ঘুরাঘুরি ও কিছু কেনাকাটা ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
প্রতিদিনের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো ঘোরাঘুরি ও কিছু কেনাকাটা। আসলে মাঝে মধ্যে কিছু না কিছু বাচ্চাদের জন্য কিনতে হয়। তবে আজ গিয়েছিলাম মেইনত মেয়ের জন্য গাইড ও জুতা কেনার উদ্দেশ্যে । তবে এগুলো কিনতে গেলে আর হয় না সাথে আরো কিছু কিনতে হলো। আসলে মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরতে গেলে আর সাথে যদি থাকে কিছু কেনাকাটা তাহলে বেশ ভালোই লাগে। যেহেতু তেমন কিছু কিনার ছিল না, তাই একটু ঘুরাঘুরি করেছে। তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট :
আমরা প্রথমে গেলাম মেয়ের জুতা কিনার জন্য। সত্যি বলতে আমার বড় মেয়ের জুতা আবার বেশি দিন যায় না। বড় জোড় মাস যেতে পারে। তাই বেশি দামি জুতা কিনে আর কি করব। প্রতি বছর ঈদের সময় একটা করে দামি জুতা কিনে দিই। আর সারা বছর একটু কম দামের জুতা কিনি আরকি।তাই আমি পছন্দ মত একটা স্যান্ডেল নিলাম ২৫০ টাকা দিয়ে। তারপর সে স্কুলে পড়ার জন্য একটা সাদা কালারের জুতা নিলাম ৫০০ টাকা দিয়ে। আসলে এখন কিনলাম দেখা যাবে আবার সামনে মাসে নিতে হবে আরকি।যাইহোক তবে দাম যেমন তেমন হলেই কি স্যান্ডেল ও জুতা দুটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
এখন আসলাম মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে। আসলে আমার মোবাইলটা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল,আর কিছুতেই খুলতে পারছি না। চার্জ ও নিচ্ছিল না। তখন দেরি না করে চলে আসলাম মিম টেলিকম নামক দোকানে।এই দোকান থেকে আমি যাবতীয় সব কিছু কিনি।তারপর দোকানদার তাড়াতাড়ি করে ফোনটা ঠিক করে দিল। আসলে তেমন কিছু হয়নি, ভাইরাস ঢুকে হঠাৎ ফোন বন্ধ হয়েছিল।যাইহোক ফোনটা ঠিক হয়েছে এটাই বড় কথা।তারপর একটা ইয়ারফোন ও গরিলা কিনলাম।
তারপর আমরা গেলাম একটু ঘুরতে। আসলে এখানে কিনার মতো তেমন কিছু ছিল না। তবে ঘুরতে গিয়ে কি আর ঘুরা হয় কিছু তো কিনতেই হয়। যেহেতু তেমন কিছু কিনার ছিল না। তারপরেও মেয়ের জন্য কয়েক জোড়া ক্লিপ, কাঁকড়া ও ব্যান্ড কিনলাম। সাথে ভাগ্নের জন্য একটা গেঞ্জি কিনে নিলাম।
তারপর আসলাম মেয়েদের জন্য খাতা,পেন্সিল, কলম ও গাইড কিনার জন্য। আমি একেবারে বেশি করে খাতা কলম কিনে রাখি। আজ ও বেশকিছু খাতা কলম কিনেছি।আমার বড় মেয়ের জন্য গিয়েছিলাম একটা গাইড কিনতে। আসলে ক্লাস থ্রির জন্য বাচ্চাদের গাইড লাগে না, তবে স্কুলে প্রায় বাচ্চারা গাইড কিনেছে তাই সে গাইড কিনার জন্য অস্হির হয়ে পড়েছে। তাই ভাবলাম একটা গাইড কিনে দিই।তারপর একটা গাইড কিনে দিলাম মেয়েকে।সে গাইড পেয়ে মহা খুশি। যাইহোক সবকিছু মিলে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছি ও সাথে বেশ কিছু কেনাকাটা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
বাচ্চারা সব সময় দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটি করে। তাইতো তাদের জুতাগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই অল্প দামের জুতা কিনে দেওয়াই ভালো হয়। আর ঈদের সময় যেহেতু আলাদা রকমের আনন্দ থাকে এবং অনেক বেশি ঘুরাঘুরি হয় তাই একটু ভালো জুতাই কেনা হয়। যাই হোক আপু মাঝে মাঝে কেনাকাটা করলে ভালোই লাগে। আর বাচ্চাদের জন্য সব সময় কোন কিছু কিনতেই হয়। কেনাকাটা লেগেই থাকে। আপু আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
জি আপু বাচ্চাদের জন্য কিছু না কিছু সব সময় কিনতে হয়, তাই আরকি কম দামের জুতা কিনে দিতে হয়। আর ঈদের সময় আসলে অন্য রকম একটা আলাদা অনুভূতি।ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চারা সব সময় ছোটা ছুটি এবং দৌড়াদৌড়ি করে থাকে সেজন্য তাদের জুতা একটু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই কেনাকাটা। মুহূর্তটা কিন্তু বেশ ভালোই কেটেছে দেখে মনে হচ্ছে। যেহেতু আপনার মেয়ে ক্লাস থ্রিতে উঠেছে সবার কাছে গাইড দেখে তারও গাইড কেনার আগ্রহ জেগেছে। এটা কিন্তু আপনি ঠিকই করেন একেবারে অনেকগুলো খাতা কিনে নিয়ে। এভাবে একসাথে অনেকগুলো খাতা কিনে নিলে ভালোই হয়।
জি আপু একসাথে বেশি করে কিনে আনলে আর সমস্যা হয় না।আর বেশ ভালোই কেটেছিল সময়টা।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু আমরা মেয়েরা এমনিতেও ঘুরতে বের হলেও দোকান দেখলে টুকটাক কেনাকাটা করে থাকি। যেহেতু আপনার মেয়ের জুতা বেশিদিন টিকে না। তাই আমার মনে হয় কম দামের জুতা কেনায় বেশি ভালো। যেহেতু প্রত্যেক মাসে কিনতে হবে তাই বেশি দাম দিয়ে কেনার কোন মানেই হয় না। ধন্যবাদ আপু আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমরা মেয়েরা সব সময় কিছু দেখলেই কিনে থাকি।আর জুতা বেশি দিন টিকে না তাই কম দামে কিনে দিই।ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট বাচ্চারা দুষ্টামি একটু বেশিই করে এবং ছোটা ছুটি অনেক বেশি করে। সেই কারণে পায়ের জুতা গুলো তেমন বেশি দিন যায় না। যাক মেয়ের জন্য সেন্ডেল এবং স্কুলের জুতা কিনলেন। আসলে বছরের শুরুতে ছেলেমেয়েদের বই গাইড এবং খাতা কলম এগুলো জলদি কিনতে হয়। না হলে তাদের পড়ালেখা সমস্যা হয়ে যাবে। কিছুদিন আগে আমারও মোবাইলটি এভাবে বন্ধ হয়ে গেল। তারপর যখন আমি ঠিক করানোর জন্য নিলাম তখন মেকানিক বললে মোবাইলে ভাইরাস হয়েছে। দেখি আপনারও মোবাইলে একই সমস্যা আমার মত। যাক আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া বাচ্চাদের জুতা একটু বেশি লাগে, তবে আমার মেয়ের মনে হচ্ছে তার চেয়ে আরো বেশি লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাচ্চারা খুব বেশি লাফ ঝাপ করে তাই তাদের জুতা কমই টিকে থাকে। আমি সব সময় বাটার কেডস দেই আমার ছেলেকে।আপনি ভালোই কেনাকাটা করলেন।আমিও বাইরে বের হলে একসাথে অনেক পেন্সিল,রাবার কিনে আনি।কারন হারিয়ে ফেলে।যাই হোক বড় মেয়ের গাইড কিনলেন,ছোটটাও কিনবে ছোটগুলো এমন ই হয়।বড়রা যা করবে ছোট থাকলে ঘরে সেও তাই করে।যাক কিনে দিলেন গাইড ভালোই করেছেন।পড়ে ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু বাটার বলেন আর চামরার বলেল যেকোনো জুতা আমার বড় মেয়ের কাছে টিকে না বেশি দিন। তবে ছোটটার কাছে অনেক দিন যায়।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।