কাঁঠালের বিচি ভর্তা রেসিপি ||১০ বেনিফিসিয়ারি shy-fox ও ৫% বেনিফিসিয়ারি abb-school
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের সবাই? নিশ্চয় ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি নিয়ে।রেসিপিটি হলো কাঁঠালের বিচি ভর্তা।কাঁঠালের বিচি আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার।কাঁঠাল আামাদের জাতিয় ফল কিন্তুু কাঁঠাল থেকে বিচি আমার প্রিয়।এখন কাঁঠালের মৌসুম।তাই কাঁঠালের বিচি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস রান্না করব।হয়তো আপনাদের মাঝে কিছুকিছু শেয়ার করব।এখন আমি কাঁঠালের বিচি ভর্তা করেছি।
আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য চলে এলাম।তো চলুন দেখা যাক কিভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছি।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাএ কমিউনিটি (আমার বাংলা ব্লগ) সকল ভাই ও বোনেদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোষ্ট
🥣কাঁঠালের বিচি ভর্তা রেসিপি 🥣
🥣রেসিপি তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ🥣
| উপকরণ | পরিমান |
|---|---|
| কাঁঠালের বিচি | বেশকিছু |
| শুকনো মরিচ | ৭ টি |
| রসুন | ২ টি |
| পিঁয়াজ | ৩ টি |
| তেল | পরিমানতো |
| লবন | স্বাধমতো |
🥣ধাপ--১🥣
প্রথমে আমি কিছু কাঁঠালের বিচি নিয়েছি।
🥣ধাপ-২ 🥣
বিচি গুলো খোসা ছাড়িয়ে বটি দিয়ে লাল অংশ ফেলে দিয়েছি।
🥣ধাপ-৩🥣
বিচিগুলো ভালো করে দুয়ে, একটি পাতিলে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম সিদ্ধের জন্য।
🥣ধাপ-৪🥣
সিদ্ধ হয়ে আসলে চালনে ঢেলে নেব।যাতে পানি শুকিয়ে যায়।
🥣ধাপ-৫🥣
এখন আমি চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে রসুন ও শুকনো মরিচ ভেজে নিলাম।
🥣ধাপ-৬🥣
রসুন ও মরিচ ভাজা হয়েগেলে তুলে নেব।
🥣ধাপ-৭🥣
এখন ভাজা শুকনা মরিচ ও লবন দিয়ে দিলাম পাটার উপর।
🥣ধাপ-৮🥣
এখন সিদ্ধ করে রাখা কাঁঠালের বিচিগুলো দিয়ে বেটে নিলাম।
🥣ধাপ-৯🥣
এখন রসুন ও পিঁয়াজ একটু বেটে নিব।
🥣ধাপ-১০🥣
মরিচ পিঁয়াজ দিয়ে কাঁঠালের বিচি আর একটু মিশিয়ে নিলাম।
🥣শেষ ধাপ🥣
এখন বাটাটা প্লেটে তুলে, সরিষার তেল দিয়ে, ভালো করে মাখিয়ে নেব।ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজার কাঁঠালের বিচি ভর্তা। আশাকরি রেসিপিটি সবার ভালো লাগবে।বন্ধুরা কেমন হয়েছে মন্তেব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
🥣 আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্হ্য থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ। 🥣
আমার পরিচয়ঃ
আমি পারুল। আমার মাতৃভাষা বাংলা।বাংলাদেশ আমার জন্মভৃমি। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালেবাসি।আমি ফরিদপুর বসবাস করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
কাঁঠালের বিচির ভর্তা আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে।যদিও আমি কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে বানাই না।যাই হোক মজার একটি রেসিপি দিয়েছেন। ভালো লাগলো।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপু কাঁচা পিঁয়াজের ভর্তাটা অন্য রকম মজা,পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। অনেকদিন হয়ে গেল কাঁঠালের বিচি ভর্তা খাওয়া হয় না। আজকে আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে কাঁঠালের বিচি ভর্তা রেসিপি খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরীর প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
ভাইয়া এখন অনেক কাঁঠাল পাওয়া যায়,তৈরি করে খেতে পারবেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
পাটায় বাটা কাঁঠালের বিচি ভর্তা খাই না অনেক দিন হলো। এখনি সময় কাঁঠালের বিচি দিয়ে এই ভর্তা তৈরি করার। আমি কাঁঠাল বেশি একটা খাই না তবে বিচি ভালো লাগে।
ভাইয়া কাঁঠালের বিচি ভর্তা অনেক মজা হয়,মন্তেব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাহ আপনি খুব সুন্দর ভাবে কাঁঠালের বিচি ভর্তা করেছেন। কাঁঠালের বিচি ভর্তা অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার খেতে খেতে অনেক স্বাদ লাগে। কাঁঠালের বিচি ভর্তা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া কাঁঠালের বিচি ভর্তা আসলে অনেক স্বাদ হয়,সুন্দর মন্তেব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি দারুন একটি খাবার তৈরি করেছেন। কাঁঠালের বিচি ভর্তা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে করার জন্য।
আপনার কাঁঠালের বিচির ভর্তা দেখে আমার আম্মুর কথা মনে পড়ে গেল। বাসায় থাকা অবস্থায় আম্মু প্রায়ই কাঁঠালের বিচি ভর্তা করতে আমার জন্য। তবে সিলেটি আসার পর কাঁঠালের বিচি ভর্তা চোখে দেখি না। যাইহোক আপনারা কাঁঠালের বিচি ভর্তা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ভর্তা জাতীয় জিনিস গুলো আসলে গরম ভাতের সাথে অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এরকম সুন্দর একটি ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আম্মুর কথা মনে পড়ার জন্য ধন্যবাদ, এভাবে ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
কাঁঠালের বিচি ভর্তা খেতে দারুন মজা। যেটা এখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। আপনার বিচি ভর্তা রেসিপি দেখে খাওয়ার লোভ জাগলো। একসময় এভাবে তৈরী করে খাওয়ার চেষ্টা করব।
ভাইয়া তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে,ধন্যবাদ।
আসলে আপু আমি কাঁঠালের বিচির অনেক ধরনের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু কোনদিন ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনার মাধ্যমেই প্রথম দেখতে পেলাম কাঁঠালের বিচি ভর্তা করে খাওয়া যায়। আর অপেক্ষায় রইলাম আপু আপনার কাছ থেকে কাঁঠালের বিচির আরো নতুন নতুন রেসিপি দেখার জন্য।
ঠিক আছে ভাইয়া কাঁঠালের বিচির আর ও কিছু দিতে পারব,আর আপনি এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে,ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি ভর্তা আমার কাছে অনেক মজা লাগে।আর শুকনা মরিচের সাথে ভর্তা হলে তো কোন কথাই নেই। যদিও আমাদের এলাকায় এখনও কাঁঠাল পাকে নি তবে কাঁঠাল পাকলেই আমিও এই রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করব।
ঠিক আছে ভাইয়া কাঁঠাল পাকলে ভর্তা তৈরি করেন অনেক ভালো লাগবে,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভর্তা করা যায় তা আমার জানা ছিল না। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপন করে। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া এখন তো জেনে গেলেন,ভর্তাটা অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।