হায়রে ভালোবাসার দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
ময়না আস্তে আস্তে অনেক অসুস্থ হতে লাগলো।এদিকে ময়েন তার অফিসের মেয়ের সাথে আরো অনেক সম্পর্কে পরিণত হলো।এখন ময়েন আর আগের মতো ময়নার সাথে সময় দেয় না।ময়না ময়েনের এমন পরিবর্তন হওয়া দেখে শুধু ভাবতে লাগল হায়রে জীবন, হায়রে ভালোবাসা। যার জন্য আমি বাবা মা সবাইকে ছেড়ে এসেছি সেই এখন আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
এভাবে ময়না বাসার ভিতরে একা ছটপট করতে থাকে। এমন দিন আছে ময়েন আর বাসায় ফিরে আসে না। তখন ময়না ভাবতে লাগল আসলে যখন টাকা পয়সা অভাব ছিল তখন আমার ভালোবাসার কমতি ছিল না। এখন আমার সব আছে কিন্তু ভালোবাসা নেই। এভাবে ময়না যেন আর চলতে পারছে না। সারারাত এভাবে চিন্তা করতে করতে ময়না কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে সে নিজেই বুঝতে পারিনি।এভাবে একরাত একদিন পরে ময়েন বাসায় সেই মেয়েকে নিয়ে হাজির। ময়েন বলতে লাগলো ময়না তোমার শরীর অনেক খারাপ তাই তোমার দেখা শোনা করার জন্য একজন লোক এনেছি। এই মেয়েটা সব সময় তোমার সেবা করবে, এখন তোমার এর একা থাকতে হবে না।
ময়না প্রথম দেখে অনেক খুশি হলো সত্যি আমি একজন সঙ্গী পেলাম। সারাদিন একা থাকার চেয়ে মেয়েটার সাথে সময় পার করতে পারব।তারপর ময়েন মেয়েটা গেস্ট রুমে শুতে দিল, আর সে ময়নার পাশে ঘুমালো।ময়মা ও ময়েন মধ্যে আগের মতো সেই ভালোবাসা নেই। ময়না ঘুমের অভিনয় করে ঘুমিয়ে গেল। আর এই সুযোগে ময়েন মেয়েটার রুমে চলে গেল।কিছু ক্ষণ পর ময়না ও সেই রুমের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।তখন ময়নার আর বুঝতে বাকি রইলো না আসলে মেয়েটাকে। তারপর ময়না তার রুমে এসে শুয়ে রইল।সকালে ময়েন ময়নাকে বললো এখনো নাস্তা বানাওনি, ময়না কোন কথা না বলে রান্না করে চলে গেল।আসলে ময়না অনেক অসুস্থ সে কোন রকম নাস্তা বানলো তারপর যখন টেবিলে খাবার দিল তখন মেয়েটা বললো এই রুটি খাওয়া যায়।এই বলে রুটির প্লেট ফেলে দিল। তারপর দুজনে অফিসে চলে গেল। ময়না যেন আর পারছে না কিন্তু সেই কি করবে, সে মৃত্যুর সাথে লড়ছে।তারপর যে কয়টা দিন বেশি বাঁচতো এই অত্যাচারে হয়তো অনেক তাড়াতাড়ি মৃত্যুর মুখোমুখি হবে।
রাতে দুজন বাসার ফিরার পর ময়নাকে বললো যা কিছু আছে তুমি খেয়ে নেও আমরা বাইরে থেকে খেয়ে আসছি।তারপর ময়নাকে সেই মেয়েটা এসে বললো আমার বেড রুম ছেড়ে দাও আমি আর ময়েন এই খাটে শুবো।তখন ময়না বললো এটা আমার বেড রুম তোমাকে দেবে কেনো?এক পর্যায়ে জোর করে ময়নাকে রুম থেকে বের করে দিল।ময়না গেস্ট রুমে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো এখন আমি কি করব।ভাবতে ভাবতে কখনো যে ময়না শেষ ঘুম ঘুমালো সে বুঝতে পারেনি।সকাল বেলা ময়েন যখন ময়নাকে নাস্তা বানানের জন্য ঢাকতে গেল তখন ময়না আর কথা বললো না।তখন ময়েন ময়নার ভালোবাসা গুলো বুঝতে লাগলো।আমি কি ভুল করেছি, তারপর কয়েক দিন পরে ময়েন পরের বউটা ময়েনকে ছেড়ে গেল।আসলে এটা সত্যি ময়নার সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য ময়েনের এমন শাস্তি হলো।আসলে যে যা করে তার প্রতিফল কিছু হলেও পায়।
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা বিপদের সময় অনেক বেশি খারাপ ব্যবহার করে। হয় তো বিপদের সময় মানুষ মানুষকে সহায়তা করেন আবার অনেক কিছু মানুষ আছে সুযোগ বুঝে খুব খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু এই খারাপ ব্যবহারের পরিণতি খুবই খারাপ হয়। যেমন টা হলো ময়েনের সাথে। গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের বর্তমান সমাজে এরকম ঘটনা খুবই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইদানিং।
যে আপু এরকম ঘটনা অনেক হচ্ছে,ধন্যবাদ আপু পাশে থাকার জন্য।