দুঃখের জীবনে দুঃখই থাকে দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
দুঃখের জীবনে দুঃখই থাকে দ্বিতীয় পর্ব
নীপার বাবা যেহেতু নীপার বিয়ে আরজুর ভাইয়ের সাথে ঠিক করলো। আসলে আরজুর ভাই আগে অনেক অসুস্থ ছিল কিন্তু এখন ঠিক আছে।যাইহোক আরজুরা ছয় বোন এক ভাই। আরজুর ভাইয়ের নাম হলো শিহাব। শিহাবকে সব বোনেরা অনেক ভালোবাসে। শিহাবের বিয়ে মহা ধুম ধাম করে হয়ে গেল নীপার সাথে। নীপা ও শিহাব অনেক সুন্দর করে দিন কাটাতে লাগলো। নীপা শশুড় বাড়িতে এসে অনেক খুশি। আসলে নীপাতো অনেক অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয়েছে। আর এখানে এসে সব কিছু পেয়েছে তারপর আবার সব ননদেরা অনেক আদর করে। নীপার শশুড় ও নীপাকে অনেক ভালো বাসে।
এভাবে নীপার বিয়ে ছয়মাস পেরিয়ে গেল। নীপা বেশ সুখে আছে শশুড় বাড়িতে। নীপা আবার তার বাবাকে আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য ও করে।নীপা ভাবতে পারেনি এত সুখ তার কপালে আছে।কিছু দিন পরে নীপার শশুড় মারা গেল। নীপার আবার এক ননদ পাগল।আবার আরেক জনে বাবার বাড়িতে থাকে। নীপার আবার সৎ শাশুড়ি ঘরে। তবে যাইহোক না কেনো নীপাকে সবাই অনেক ভালোবাসে।নীপার যেহেতু সৎ শাশুড়ি তাই নীপার ননদেরা সব সময় তাদের কথা মতো চলতে বলতো। নীপা তো ছোট তেমন কিছু বোঝে না। ওকে যা বলে তাই করে। নীপার ননদেরা চায় নীপা তার শাশুড়ি কথা না শুনুক। এভাবে চলতে চলতে নীপার চোখ খুলে গেল। এখন শুধু শাশুড়ি নয় নীপা তার ননদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়া শুরু করলো।তখন নীপার ননদেরা ভাবলো দুধ কাল দিয়ে কাল সাপ পুশেছি।
এদিকে নীপা আবার পেগনেন্ট হলো। নীপার স্বামী নীপাকে এতোটা ভালোবাসে যে নীপাকে ছেড়ে একদিন ও থাকতে পারে না। তাই নীপার বাচ্চা হওয়ার কয়েক দিন আগে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিল। বাবার বাড়ি যাওয়ার এক সপ্তাহ পড়েই নীপার ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান হলো।ছেলের বয়স ১৫ দিন হলেই নীপার স্বামী নীপাকে বাড়িতে নিয়ে এলো।এখন নীপার সত শাশুড়িকে দিয়ে সব কাজ করায়।এভাবে দুই বছর পার হয়ে গেল। নীপা এখন আর এক সাথে খাবে না।
নীপার স্বামী তার বউয়ের সব কথা মেনে নিল।শিহাবদের সবাই দুই ভাগ করেদিল। শিহাব আর শিহাবের বউ। আর শিহাবের সৎ মা ও তার তিন বোন এক সাথে খাবে।নীপা তার ননদের সাথে কথা বলে না।আসলে নীপার ননদের জামাই বাইরে থাকে সে এখানে থাকে তাই নীপার পছন্দ নয়।আর একটার বিয়ে হয়নি, আর একজন পাগল।সবাইকে ছেড়ে শিহাব তার বউকে ছেলেকে নিয়ে বেশ সুখে আছে। আবার শিহাব শারিরীক দিক দিয়ে দূর্বল বলে কেউ কিছু বলে না।নীপার যেন সুখের শেষ নেই। তবে এতো সুখ কি নীপার জীবনে সইবে।
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপু আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। কিছু গল্প থেকে যেসব গল্পগুলো ইচ্ছা করে শুধু পড়েই যায়। যারা অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয় তারা মানুষের অভাবটা বুঝতে পারে। যেমন নিপা অভাবের মধ্যে বড় হয়েছে। একটা বিষয় ভালো লাগলো নিপা স্বামী নিপা কে খুব ভালোবাসে এটা জেনে। তবে সবাইকে ছেড়ে শিহাব এবং তার বউ ছেলেকে নিয়ে কতটুকু সুখে থাকতে পারবে সেটা আসলেই সত্যি দেখার বিষয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
জি ভাইয়া তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসবো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগলো আপনার দ্বিতীয় পর্বটিও পড়ে। কারণ প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল তাই দ্বিতীয় পর্ব পড়ার জন্য আগ্রহ ছিল। এবার দ্বিতীয় পর্ব পড়ে যা বুঝতে পারলাম এটা কিন্তু একদম ভালো কাজ করেনি নিপা এভাবে সেপারেট হয়ে যাওয়াটা। কারন যৌথভাবে থাকলে অনেক ভালো ছিল। সুখ দুঃখ নিয়ে তো মানুষের জীবন সেই যেহেতু গরিব পরিবার থেকে এসেছে। হঠাৎ করে এভাবে পরিবর্তন হওয়াটা তার জন্য একদম ভালো হয়নি। দেখি পরবর্তী পর্বে কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে আপু অনেক সময় বাধ্য হয় পরিবর্তন হতে, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অসাধারণ একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, আসলে আপনি ঠিক বলেছেন দুঃখের জীবনে দুঃখই থাকে ।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে আপনি আমাদের মাঝে কোন নতুন একটি মোড় নিয়ে চলে আসেন। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ভাইয়া এটাই বাস্তবতা, ধন্যবাদ আপনাকে।