চিকেন চাপ ও নান রুটি খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
চিকেন চাপ ও নান রুটি খাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে অনেকদিন হলো বাচ্চারা চিকেন চাপ বা নান রুটি খায় না। তবে গতকাল বাচ্চাদের নিয়ে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। যদিও আমি দুপুরবেলা গিয়েছিলাম। আসলে দুপুর বেলা বাচ্চাদের বললাম তোমরা খেয়ে যাও কিন্তু তারা রেস্টুরেন্টে খাবে, তাই বাসা থেকে খেল না। তারপর দুপুরে রেস্টুরেন্টে শুধু বিরিয়ানি চলছে কিন্তু তারা খাবে না। আসলে দুপুরবেলা চিকেন চাপ বা নান রুটি নেই। যাইহোক আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম চিকেন চাপ আর নান রুটি দিন। তারপর আমরা দশ মিনিট বসে আছি কোন খাবার নেই তবে পাশ দিয়ে খাবার দিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আমি উঠে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আমাদের খাবার কই। তখন ওয়েটার বলল খাবার পেতে অনেক দেরি হবে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা। কি আর করব যেহেতু বসে আছি বাচ্চাদের অনেক ক্ষুধা লেগেছে তাই বললাম বিরিয়ানি খাও ।কিন্তু তারা কিছুতেই বিরিয়ানি খাবে না এক ঘন্টা অপেক্ষা করবে তারপর আবার চিকেন চাপ বা নান রুটি খাবে। আসলে পাশাপাশি দুইটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছে দুটি একই অবস্থা চিকেন চাপ পেতে প্রায় চারটে বেজে যাবে। কি আর করা যেহেতু বাচ্চারা চিকেন চাপ ছাড়া খাবে না তাই কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে অন্য কিছু খাওয়ালাম আবার আসলাম চারটার পর। তারপর এসে আবার অর্ডার করলাম। তাহলে চলুন দেখে আসি আমার আজকে পোস্ট।
প্রথমে আমরা সুলতানী বোস রেস্টুরেন্টে গেলাম। আসলে এই রেস্টুরেন্ট অনেক পুরানো। তবে বর্তমান এর জনপ্রিয়তা অনেক। আর এখানে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আমি বেশির ভাগ সময় এই রেস্টুরেন্ট থেকেই বাচ্চাদের খাবার খাওয়ায়।আর এখানে অনেকে অনেক পরিচিত।
তারপর আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে বসলাম। আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন লোকজন ছিল না খুব হালকা।সবাই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করেছে আমরা গিয়েছি চারটের সময। যাইহোক আমরা গিয়ে তাড়াতাড়ি টেবিলে বসলাম।
আমরা গিয়ে ফাঁকা একটা টেবিলে বসলাম। বসার পাঁচ মিনিট পরে ওয়েটার এসে বললো আপু আপনারা এক টেবিলে বসুন। আসলে অন্য টেবিলে আর দুজন মহিলা ছিল। পরে আমাদের পাঁচজনকে এক টেবিলে বসিয়ে দিল। এদিকে আমার মেয়ে বলছে আম্মু খাবার দেওয়া না কেন। আসলে বাচ্চা মানুষ তাই অনেক তারাতাড়ি করছে।
যাইহোক প্রায় (১০-১৫) মিনিট এর মধ্যে আমাদের খাবার এলো।খাবার দেখে বাচ্চারা অনেক খুশি। তবে খাবার দেখে তারা যত খুশি কিন্তু খেতে মোটেও পারে না। তারপর আবার ক্ষুধা বেশি লাগলে, তেমন খাওয়ার চাহিদা থাকে না। যেহেতু আমি দুটি চিকেন চাপ ও নান রুটি চারটি অর্ডার করেছিলাম। তবে তারা দুবোন মিলে একটা ও শেষ করতে পারেনি।তারপর কি আর করা, প্যাকেট করে নিয়ে এসেছি।পরে বাসায় এসে মজা করে খেয়েছে। সত্যি এই রেস্টুরেন্টে খাবার গুলো অনেক ভালো। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
চিকেন চাপ ও নান রুটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনি বাচ্চাদের আবদার রেখেছেন। তবে অনেক সময় এরকম রেস্টুরেন্ট গেলে অনেক বিরক্ত লাগে। খাবারগুলো নির্দিষ্ট টাইমে পাওয়া যায় না অনেকক্ষণ বসতে হয়। তবে আপনাদের ধৈর্য আছে এই কারণে চারটার পরে গিয়ে খাবারগুলো খেয়েছেন। খুব সুন্দর একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া আমাদের একটু কাজও ছিল আর বাচ্চারা খাবে তাই আবারও গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া
আপু আপনি সুলতানি বোস রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে চিকেন চাপ আর নান রুটি খাইয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমিও এই ফাস্টফুড আইটেমটি অনেক পছন্দ করি মাঝেমধ্যেই আমি আর আমার বন্ধুরা আমার মোহাম্মদপুরের বিসমিল্লাহ হোটেলে এই খাবারটি খেতে যাই। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগল যে বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন চিকেন চাপ ও নান রুটি খাওয়ার জন্য। আসলে একবার যেটা খাওয়ার প্রতি মন চলে যায় সেটা বাদে অন্য কিছু তখন আর খেতে ইচ্ছে করে না আপনাদের বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও দেখছি তেমন টাই ঘটেছে। যদিও একটু দেরী হয়েছিল তারপরও তারা পছন্দের জিনিস খেয়েছে যেন ভালো লাগলো সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া পছন্দের জিনিস খেতে একটু সময় লাগলেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার বাচ্চাদের চিকেন চাপ আর নান রুটি ভীষণ প্রিয়। মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ওদের নিয়ে খাওয়াতে। যাইহোক বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে খাওয়াতে পারলে সত্যিই ভালো লাগে। আপনার মেয়েদের দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। ওদের জন্য দোয়া রইল। ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই মাঝে মাঝে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারলে অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ।
চিকেন চাপ আমার নিজেরও অনেক বেশি পছন্দের। আর আপনার মেয়েরা চিকেন চাপ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে, তা আপনার আজকের এই পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। আপনাদেরকে তো দেখছি অনেক ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। একটু ঘুরাঘুরি করে এসে ভালোই করেছিলেন। পরবর্তীতে তাহলে খুব মজা করেই খেয়েছিলেন। আবার প্যাকেট করে নিয়েছিলেন এটা জেনে আরো বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
জি আপু প্যাকেট করে নিয়ে এসেছিলাম, ধন্যবাদ আপু।
চিকেন চাপ ও নান রুটি দারুণ সবার লোভনীয় একটি খাবার।মেয়েরা খেতে চেয়েছে ও অল্প পরিমাণ খেলেও মজা করে খেয়েছে জেনে ভালো লাগলো।বাচ্চাদের এরকমি খাওয়া। খাক বা না খাক নেবে।খেতে না পারা গুলো প্যাকেট করে নিয়ে এসেছেন এবং পরে মজা করে খেয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ মেয়েদের কে নিয়ে চিকেন চাপ ও নান রুটি খাওয়া সব অনুভূতু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো দেখতেছি আপনার বাচ্চাদেরকে নিয়ে চিকেন চাপ ও নান রুটি খেতে রেস্টুরেন্ট গেলেন। আসলে তাদের পছন্দ খাওয়ার গুলো তাদেরকে খাওয়ালেন শুনে খুব ভালো লাগলো। যদিও এ ধরনের রেস্টুরেন্ট গুলোতে অনেক সময় বিরক্ত লাগে খাওয়ার গুলো ঠিক সময় দেওয়া হয় না। এবং এই খাবারগুলো আপনার মেয়েদেরকে খাওয়ানোর জন্য আপনিও অনেকক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করতে হলো। তবে এটি ঠিক অনেক সময় এই খাবারগুলো সবাই সম্পন্ন খেতে পারে না। আপনি বাসায় নিয়ে এসেছেন খুব ভালোই করেছেন পরবর্তীতে খুব মজা করে খেলেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু সময় মত খাবার না পেলে খুবই বিরক্ত লাগে, ধন্যবাদ আপু।
ছোট বাচ্চারা এমনিতেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনার মেয়েরাও অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই তো যাওয়ার আগে বাড়ি থেকে কিছু খাওয়া দাওয়া করে যায়নি। কিন্তু দুপুরবেলায় গিয়ে দেখছি আপনারা বিকেলবেলায় খাবার পেয়েছিলেন। আসলে দুপুরবেলায় চিকেন চাপ পাওয়া যায় না। বিকেল বেলা থেকে চিকেন চাপ পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছিলেন, তারপরে আবার এসেছিলেন রেস্টুরেন্টে, চিকেন চাপ খাওয়ার জন্য এটা দেখে ভালো লাগলো। খাবার পেয়ে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়েছিল বুঝতেই পারতেছি।
আসলে ভাইয়া বাচ্চাদের বায়না প্রথমে বলেছিল বিরিয়ানি খাবে। পরে চিকেন চাপের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাচ্চারা এ ধরনের খাবার খুব পছন্দ করে।তাদেরকে যতোই খাবার দেয়া হোক না কেন তারা যা খাওয়ার ইচ্ছা করবে তা খেতেই হয় আসলে।যাই হোক চিকেন চাপ আর নান হতে সময় লেগেছিল অনেক।তারপরেও যে খেতে পেরেছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু দেরি হলেও খেতে পেরেছি এটাই অনেক, ধন্যবাদ আপু।
আসলে বাচ্চারা যেটার জন্য জেদ করে সেটাই করতে হয়। কারণ তাদেরকে বুঝানো যায় না। মূলত চাপ এবং নান রুটি হচ্ছে বিকেলের নাস্তা। তাই বিকেল চারটার আগে এসব খাবার পাওয়া যায় না। অবশেষে আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে বাচ্চাদেরকে চাপ এবং নান রুটি খাইয়েছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। বাচ্চারা তেমন খেতে পারে না ঠিকই, কিন্তু কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বারবার বলতে থাকে। যাইহোক বাকি খাবার গুলো অবশেষে বাসায় পার্সেল নিয়ে যেতে হলো। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।