিন গরম পড়ে আর রাত শীত পড়ে। এ সময়টা আমাদের সবারই জন্য অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এখন শীতকাল শুরু হয়েছে। যদিও এবার এখনো শীত তেমন দেখা যায় না। গতকাল সকালে যখন আমি ঘুম থেকে উঠেছি।তখন দেখলাম চারদিকে অনেক কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে। আসলে আমি প্রায় প্রতি দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি, কিন্তু ঘর থেকে খুব কম বের হয়।বেশির ভাগ সময় সকালে উঠে আমি কিছু কমেন্ট করার চেষ্টা করি। তারপর বাচ্চাদের রেডি করে স্কুলে দিয়ে এসে নাস্তা বানাই।
কিন্তু গতকাল যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে কমেন্ট করব, কিন্তু কারেন্ট ছিল না। তখন বাজে সকাল ৬ টার মতো।সবাই ঘুমিয়ে রয়েছে, তাই ভাবলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি।ঘর থেকে বাইরে বের হতেই দেখি অনেক কুয়াশা ঘেরা রয়েছে। সত্যি বলতে এবার এখনো শীত পড়েনি, আর সকাল সকাল এভাবে কখনো বের হয়নি, তাই আর কি শীতের কাপড় বের করা হয়নি। কিন্তু বাইরে ভালোই ঠান্ডা পড়েছে।
প্রথমে আমি নদীর পাড়ের দিকে হাঁটতে গিয়েছিলাম। হাঁটার উদ্দেশ্য ছিল যদি কোন তাজা মাছ পাওয়া যায় তার জন্য কিন্তু পেলাম না। আসলে কুয়াশা ঘেরা শীতের সকাল দেখতে অনেক ভালো লাগছিল।অনেক দিন পর এভাবে শীতের সকালে হাঁটছিলাম, হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।
ছোট বেলা যেমন আমরা শীতের সকালে মাঠে হাঁটতে গিয়ে কুয়াশা পা ভিজে যেত। সেই দৃশ্য কতোই না ভালো লাগতো।ঠিক তেমনি কিছু সময়ের জন্য মাঠ থেকে ঘুরে এলাম।আসলে অনেক ভালো লেগেছিল। অবশ্যই ছোটবেলার মতো আর হবে না।ছোটবেলা তো ছোটবেলাই।
ছোট বেলায় শীতের সকালে রোদে বসে পড়াশোনা করা আর সাথে শীতের পিঠা খাওয়া কি যে মজা। মনে পড়লে মনে হয় এখনো যদি সেই দিন গুলো ফিরে পেতাম। সত্যি বলতে মায়ের হাতের জিনিসের কোন তুলনা হয় ন।সেই পিঠা পুলি, খেজুরের রসের পায়েস, খেজুরের রস মুড়ি দিয়ে খাওয়া আরো কত কি।বিশেষ করে শীতকাল এসব কারণে আমার অনেক প্রিয়। আমি প্রকৃতির সাথে বিভিন্ন ভাবে মিশতে ভালোবাসি।প্রকৃতির মাঝে এভাবে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে ।আপনারা যারা শীতের কুয়াশাঘেরা সকাল অনুভব করেছেন তারাই বুঝতে পারবেন। শীতের কুয়াশাঘেরা সকালটা কতো দারুণ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
কুয়াশাঘেরা শীতের সকালের গল্প পড়ে ভালো লাগলো। আমি শীতকাল এর সকাল আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। শীতকাল এলেই সকাল বেলায় ভাপা পিঠা আর সকাল সকাল হাঁটতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া শীত কালের ভাপা পিঠা আর সকাল হাঁটার মজাটা অন্য রকম। ধন্যবাদ আপনাকে
সেই ছোটবেলার কথা আবার মনে করিয়ে দিলেন 😌।তবে সেই দিনগুলো এখন বড্ডো মিস করি।আর সত্যি বলতে সেদিন সকালে বের হওয়ার পর আমিও দেখেছি ঠান্ডা বেশ ভালই পড়ছে।যাইহোক শীতের সময়ের গ্রামের এই পরিবেশটা দারুন হয় সবসময়।
সত্যি ভাইয়া ছোটবেলা সেই দিন টা আমরা সবাই অনেক মিস করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের কুয়াশামাখা দিনটি গল্প টা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। কুয়াশা মধ্যে সকালে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে। গ্রামে গেলে শীতের মধ্যে সকাল বেলা হাঁটাহাঁটি করা হয় মাঝে মধ্যে। হাঁটতে হাঁটতে কুয়াশা মধ্যে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি মূহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
প্রশংসনীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
শীতকাল হচ্ছে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ঋতু। শীতকালের শীতের পিঠা সকলের কাছেই খুব প্রিয়। কিন্তু শীতের শুরুতে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে সম মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দিতে পারে বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যায়। শীতের সকালের কুয়াশা হচ্ছে শীত সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া শীতের সকালে কুয়াশা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলার শীতকালের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের সকলের। সত্যি শীতকালে রোদে বসে পড়াশোনা করা এবং পিঠা খাবার মজাটাই ছিল আলাদা। আপনার শীতের কুয়াশা ঘেরা দিনটির গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সকাল বেলার মুহূর্ত আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে।
জি ভাইয়া শীতে রোদে বসে পড়াশোনা ও পিঠা খাওয়ার মজাটা অন্য রকম। ধন্যবাদ
আপু আপনি ঠিক বলেছেন চারদিকে শীত পড়তে শুরু করেছে। এবং এই শীতের সাথে সাথে চারদিকে জ্বর ঠান্ডা ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সকলকেই একটু সতর্ক থাকা দরকার। আপনি শীতের সকালে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে চারদিকে কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে।
জি আপু চারদিকে কুয়াশায় ঘেরা রয়েছে, সত্যি অনেক আনন্দ অনুভব করেছিলাম।
কুয়াশায় ঘেরা শীতের সকাল দেখতে আমারও খুব ভালো লাগে। কুয়াশায় ঘেরা আপনার শীতের গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলা তো ছোটবেলায় ছোটবেলা কে আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না। শীত মানে নানারকম পিঠাপুলির উৎসব শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে পিঠা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। ছোটবেলায় রোদে বসে অনেক পিঠা খেয়েছি তবে এখন আর সেইরকম রোদে বসে খাওয়া হয় না। ধন্যবাদ আপু শীতের সকাল নিয়ে আপনার মনের অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ছোটবেলা রোদে বসে অনেক পিঠা খেয়েছি তবে এখন আর সেরকম হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই সময় আমাদের খুবই সাবধানে থাকা উচিত। যাইহোক এবার শীতে আমি এখনো কুয়াশায় পারিনি। আসে নাই কিছুদিন পরে শীত আসছে যদি ভালো থাকি তো অবশ্যই শীতের সকালে কুয়াশার ভিতরে হাঁটতে পারবো পারব। যাইহোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনার এই সকালবেলা হাঁটাহাঁটি মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য।
প্রশংসানীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
কুয়াশা ঘেরা শীতের সকালের অনুচ্ছেদটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো। ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। বাড়িতে গেলে কুয়াশা দেখা যায় খুব, শহরে তা বুঝিনা। গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পরে যায় তখন । অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে । ধন্যবাদ আপু।
জি আপু কুয়াশা ঘেরা শীতের সকালের অনেক স্মৃতি জরিয়ে রয়েছে ছোটবেলার। ধন্যবাদ