বাচ্চাদের জন্য শীতের কেনাকাটা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বাচ্চাদের জন্য শীতের কেনাকাটা
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে এখন চলে এসেছে শীত কাল। তাই বাচ্চাদের জন্য শীতের কিছু কাপড় চোপড় কেনা অবশ্যই দরকার। আসলে প্রতি বছরি শীতের কাপড় কিনতে হয় তবে বাচ্চারা বাড়তে থাকার কারণে এক বছরের কাপড় চোপড় অন্য বছর পড়ানো যায় না। তবে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে প্রতিবছরের তুলনায় এ বছর কাপড় চোপড়ের দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। আসলে দাম বাড়লে কি হবে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো তো কিনতেই হবে। হয়তো আগে অনেক গুলো কিনতাম আর এখন একটু কম। আসলে বাচ্চাদের গেঞ্জিগুলা দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে তবে ইচ্ছে অনুযায়ী কিনতে তো আর পারা যায় না। যাইহোক সাধ্য অনুযায়ী কিছু গেঞ্জি ও পায়জামা বাচ্চাদের জন্য কিনেছি।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু আমার মেইন উদ্দেশ্য ছিল বাচ্চাদের জন্য শীতের পায়জামা কেনার , তাই আগে গেঞ্জি ও পায়জামার দোকানে চলে গেলাম। আসলে বাচ্চাদের অনেক নতুন নতুন জিনিস এসেছে। যেগুলো দেখি সব গুলোই পছন্দ হয়। যাইহোক প্রথম দুই দোকান দেখলাম সব গেঞ্জি গুলোই পছন্দ করার মতো। আবার সব সাইজের আছে তবে আমি দুই সাইজের গেঞ্জি নেব। আসলে প্রথম যেগুলো পছন্দ হয় সেটা না নিতে পারলে ভালো লাগে না। তারপর প্রথম দোকান থেকে দুটি গেঞ্জি পছন্দ করলাম। তবে দাম চাই ৩৫০ টাকা করে। আসলে এ ধরনের গেঞ্জি গুলো গতবার কিনেছিলাম ২০০ টাকা করে কিন্তু এবার ডাবল দাম।যাইহোক দুটি ছয়শত টাকা বলেছি তাও দেয়নি। তারপর গেঞ্জি রেখে চলে গেলাম অন্য দোকানে।
আসলে কথায় আছে না চাঁদ উঠলে সব জায়গায় উঠে। যেহেতু দাম আবার গেঞ্জি গুলো ভালো তাই দাম তো নেবেই। আর আমারো তো গেঞ্জি গুলো কিনতে হবে। আর একটা দোকান দেখলাম সব একই অবস্থা। তারপর গেঞ্জি রেখে পায়জামা দেখতে লাগলাম আসলে আগে গেঞ্জি কিনলে ম্যাচ করে পায়জামা কেনা যায়। যাইহোক আগে কয়েকটি পায়জামা কিনলাম। দুই বোনের জন্য চারটি পায়জামা কিনলাম ২০০ টাকা করে। পায় জামা তো সহজে দাম অনুযায়ী কিনতে পেরেছি। ও যে বললাম একবার একটা জিনিস পছন্দ হলে আরো হাজারটা দেখলেও ভালো লাগে না। চোখ পড়ে থাকে আগের গুলোর ওপর। তারপর পায়জামা গুলো নিয়ে আবার চলে আসলাম আগের দোকানে।
আগের দোকানে তো আর দেখার কিছুই নেই শুধু এসে নেব।আসলে গেঞ্জি গুলো কিন্তু আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। তবে আমার কেন আমার মনে হয় বাস্তবে দেখলে সবারই পছন্দ হবে। অনেক সুন্দর দেখতে। তারপর কি আর করা পায়জামার কালার গেঞ্জি গুলো খুঁজতে লাগলাম।তারপর সাথে সাথে দুটি গেঞ্জি পেয়ে গেলাম। এখন আরো দুটি গেঞ্জির সাথে পায়জামা নিলাম কিন্তু ম্যাচিং সামান্য পাওয়া গেল।যাইহোক অবশেষে ১৪০০ টাকা দিয়ে চারটি গেঞ্জি কিনলাম। দাম নিলেও গেঞ্জি গুলো অনেক ভালো। সত্যি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপনার কেনাকাটা দেখে খুব ভালোভাবেই বুঝতেছি ফরিদপুরে শীতের আগমন ঘটেছে। সারা বাংলাদেশেই শীত এসেছে তবে আমাদের এখনো কেনাকাটা করার সময় আসেনি।যেদিন সূর্য মামাকে দেখতে পাবো না সেদিন যাবে মার্কেটে। আপনার বাচ্ছোদের ড্রেস গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
তাই তাহলে অপেক্ষা করুন সূর্য মামার জন্য, ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
শীত যেন এবার তারাতারিই চলে এলো।ঠিকই বলেছেন বাচ্চাদের এই বছরের জিনিস পরের বছর গায়ে হয়না আর। গেঞ্জি আর জামা গুলো ছবিতেও সুন্দর লাগছে।তবে গলা কাটা দাম চেয়েছে দোকানদার। আমার ব্যবসার এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলতে পারি এগুলো কেনা পড়ে ১০০-১১০ এর মাঝে। ধন্যবাদ আপু কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া গলা কাটা দাম তবে কিছু করার নেই, প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হবেই।ধন্যবাদ ভাইয়া।
চলে এসেছে শীতকাল ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল।
শীতের শুরুতে যদি একবার ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে পুরো চার মাস ভুকতে হবে। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা তো খুবই মারাত্মক।
শীতের শুরুতেই কেনাকাটায় ব্যস্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাচ্চাদের জামা কাপড়গুলো এমনই। এত আকর্ষণীয় ভাবে বানায়, অধিকাংশ জামা কাপড় ই পছন্দ হয়ে যায়। কোনটা রেখে কোনটা নিবো, সেটি নিয়ে কনফিউশান তৈরি হয়ে যায় রীতিমতো! আর আসলেই, প্রথমে যদি কিছু কেনার জন্য চোখে লেগে যায়, পরে সেটি কিনতে না পারলে মন খারাপ হয় এবং পরবর্তীতে সেগুলোর মিগোন আর ভালো লাগে না কিছু।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য
আপনি বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন।বাহ,ভালো লাগলো।জি আপু, শীতকাল আসলে শীতের জন্য কাপড় কিনতে হয়। আমার তো পুরাতন কাপড় গুলি পড়তে, তেমন একটা ভালো লাগে না কিন্তু এখন যা দাম কাপড় কেনা অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।দাম যতই বাড়ুক যেগুলো আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস তা কিনতে হবে। বাচ্চাদের অনেক শীতের পোশাকের ছবি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং পোশাকগুলি বেশ সুন্দর ছিল। আসলেই দেড়শ টাকা বেড়ে গেছে, গেঞ্জির দাম এই বছরে। প্রতিটা জিনিসের এখন দাম মেলা। আপনি অবশেষে ১৪০০ টাকা দিয়ে চারটি গেঞ্জি কিনলেন। বাহ,আপনার অনুভূতিগুলি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
আসলে ভাইয়া প্রয়োজনীয় জিনিস না কিনে উপায় কি? ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা প্রতি বছর করতে হয় এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন। বাচ্চাদের এই বছর কিনলে পরের বছরেই ছোট হয়ে যায়।সব গুলো গেঞ্জি ও প্যান্ট অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।ফটোগ্রাফিক দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দাম তো ভালো জিনিসের একটু বেশি হবেই।তার উপরে সব কিছুর দাম তো বেড়ে গেছে অনেক।ধন্যবাদ আপু বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটার সুন্দর মূহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় এই বছর কিনলে পরের বছর আর পরানো যায় না। এই জন্যই বাচ্চাদের প্রতি বছরে কাপড় কিনতে হয়।যাইহোক আপনার গেঞ্জির দাম চাচ্ছে ৩৫০ টাকা। তবে এই বছরে শীতের কাপড়ের দাম একটু বেড়ে গেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার অনেক দাম বাড়ছে।তবে এটা ঠিক যে,যেই জিনিস টি একবার পছন্দ হয় সেটা যেভাবেই হওক নিতে হবে।পরে আরো ১০ টা দেখলে তার মত হবে না।যাইহোক আপনি ১৪০০ টাকা দিয়ে চারটি গেঞ্জি কিনছেন জেনে ভালো লাগলো। গেঞ্জি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগতেছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
অবশেষে তাহলে বাচ্চাদের জন্য শীতের কেনাকাটা করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। বর্তমানে সবকিছু রে এত এত দাম মার্কেটে গেলেই মাথা ঘুরে যায়। যাই হোক অনেক ঘোরাঘুরি করে শেষমেশ চারটা গেঞ্জি নিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। যদিও শহরে তেমন একটা শীত পড়েনি তবে বাচ্চাদের আগে থেকেই সাবধানে রাখা উচিত বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ আপনার শীতের কেনাকাটার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
বাচ্চাদের জন্য শীতের কেনাকাটা করলেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এটা ঠিক কিছু একটা পছন্দ হয়ে গেলে পরে আর কোন কিছুই ভালো লাগে না।তবে এখন সবকিছুর দাম ই খুব বেশি।তারপরেও কেনা তো লাগবেই। প্রয়োজন বলে কথা।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।