হঠাৎ নদীতে গোসল করার মূহুর্ত ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
আসলে অনেক দিন পরে কোন কাজ করলে মনে আনন্দটা একটু বেশি থাকে। আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে একটি নদী। নদীটির নাম হচ্ছে কুমার নদী।নদীতে এখন অনেক পানি ও স্রোত। দেখলেই মনে হয় নদীতে নেমে গোসল করি। আসলে আমাদের আশেপাশের ও আমাদের বাড়ির লোকজন অনেকেই গোসল করে। আমার বাচ্চারা ও মাঝে মধ্যে নদীতে গোসল করতে যায়। তাদের যাওয়ার উদ্দেশ্য হলো যাতে তারা ডুব দিয়ে গোসল করা শিখতে পারে। আর নদীতে গোসল করলে তারা সাঁতার কাটা শিখবে তারাতাড়ি।আমি কিন্তু বাচ্চাদের সাথে কখনো নদীতে যায়নি। ওরা ওর বাবার সাথে প্রায়ই যায় গোসল করা জন্য নদীতে।
তবে গতকাল ওর আব্বু বাড়িতে ছিল না। বাচ্চাদের গোসল করাতে যাব কিন্তু ওরা করবে না। ওরা বলছে নদীতে করবে। তখন একটা বিপদে পড়ে গেলাম। এমনিতে অনেক ছোট বাচ্চা তারপর আবার নদী যাবে। কারো কাছে দিতে আর ভালো লাগল না। তারপরেও আমার এক চাচা শশুড়ের মেয়ে আছে ও দশম শ্রেণিতে পড়ে। সে প্রতি দিন নদীতে গোসল করে। আমার মেয়ে বলল আম্মু আমি রেভা ফুফির সাথে নদীতে গোসল করতে যাব। আমার চাচা শশুড়ের মেয়ের নাম হলো রেভা।আমি বললাম তোমার ফুফিকে ঢেকে আনো। সত্যি বাচ্চারা গিয়ে ঢেকে আনল।আমি রেভাকে বললাম ওদের নিয়ে গোসল করাতে পারবে ও বলল ঠিক আছে পারবো। তারপর রেভার সাথে ওদের যেতে দিলাম।
যেতে দিয়েছি ঠিকই কিন্তু মন যেন আর কিছুতেই মানতে যাচ্ছে না। তবে আমাদের বাড়ির পিছনেই নদী। দু মিনিটে চলে যাওয়া যায় নদীর পাড়ে । ওদের আগে পাঠিয়ে দিয়ে আমি পিঁছে পিঁছে গেলাম। যেয়ে দেখি ওরা এখনো নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নদীতে অনেক মানুষ গোসল করছে, তাই দাঁড়িয়ে রয়েছে কারণ বাচ্চারা তো বেশি দূরে যেতে পারে না। আমাকে দেখে আমার বাচ্চা দুটি অনেক খুশি।
আমি যাবার সাথে তারা বাইনা ধরল ছেলে গুলো মাছ ধরছে তাদেরকে কিছু মাছ এনে দিতে হবে। সেই মাছগুলো যেন তারা পালন করবে। সেখান থেকে কয়েকটি পুটিমাছ এনে দিলাম। কিন্তু বাড়িতে আসার সাথে সাথে মাছগুলো মারা গেল।ছোট নৌকার মতো দেখছেন, সেই নৌকায় আমাদের বচ্চারা এবার থেকে ওপার যায়। অনেক মজা করে বাচ্চারা মাঝে মাঝে।
কিন্তু নদীর পানি গুলো এতো সুন্দর দেখাছিল বারবার মনে হচ্ছিল যে আমি নদীতে গোসল করে নিই।কিন্তু সাহস পাচ্ছিলাম না। আসলে অনেক দিন নদীতে গোসল করিনি তো তার জন্য। রেভা আমার বাচ্চাদের গোসল করিয়ে দিল। আমি তখনো বসেছিলাম। তারপর রেভা আমাকে বলল আসো আমরা গোসল করি।একদিন গোসল করলে কিছুই হবে না।অবশেষে নেমে পড়লাম। নদীতে নামার পরে অনেক আনন্দ লাগছিল। কারণ পানি গুলো ছিল অনেক পরিস্কার ও স্রোত ছিল ভালোই। আমি আর রেভা নদীর ভিতরে কিছু ক্ষণ সাঁতার কাটলাম। সাঁতার কাটতে আমার বেশ ভালোই লাগছিল তবে কিছু সময় সাঁতার কাটতে আর পারছিলাম। কারণ অনেক দিন এভাবে সাঁতার না কাটার কারণে মনে হয় এমন হচ্ছিল।আসলে অনেক দিন পর নদীতে গোসল করার মজাই অন্য রকম । সত্যি বলতে নদীতে গোসল করতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আবারো একদিন গোসল করব ভাবছি।আশাকরি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময় অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
অনেক পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিল আপনার এই লেখাটা আপু। ছোট বেলায় সাঁতার শেখানোর জন্য বাবা কত নদীতে নিয়ে যেত, কিন্তু আমি তো শুধু ডুবে ডুবে জলই খেতাম, সাঁতার আর শেখা হয় নি কোন দিন। এখন তো নদী তে নামতে মারাত্মক ভয় পাই। শেষ কবে যে নদীতে নেমেছিলাম একদম মনে নেই। খুব ভালো লাগলো বাচ্চাদের এই বায়না গুলো দেখে, আর এই সুবাদে আপনারও অনেকদিন পর নদীতে যাওয়া হলো। নদীর জল টা সত্যিই বেশ স্বচ্ছ লাগছিল। আমার তো দেখেই যেতে ইচ্ছে করছিল আপু।
চলে আসুন গোসল করার জন্য, আপনি তো গোসল না করে ডুবে ডুবে পানি খাবেন, হা হা হা। জি ভাইয়া বাচ্চাদের সুবাদে আমি ও গোসল করার সুযোগ পেলাম।
@parul19 আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার।
ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আপনার মেয়েদের জন্য অনেক ভালোবাসা।
ভালো থাকবেন। 😊
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
নদীতে গোসল করতে আমার খুব ভালো লাগে আমি এখনো মাঝে মাঝে সময় পেলেই বন্ধুদেরকে নিয়ে নদীতে চলে যাই গোসল করার জন্য। আমাদের বাড়িটা ঠিক পদ্মা নদীর পাশে এজন্য ছোটবেলা থেকেই পদ্মা নদীর সাথে অতপত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে কত স্মৃতি আর গল্প।
বাচ্চাদেরকে ডুব দিয়ে গোসল করানো এবং সাঁতার শিখানো আসলে খুবই দরকার ।খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে তারা। অনেক আনন্দ করেছে ছবিগুলা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদেরকে ডুব দিয়ে গোসল করানো এবং সাঁতার শিখানো আসলে অনেক দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ছোট বেলায় আমাদের বাড়ির পেছনের নদীতে প্রায় প্রতিদিনই স্নান করতাম। আপনার বাচ্চাদের দেখে, আমার সেই ছোটবেলার কথা আবার মনে পড়ে গেল। নদীটা খুব ছোট এজন্য মনে হয় দেখতে এতটা সুন্দর লাগছে। যাই হোক শেষ পর্যন্ত আপনিও নদীতে নেমে গেলেন স্নান করতে। হা হা হা...
জি ভাইয়া পানি দেখে আর গোসল না করে থাকতে পারলাম না। বাচ্চারা অনেক মজা করে ওরা প্রায় নদীতে গোসল করে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আরে বাহ কি সুন্দর একটি পরিবেশ ৷ আমার বাড়ির পাশে ও একটি নদী আছে তবে এখন ঠান্ডা করাতে আর স্নান করতে যাই না ৷ আসলে ছোট্ট বাচ্চাদের যত রকম বাহানা ৷ তবে এই ছোট বেলা নদীতে স্নান করতে অনেক ভালো লাগে ৷ তবে আপু একা বাচ্চাদের কখনই নদীতে যেতে দিবেন না ৷ নদীর নামটি শুনে খুব ভালো লাগলো কুমার নদী ৷
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি ব্লগ উপস্থাপন করার জন্য ৷
আমারও ইচ্ছে করে এমন করে নদীতে গোসল করতে,যদিও আমি সাঁতার জানি না।অনেক ভয় পাই নামতে।আপু নদীর নামটা সুন্দর কুমার নদী।তবে পুঁটি মাছ টা মারাই গেলো,আসলে এভাবে পালা যায় না🤣।
সত্যি আপু পুটিমাছ সাথে সাথে মারা যাওয়াতে মেয়েটা অনেক কান্না করেছে। আসলে বড়শি দিয়ে তুলা মাছ বেশিক্ষণ থাকে না।ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
অনেকদিন পর কোনো কাজ করলে আনন্দ যেমন লাগে ঠিক ততটাই মনে উত্তেজনা কাজ করে।তবে অনেকদিন পর আপনার নদীতে গোসল করার মুহূর্ত দেখে নিজের কথাগুলো মনে পড়ে গেলো।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া অনেক দিন পর কোন কাজ করলে আনন্দ ও উত্তেজনা দুটাই থাকে। ধন্যবাদ
ভাগ্নীদের দেখে সেই ছোট বেলা মনে পড়ে গেল।আমার বাড়ির পিছেই করতোয়া নদী।কত লাফালাফি করেছি,আম্মু লাঠি নিয়ে না আসা পর্যন্ত উঠতাম না।আপনার পোস্ট টি পড়ে আবার সেই দিন গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে।আর ওদের একা না ছেড়ে ভাল করেছেন।নদীতে গেলে বড়দের সাথেই যেতে দেবেন।একা নদীতে যাওয়া ছোটদের জন্য ঝুকিপূর্ণ। আর এমন নৌকা এবারই প্রথম দেখলাম।ধন্যবাদ আপু, স্মৃতিকাতর করা পোস্টটির জন্য।
সত্যি ভাইয়া এই পোস্ট আমি ছোটবেলার কথা মনে করেই লিখলাম। আর বাচ্চাদের একা পাঠানো সত্যি ঝুঁকি পূর্ণ। ধন্যবাদ আপনাকে।
নদীতে গোসল করার মজাই আলাদা। তবে একটা সমস্যা হচ্ছে শরীর বালু বালু হয়ে যায়। কারন পলি মাটি। যাই হোক অনেক মজা করেছেন৷ বাচ্চাদের গোসলের সুযোগে নিজেও অনেকদিন পর নদীতে গোসল করতে পেরেছেন এটাই তো অনেক। মাঝে মধ্যে সাঁতার কাটলে মন ও ভালো থাকে। শুভকামনা রইলো আপু।
হঠাৎ নদীতে গোসল করার মূহুর্ত শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ছোট বেলায় মিষ্টি স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় কত যে নদীতে গোসল করেছি বলে বোঝাতে পারবো না। নদীর নামটি অনেক সুন্দর কুমার নদী। এই প্রথমবারের মতো শুনলাম।
প্রশংসানীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ