সকালের নাস্তা হোটেলে ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
সকালের নাস্তা হোটেলে
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো সকালের নাস্তা হোটেলে। আসলে গত শুক্রবারে আমরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম আমার ভাইয়ের শশুর বাড়িতে। তাই সবাই সবারই জায়গা থেকে এসেছিল তাই একটু সময় লেগেছিল।আমরা সবাই মিলে বাস স্ট্যান্ড মিলিত হলাম।তাপর বাস স্ট্যান্ড এর সাথে নতুন একটা হোটেল হয়েছে, সেখানে সকালের খাবারের জন্য আসলাম। আসলে হোটেলের পরিবেশ দেখে অনেক ভালো লাগল নিরিবিলি ও অনেক পরিষ্কার। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন সকালের খাবার শেষ হয়েছে। তাই আমাদের জন্য আবার পরোটা ভেজে দেবে। আর আমরা মানুষ যেহেতু বেশ কয়েক জন তাই একটু সময় লাগবে। এই কারণে আমি ও আমার দুলাভাই মিলে গিয়েছিলাম গাড়ি ঠিক করতে। তবে গাড়ি সাথে করে এনে দেখি সবারই খাওয়া দাওয়া শেষ। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্টঃ
গত শুক্রবারে আমরা ভাই বোন সবাই মিলে গিয়েছিলাম বেরাতে। আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম সকাল আটটার সময়।আসলে আমরা একাক জন একাক জায়গা থেকে আসছিলাম। তাই সবাই ফরিদ পুর বাস স্ট্যান্ড পৌঁছালাম সবাই পৌনে নয়টার সময় । আমরা সবাই মিলে সকালের নাস্তা খাবার জন্য হোটেলে গিয়েছিলাম। আসলে হোটেল টা নতুন হয়েছে, আমি সেদিনে প্রথম গিয়েছিলাম।
আমরা প্রথমে হোটেলের ভিতরে গিয়ে বসলাম। আমরা যখন হোটেলে ভিতরে গিয়ে বসলাম তখন বেলা ৯টা বেজে গেছে। এর আগে সকালের নাস্তা খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে গেছে হোটেলে। তাই তেমন ভীর ছিল না, আমি হোটেল বয়কে জিঙ্গাসা করলাম ভাই লোক জন এতো কম কেনো। তখন উনি আমাকে উত্তর দিল সকালের খাবার শেষ এখন পরিষ্কার করবো। আপনারা এসেছেন এ সময় লোক জন অনেক কমই থাকে। আবার হোটেল বয় সুন্দর করে মুচছে ।
পুরো হোটেলে আমরা ছাড়া আর কেউ ছিল না তাই প্রথমে আমার বোন খাবার জন্য টেবিলে বসে পড়ল কারণ তার ছোট বাচ্চা ক্ষুদায় কান্না করছে। সে আবার ভাত খাবে ভর্তা আর ডাল দিয়ে। আমার মেয়েও তার সাথে গিয়েছিল ক্ষেতে কিন্তু যখন দেখল ভাত আর ডাল দিয়েছে তখন সে খাবে না। কারণ পরোটা ভাজতে একটু সময় লাগবে তাই আমরা ওয়েট করছিলাম।
কিছু ক্ষণ পড়ে আমাদের পরোটা এলো।আসলে আমরা প্রায় দশজন লোক ছিলাম। সবাই মিলে দুটি করে পরোটা ও ডাল খেলাম। আসলে আমি আর আমার দুলাভাই মিলে গিয়েছিলাম মাইক্রোও ঠিক করতে। এসে দেখি সবারই খাওয়া প্রায় শেষ। তাই আর পরোটা ডালের ছবি তুলতে পারিনি। আমি ও আমার দুলাভাই ঝটপট দুটো পরোটা খেয়ে মাইক্রোতে উঠে বসলাম। যাইহোক সেদিনের সকালের খাবারটা অনেক ভালোই লেগেছে। অনেক দিন পর হোটেলে এভাবে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আমাদের সকালের খাওয়া দাওয়া আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট করতে ভুলবেন।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঘোরাফেরা করতে আমার খুবই ভালো লাগে ।আর পরিচিত সবাই এবং পরিবারের সবাই একসাথে কোথাও যেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে ।অনেকদিন পরেই সবার সাথে দেখা কথা এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করা এক কথায় স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকে। সকালের নাস্তা হোটেলে ভালো হবেই উপভোগ করেছেন আপনার লেখনী এবং ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝলাম।।
জি ভাইয়া সবাই এক সাথে ঘোরাফিরা করতে অনেক ভালো লাগে। আর সকালের নাস্তা হোটেলে ভালো ভাবেই উপভোগ করেছি।
সবাই একসাথে দেখছি বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। সকালের নাস্তা খাওয়ার জন্য একটি হোটেলে গিয়েছেন। তখন তো কেও ছিল না কারণ সবাই নাস্তা করে অনেক আগেই চলে গিয়েছে। তাই ভিড় একেবারেই ছিল না।আপনি এবং আপনার দুলাভাই গাড়ি ঠিক করতে গিয়েছিলেন ততক্ষণএ সবাই খাওয়া-দাওয়া করে উঠে পরলো এরপর আপনারা দুজন তাড়াতাড়ি করে খেলেন। খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেননি যার জন্য খুবই খারাপ লাগলো। যাই হোক তাড়াতাড়ি করছিলেন তাই ফটোগ্রাফি করতে পারেননি। ভালোই ছিল।
সত্যি ভাইয়া ছবি গুলো তুলতে পারিনি দেখে আমারো অনেক খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাদের ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করার বিষয়টি দেখে কিন্তু বেশি ভালো লেগেছে। যেহেতু আপনারা সবাই ছিলেন তাই একটু বেশি মজা করেছিলেন। যেহেতু আপনারা অনেক দেরিতে রেস্টুরেন্টে নাস্তা করার জন্য গিয়েছিলেন সেখানে কেউই না থাকার কথা কারণ সবাই নাস্তা খেয়ে চলে গিয়েছিল। আপনাদের জন্য আবার তৈরি করা হয়েছিল নাস্তা। যাই হোক ভালোই লেগেছে আপনার এই পোস্ট।
আপু আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সবাই মিলে একসাথে কোথাও যাওয়া একসাথে খাওয়া দাওয়া করা হচ্ছে খুবই আনন্দের বিষয়। আপনারা সবাই একসাথে বাসস্ট্যান্ডে মিলিত হয়েছেন এরপর একটি হোটেলে গিয়ে সবাই একসাথে নাস্তা করেছেন। আর হোটেলে দেখছি আপনারা ছাড়া অন্য কেউ নেই আর আপনাদের কেউ আবার নতুন করে পরোটা ভেজে দিয়েছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।
জি আপু আবার নতুন করে পরোটা ভেজে দিয়েছে আমাদেরকে।ধন্যবাদ আপু
ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার দিন সকালে আপ্নারা হোটেলে নাস্তা করলেন।হোটেলটা বেশ পরিচ্ছন্ন ই মনে হলো।সবাই খুব মজা করে খেয়েছে। কিন্তু ফটোগ্রাফি দিলে ভাল লাগতো।আপনারা দুজন আবার গাড়ি ঠিক করতে গেলেন এজন্য তাড়াহুড়ো তে হয়ত তোলা হয়নি। সুন্দর মূহুর্ত গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ফটোগ্রাফি করতে পারিনি দেখেআমার ও খারাপ লেগেছে। হোটেলটা আসলে অনেক পরিস্কার।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপু বেড়াতে গেলে মনটাও ফ্রেশ হয় আবার আত্বীয়তার বন্ধনটাও অটুট থাকে। বেড়াতে যাওয়ার পথে যে হোটেল থেকে নাস্তা করলেন হোটেলটা তো অনেক পরিষ্কার দেখা যায়। আমিও মাঝে মাঝে হোটেলে পরোটা আর ডাল ভাজি খেয়ে থাকি। ভালেই লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।