হঠাৎ রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আমার কাছে তো ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। গত শুক্রবারে আমি দুই মেয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার বোনের বাসায়। আসলে আমরা যখন বাড়ি থেকে বের হলাম তখন আকাশ মেঘলা ছিল কিছুটা। তারপর আমরা অটোতে উঠতেই শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। কি আর করা আমরা বেশকিছু দূরে গিয়ে অটো দাঁড় করালাম। যেহেতু অটো আমরা রিজার্ভ করে নিয়েছি তাই উনাকে বললাম আপনি চলে যান। বৃষ্টি থামলে আমরা রিক্সায় করে চলে যেতে পারব।আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে। একটা দোকানে দাঁড়িয়ে চার পাশ দেখছিলাম,সত্যি মোড়ের চারপাশ বেশ সুন্দর। তাই আমরা মেয়ে বললো আম্মু আমরা বৃষ্টি শেষ হলে এখানে ঘুরব।আসলে মোড়ের পাশেই আমার বোনের বাসা, তারপর ফোন দিলে আমার ভাগ্নে এলো মোড়ে । সত্যি বলতে সব সময় গাড়ি দিয়ে যাওয়া হয় তাই মোড়ে এভাবে কখনো ঘোরা হয়নি। সত্যি জায়গাটা বেশ সুন্দর।তাই আমরা বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করেছি । তা হলে আমরা কোথায় ঘোরাঘুরি করলাম দেখে নিয়।
প্রথমে আমরা যে দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেই দোকান থেকে বের হয়ে সামনের দিকে গেলাম। মেয়েরা যাবে মূর্তি বানানো সেই জায়গা দেখতে। আসলে বাচ্চারা তো ভাবে আগে সেখানে যায় না কেন? সেখানে গেলে যে এই সব জায়গা পার হয়ে যেতে হবে সেটা বোঝে না।যাইহোক তারপর আমরা মোড়ের বাগানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ভিতরে অনেক সুন্দর জিনিস রয়েছে।
ভিতরে পরিবেশ সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। তবে কাউকে বাগানের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কেয়ার টিকার। যাইহোক আমরা পাশদিয়ে এভাবে ঘুরতে লাগলাম।যেহেতু বৃষ্টির পরের মূহুর্ত তাই আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা ছিল। এভাবে ঘুরতে বেশ ভালোই লেগেছে। জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। আমরা পাশ দিয়ে ঘুরার পরে কেয়ারটেকার বললো আপনারা এখন চাইলে ভিতরে যেতে পারেন।তখন অন্য জায়গায় যাব তাই আর ইচ্ছে করে ভিতরে ঢুকিনি। যাইহোক ভিতরের ফুল ফল গাছ ও মূর্তি গুলো দেখতে বেশ ভালোই লেগেছে। যদিও আমি বেশ দূর থেকে ফটোগ্রাফি করেছি।আসলে বৃষ্টির পানি ছিল তাই বাচ্চারা ইচ্ছে করে পানির ভিতরে নামে তারজন্য আর আগায় নি।
তারপর রাস্তার আরেক পাশে চলে আসলাম রিক্সায় উঠার জন্য। আসলে বৃষ্টির পরে কোন গাড়ি ঘোরা নেই। তারপর বাক শ্রাবণ প্রতিবন্ধী স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি অনেক ক্ষণ।তখন কেয়ার টেকার সাথে কথা বলতে বলতে স্কুলের ভিতরে গিয়ে বসে রইলাম। তখন আবার শুরু হলো বৃষ্টি। তবে স্কুলটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। যদিও যাবার পথে স্কুল পড়ে তবে কখনো এভাবে ঘুরে দেখা হয়নি।জায়গাটা আমার অনেক ভালো লাগে।তখন ভাবতে লাগলাম আসলে অটো ছেড়ে দেওয়ার জন্য হয়তো এভাবে পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখা সম্ভব হয়েছে। সত্যি সবাই বলে অনেক সুন্দর মোড় আজ নিজেই দেখলাম, অনেক সুন্দর করেছে আমাদের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে। দেখলে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে।
এখন বেশ কিছু সময় ঘুরার পরে যাওয়ার পালা। যদিও বাচ্চারা বলেছিল আরো কিছু ক্ষণ থাকতে।আসলে সন্ধ্যা লেগে যাবে তাই আরকি।আর যাইহোক বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া তো আর হয়নি। রিক্সায় উঠার আগেই বাচ্চারা দোকানে সামনে চলে গেল। তারপর কোকোলা, কেক, চিপস, জুস ইত্যাদি নিল। যেটা বাচ্চাদের ঘুরতে গেলে খেতেই হবে। তবে এখানে ঘুরতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনারা কেউ চাইলে এখানে এসে এভাবে ঘুরতে পারবেন। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনি তো দেখছি ঘোরাফেরা বেশ করেন মেয়েদেরকে নিয়ে তবে এটা একটা ভালো দিক। বাচ্চারা পুরো সপ্তাহ জুড়ে পড়ালেখা করার পরে মনটা একটু কিটকিটে হয়ে যায়। তাই তাদেরকে নিয়ে যদি একটু ঘোরাফেরা করা যায় তাহলে মনটা হালকা হয়ে যায়। খুব সুন্দর ঘোরাফেরা করলেন বোনের বাসায় যাওয়ার সময় অনেক সুন্দর সময় কাটালেন।
আসলে আপু মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে একটু ঘুরতে হয় আরকি, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনারা বৃষ্টি আসার কারণেই তো এই জায়গাটিতে ভালো মুহূর্ত কাটাতে পেরেছিলেন। হঠাৎ করে রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ে অনেক ভালো এই ঘোরাঘুরি করেছিলেন দেখছি। আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এরকম ভাবে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করলে তাদের কাছেও ভালো লাগে। বাচ্চারা তো দেখছি দোকানে গিয়ে অনেক কিছুই কেনাকাটা করে খেয়েছিল। সব মিলিয়ে এত সুন্দর মুহূর্ত সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।
হঠাৎ দেখছি রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে ঘোরাঘুরি করেছিলেন আপনারা। এরকম ভাবে ঘোরাঘুরি করলে মনটাও একেবারে ফ্রেশ থাকে। আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে যদি ঘোরাঘুরি করা হয় তখন তো আরো ভালো লাগে। বাচ্চাদেরও কিন্তু আবার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ভালো লাগে। বাচ্চারা তো দেখছি দোকানে গিয়েছিল এবং মজার মজার খাবারও কিনেছিল। নিশ্চয়ই তারা সেই খাবারগুলো বেশ আনন্দসহ উপভোগ করে খেয়েছিল।
জি ভাইয়া বাচ্চারা খাবার গুলো আনন্দ সহকারে খেয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।