জেনারেল রাইটিং:বাবা -মা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট ।
মা বাবা আমাদের জন্মদাতা। বাবা মার সমতুল্য পৃথিবীতে আর কেউ নেই। জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়ে ও শ্রেষ্ঠ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ( স)বলেছেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।সন্তান জন্মের পর থেকে বাবা মা তাদের সুখের কথা ভুলে সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।তাই সন্তানের উচিত বাবা মার প্রতি কর্তব্য পালন করা।
আর সন্তানের প্রতি বাবা মার অবদান বলে শেষ করা যায় না।বাবা-মা জন্যই সন্তান এই সুন্দর পৃথিবীর রূপ রস আর আরাম আয়েশ সুখ -স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে।শিশু সন্তানের প্রতি বাবা -মার অবদান অপরিসীম।আসলে মা অতি কষ্টে দশমাস দশদিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন।সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা অসুস্থ দুর্বল শরীর নিয়ে সন্তানের সেবা যত্ন করেন। মাতৃ স্তন্য পান করে শিশুকে বেঁচে রাখেন।পিতা-মাতা সন্তানকে বড় করে তোলেন, লেখাপড়া, সুশিক্ষায় শিক্ষা লাভ করলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য বাবা-মার চেষ্টার অন্ত থাকে না । পিতা মাতার এই নিঃস্বার্থ ত্যাগে তুলনা হয় না।
মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করা সন্তানের অন্যতম কর্তব্য। আসলে সন্তান যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা ও সুনাম অর্জন করতে পারে তবেই বাবা-মা সবচেয়ে বেশি সন্তুুষ্ট হন এবং গৌরব বোধ করেন। আর সন্তানের উচিত বাবা মার আদেশ নিদেশ মেনে চলা। আর সন্তান যদি চরিত্রবান হয় জ্ঞানী গুণী বলে সমাজের প্রশংসা পায়,তাহলেই বাবা -মার ঋণ কিছুটা পরিষদ হতে পারে(যদিও বাবা মার ঋণ কখনো শেষ হয় না)। আর সন্তান যদি মানুষ না হয়ে অমানুষ হয়, তখন বাবা-মার কষ্টের শেষ থাকেনা। আর যদি কোন সন্তান বাবা-মার প্রতি অযত্ন অবহেলা দেখায় তবে তার পাপের শেষ থাকবে না।
প্রতিটি ধর্মে বাবা মাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে এবং তাতের সন্তুুষ্টি বিধান করতে বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআন শরীফে উল্লেখ করা আছে মহান আল্লাহর পরেই বাবা-মার অবস্থান। মহান আল্লাহ বলেছেন যে বাবা মাকে সম্মান করবে সে আমাকেও সম্মান করবে। হযরত মুহাম্মদ (স) বলেছেন 'মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।তাই আমাদের সবারই উচিত বাবা মার মনে কষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করা। নানা ধর্মে ও নানা মতে ব্যক্ত বাবা-মার এই সম্মান রক্ষার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রত্যেক মানব সন্তানকে সচেতন হওয়া দরকার ।
বাবা -মা সন্তানের পরম হিতৈষী। এমন আপনজন দুনিয়াতে আর কেউ নেই। বাবা মার স্নেহ ও মায়া মমতা বেহেশতের শ্রেষ্ঠ দান। পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য পালনের মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করে পৃথিবীতে স্মরণীয় বরণীয় হওয়া যায় এবং মর্যাদা লাভ করা যায়।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
বিষয় | ' বাবা মা ' |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আমাদের পৃথিবীর বুকে আসা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপে বাবা মায়ের অবদান অফুরন্ত। আমাদের সবসময়ই উচিত পিতা মাতাকে সম্মান করা এবং তাদের খোঁজখবর রাখা। কিছু অমানুষ বেমালুম সব ভুলে যায়। যাই হোক ভীষণ ভালো লেখনী ছিল আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য।
বাবা-মা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু। ঠিক বলেছেন প্রতিটি ধর্মীয় বিধানে বাবা-মায়ের স্থান সর্বোচ্চ। আর বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের যে বাধন তা অন্য কিছুর সাথে তুলনা হয়না। একমাত্র সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসাই স্বার্থহীন।আর বাবা-মায়ের ঋণ শোধ কোনভাবেই সম্ভব নয়। পৃথীবির সকল বাবা-মা ভালো থাকুক।শুভ কামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
প্রতিটি মানুষের জীবনে বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড়ো অবদান রয়েছে। কোনো কিছুর সাথে পিতার ধৈর্য এবং মায়ের ভালোবাসার তুলনা করা যায় না।যে ব্যক্তি তার বাবা-মা কে সর্বদা সম্মান করে, সে ব্যক্তি চাইলেও কখনো অসুখী থাকতে পারে না। বাবা-মা কে নিয়ে অনেক সুন্দর কিছু কথা শেয়ার করেছেন আপু যা সত্যি ভালোলাগার মতো বিষয় ছিলো।অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
ঠিক বলেছেন আপু পৃথিবীর কোন কিছুর সাথে বাবা-মার তুলনা করা যায় না ধন্যবাদ আপু।
মা বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ছায়া বটো বৃক্ষের মতো যেমন বটবৃক্ষ আমাদেরকে ছায়া দেয় ঠিক মা-বাবাও আমাদেরকে ছায়া দিয়ে থাকে । যাদের মা-বাবা পৃথিবীতে বেঁচে নেই তারাই বুঝতে পারে। অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো পড়ে।
ভাইয়া আপনাদের ভালো লাগাই আমার কাজের স্বার্থকতা,ধন্যবাদ আপনাকে।
মা বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ছায়া বটো বৃক্ষের মতো যেমন বটবৃক্ষ আমাদেরকে ছায়া দেয় ঠিক মা-বাবাও আমাদেরকে ছায়া দিয়ে থাকে । যাদের মা-বাবা পৃথিবীতে বেঁচে নেই তারাই বুঝতে পারে। অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো পড়ে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারো অনেক ভালো লাগল,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে দারুন একটা টপিক্স নিয়ে লিখেছেন। মা বাবা জীবনে পরম শান্তির জায়গা। যার মা-বাবা বেঁচে নেই সে জানে বাবা-মা না থাকার কি কষ্ট। বাবা একটা পরিবারের জন্য বটগাছ। আর মা হল ওই বট গাছের শাখা প্রশাখা। যে নিজের সংসারটাকে আগলে রাখে। আল্লাহতালা পরে বাবা-মার স্থান দিয়েছেন। আর তাই মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। আপু বাবা মানে আপনি খুব চমৎকার লিখেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।
মা-বাবার অবদানের কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না।আপনি সুন্দর একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন।আমাদের জীবনের পরম বন্ধু এই মা-বাবা।এই মা-বাবার খেয়াল রাখা, তাদের পাশে সব সময় ছায়ার মতো থাকা আমাদের উচিত।খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
পৃথিবীতে মা-বাবার মতন নিরাপদ স্থান কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যদিও বলা যায় তা খুবই ক্ষণস্থায়ী এবং খুব কম সময়ের জন্য। আমাদের প্রিয় নবী তো সঠিক কথা বলেছেন মা-বাবার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। যে মা-বাবা নিজের সব সুখ দুঃখের কথা ভুলে গিয়ে সন্তানদের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে যায় সে সন্তানদের অবশ্যই স্থান হবে মা বাবার পায়ের নিচে। অনেক সুন্দর লিখেছেন অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।