জেনারেল রাইটিং : কোরবানি মাংস বিতরণ দেখার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
কোরবানি মাংস বিতরণ দেখার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতি নিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে আসার জন্য। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। বিশেষ করে কোরবানি ঈদ।কোরবানি ঈদ আমাদের সবারই জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ধনীরা কোরবানি দেয় আর এই কোরবানির মাংসে গরীবের হক আছে।তাছাড়া দেখুন যারা অনেক ধন সম্পদের মালিক তারা কিন্তু প্রতিনিয়ত অনেক ভালো মন্দ খায়। তখন কিন্তু অনেক গরীব লোকজন ধনীদের দুয়ারে দাঁড়ায় না।কিন্তু কোরবানির সময় তার বিপরীত। তবে আমরা সবাই কিন্তু কোরবানির মাংস সমান ভাবে গরীবের মধ্যে বিতরণ করি না।আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছে যারা শুধু নামের জন্য কোরবানি দেন। আসলে আমাদের সবারই উচিত কোরবানির মাংস বিশেষ করে গরীবের ভাগ গরীবদের দিয়ে দেওয়া। যাইহোক আমাদের বাড়িতে আগে সবাইকে দিয়ে তারপর আমাদের জন্য রাখে।যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আসলে এবার ঈদে বৃষ্টির জন্য সবারই অনেক কষ্ট হয়েছে।গরু জবাই থেকে শুরু করে মাংস বানানো পর্যন্ত বেশ ঝামেলা হয়েছে। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে তেমন বৃষ্টি হয়নি দুপুরের দিকে। আমাদের এখানে অর্ধেক মাংস বানানোর পর শুরু হলো বৃষ্টি। তারপর সবাই তারাতাড়ি করে আমাদের একটা বাইরে ঘর ছিল সেখানে নিয়ে গেল।আসলে গ্রামের জনগণ কিছু মানে না, উনাদের বলা হলো আপনারা এখানে ভীর না করে মাংস বানানো হোক পরে আসবেন। তবে উনারা কেউ কারো কথা শুনছে না।
সবাই মাংস নেওয়ার জন্য অস্হির। কেউ কেউ ভাবছে সবাইকে মনে হয় মাংস দেবে না।আসলে সব সময় বাইরে মাংস বিতরণ করে তাই অনেকেই ভাবছে মনে হয় ঘরের ভিতরে না ঢুকলে মাংস পাব না। এ সকল জনগণকে বুঝানো মুশকিল। তবে আমাদের এখানে কয়েকটি গরুর মাংস এক জায়গায় করে বিতরণ করা হয়।আর সবাইকে আগে নাম লেখাতে হয়। একেক ঘর থেকে একেক জনকে মাংস দেওয়া হয়, তাই এক ঘর থেকে, একজনের নাম দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই আছে তারা সবারই নাম দেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকে।
হঃ
অবশেষে মাংস বানানোর শেষ হলো সবাইকে লাইন ধরে দাঁড়াতে বলল । আসলে জনগণকে বললেই কি আর তারা লাইন ঠিক মতন দাঁড়িয়ে থাকে? যাইহোক তারপর ভেতর থেকে একজন নাম খাতা ধরে ডাকছে আর আর একজন মানুষকে মাংস বিলি করছে। যখন মাংস মানুষের মাঝো বিতরণ করছিল তখন কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছিল না। বৃষ্টি হচ্ছে না বিদায় আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি। যাইহোক প্রায় 200 লোক হয়েছিল সবাইকে ভালো মতো মাংস নিতে পেরেছে । তবে আমি কখনো মাংস বিতরণ করা তেমন ভাবে দেখিনি এবার বৃষ্টির জন্য কাজের চাপ ঐসময় একটু কম থাকায় দেখতে পেরেছি। সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
কোরবানি মাংস বিতরণ দেখার মূহুর্ত আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ২০০ জন পরিবার কে মাংস বিতরণ করেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। এভাবে গরিব মানুষের প্রতি আমাদের পাশে থাকা কর্তব্য। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাই এভাবে গরিব মানুষের পাশে থাকা অবশ্যই আমাদের কর্তব্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকগুলো পরিবারকে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। তবে এই ধরনের পোস্ট শেয়ার করা যাবে কিনা আমার জানা নেই আপু। ভালো লাগলো আপু আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়ে।
আসলে আপু আমি তো এখানে কোন রক্ত মাখা ছবি দেইনি। তবে আমি ও জানি না। ধন্যবাদ আপনাকে।
মাংস বিতরণ তো বেশ ভালোই করেছে আপু দেখে বোঝা যাচ্ছে। আসলে কোরবানির মাংস পাওয়ার জন্য সবাই দোয়ার দোয়ারে যায় এক টুকরা মাংস খাওয়ার জন্য পাওয়ার জন্য। তখন কিছু না কিছু দিতে পারলে বেশ ভালই লাগে। কোরবানির মাংস ভাগাভাগি করে খাওয়ার মধ্যে অনেক আনন্দ থাকে। ওদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে যদি না পাই তাই ধাক্কাধাক্কি করে। অবশেষে সুন্দর করে সবাইকে মাংস বিতরণ করেছে এবং দৃশ্যটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো,ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ত্যাগের মহিমায় উদ্বেলিত হয়ে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা শেষ হলো।আসলে এ সময়টাতে গরীব-দুঃখীদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে মাংস বিতরন করতে দেখা খুব ভালো লাগলো। আপনি আপনার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাদের ভালো লাগা আমার কাজের স্বর্থকতা, ধন্যবাদ আপু।