তালের শাঁস খাওয়ার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট ।
তালের শাঁস খাওয়ার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে তালের সাসকে না পছন্দ করে। আমার মনে হয় এই তালের শাঁস খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। কয়েক দিন আগে আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম আমার বোনের বাসায়,সেখানে রাস্তার ওপরে একলোক রিক্সায় করে প্রায় প্রতি দিন তালের শাঁস বিক্রি করে। তাই আমার ভাগ্নে বলল আন্টি চলো আমরা তালের শাঁস খেয়ে আসি। তারপর আমি বললাম চলো তাহলে যাই। আমরা গিয়ে দেখি আমাদের মতো আরো অনেক লোক এসেছে। তবে তাল শাসওয়ালা আসেনি। কি আর করা আমরা সবাই একটু ঘুরতে লাগলাম। এই ঘোরাঘুরি নিয়ে হয়তো অন্য একটা পোস্ট লিখবো। যাইহোক কিছু সময়ের মধ্যে তালের শাঁস নিয়ে লোকটা চলে এলো। আশার সাথে সাথে লোকের অভাব নেই। যাই হোক তাহলে চলুন দেখে নেই আমার আজকের পোস্ট।
লোকটা তালের শাঁস নিয়ে আসার সাথে সাথে লোকজন গিয়ে দাঁড়ালো। কিন্তু আমার মেয়ে তো নতুন তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে উনাকে কিছুই বলছে না। পাশের কেউ কেউ আবার জিজ্ঞেস করতে লাগলো তোমরা কোন বাসায় এসেছো। তারপর তালওয়ালা তাল কাটতে লাগলো, আসলে প্রথমে অন্যদের দিতে লাগল। তাই দেখে আমার মেয়ে রেগে গেল, আমি আবার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলেছিলাম।তারপর এগিয়ে গেলাম বললাম ভাইয়া আগে আমার মেয়েকে একটা দিন পরে আমরা আরো কয়েকটি নেব।লোকটা বলল ঠিক আছে আপু আগে আপনার বাচ্চাকে দেবো।
তারপর লোকটি আমার মেয়ের জন্য একটা কাটলো কিন্তু ইতিমধ্যে আর একটা বাবু এসে অনেক কান্না করল। তাই বাধ্য হয়ে লোকটি কেটে রাখা তালটা বাবুকে নিয়ে দিল।তখন আমার মেয়ে রেগে গেল, সে আর তাল নেবে না। তখন আমি বুঝিয়ে বললাম এখন তোমাকে দেবে।তারপর মুখ গোমরা করে দাঁড়িয়ে রইল।আর আমি ও এই তালের শাঁস অনেক পছন্দ করি, ছোটবেলা কতো খেয়েছি। তবে এখন তো খাওয়ায় হয়নি। প্রায় দুই বছর পরে খেলাম। আসলে এখন গাছ থাকলেও কেউ তাল কাটে না।
অবশেষে আমার মেয়েকে দিল। তালের শাঁস পেয়ে আমার মেয়ে অনেক খুশি। আমার মেয়ে ও আমার ভাগ্নে মিলে মজা করে খেল। আর আমি তিনটি তাল কেটে বাসায় নিয়েএসেছি। আসলে অনেক দিন পর খেলাম অনেক ভালো লেগেছে। আর এভাবে যে হঠাৎ করে খেতে পারবো জানাছিল না। এভাবে তালের শাঁস খেয়ে অনেক ভালো লাগল।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
তালের শাঁস খেতে অনেক মজার শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি তো বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেশ মজার করে তালের শাঁস খেলেন দেখে তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। তবে একদিন আনতে বলবো বাসায় তালের শাঁস খেয়ে দেখব খেতে কেমন লাগে। অনেক ভালো লেগেছে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি।
জি আপু খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগে,ধন্যবাদ আপু।
আসলেই তালের শাঁস খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। আমার কাছেও তালের শাঁস খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। হঠাৎ করে আপনারা তাল খেয়েছেন, যার কারণে আপনার কাছে বেশ ভালোই লেগেছিল। আর আপনাদের তালের শাঁস খাওয়ার মুহূর্তের পোস্টটা খুবই ভালোই উপভোগ করলাম পড়ার সময়। আপনার মেয়ে যেহেতু নতুন ছিল, তাই সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল একপাশে। আর যখন তাকে তালের শাঁস দেয় নি, তখন সে অনেক বেশি রেগে গিয়েছিল তা দেখেই বুঝতে পারছি। যাই হোক খুব মজা করে খেয়েছিলেন আপনারা তালের শাঁস মনে হচ্ছে।
জি আপু নতুন ছিল তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল, সত্যি আপু অনেক মজা করে খেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
তালের শাশ খাওয়ার দারুন একটি মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাদের ওখানে তালের শাশ এভাবে বিক্রয় করে সেটা আমার জানা ছিল না। আমাদের এদিকে গাছ থেকে কেটে নিয়ে বাজারে বসে বিক্রয় করে। যাইহোক খুবই আনন্দঘন একটা মুহূর্ত আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পারলাম তাই অনেক ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল,ধন্যবাদ আপনাকে।