সুস্বাদু কলার বড়া বানানোর রেসিপি ||১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox ও|| ৫% বেনিফিসিয়ারি abb-school
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই? নিশ্চয়ই ভালোই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
🥣সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট 🥣
আজ ও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে একটি রেসিপি নিয়ে ।রেসিপিটি হলো সুস্বাদু কলার বড়া বানানোর রেসিপি।আসলে কলা দিয়ে বড়া বানালে অনেক নরম হয়। আমাদের গাছে অনেক কলা পেকেছিল।কলা খেয়েছি ও সবাইকে দিয়েছিলাম। তারপরেও কিছু কলা রয়ে গেছে।বেশি পাকা কলা আর কেউ খেতে চাই না। তাই ভাবলাম এখন কলা দিয়ে কিছু বড়া বানিয়ে নিই। কলার বড়া আমাদের সবারই অনেক পছন্দ। বাচ্চারা ও অনেক মজা পেয়েছে খেয়ে।আসলে বিকালে তাদের অনেক ক্ষুদা লেগেছিল। তারপর যখন নরম মিষ্টি বড়া পেয়েছিল মজা তো লাগবেই।যাইহোক বন্ধুরা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল।তো চলুন বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক আমি কিভাবে কলার বড়া তৈরি করেছি।
🥣রেসিপি তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ🥣
| উপকরণ | পরিমান |
|---|---|
| চালের গুড়াঁ | ১ কাপ |
| আটা | ১/২ কাপ |
| চিনি | ১ কাপ |
| কলা | ৩ টি |
| লবন | স্বাদমতো |
| তেল | পরিমান মতো |
প্রস্তত প্রণালি
🥣ধাপ-১ 🥣
প্রথমে আমি চালের গুঁড়া, ময়দা ও কলা নিয়েছি।
🥣ধাপ-২ 🥣
এখন চিনির ভিতরে কলাগুলো খোসা ছাড়িয়ে দিয়েছি।
🥣ধাপ-৩ 🥣
কলা ও চিনি ভালো করে মিশিয়ে চালের গুঁড়া গুলো দিয়ে দেবো।
🥣ধাপ-৪ 🥣
এখন চালের গুড়া দিয়ে মাখানো হয়ে গেলে আর কিছু ময়দা দিয়ে এভাবে মাখিয়ে নেব।
🥣ধাপ-৫🥣
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে কিছু তেল দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৬🥣
এখন তেল গরম হয়ে আসলে মাখিয়ে রাখা ডোটা একটু একটু করে দিয়ে দুপাশ এভাবে ভেজে নেব।
🥣ধাপ-৭🥣
এখন তেল ঝড়িয়ে একটি ছাকনি দিয়ে এভাবে বাটিতে তুলে নেব।
🥣শেষ ধাপ🥣
ব্যাস এভাবেই হয়ে গেল আমার দারুন মজার কলার বড়া।বড়াটা অনেক মজা হয়েছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানে শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
🥣আমার পরিচয়ঃ 🥣
আমি পারুল। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। আমি ফরিদপুরে বসবাস করি। আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলায় লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লেগে এই লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য।
🥣ধাপ-১ 🥣
প্রথমে আমি চালের গুঁড়া, ময়দা ও কলা নিয়েছি।
🥣ধাপ-২ 🥣
| |
|---|
এখন চিনির ভিতরে কলাগুলো খোসা ছাড়িয়ে দিয়েছি।
🥣ধাপ-৩ 🥣
| |
|---|
কলা ও চিনি ভালো করে মিশিয়ে চালের গুঁড়া গুলো দিয়ে দেবো।
🥣ধাপ-৪ 🥣
| |
|---|
এখন চালের গুড়া দিয়ে মাখানো হয়ে গেলে আর কিছু ময়দা দিয়ে এভাবে মাখিয়ে নেব।
🥣ধাপ-৫🥣
| |
|---|
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে কিছু তেল দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৬🥣
| |
|---|
এখন তেল গরম হয়ে আসলে মাখিয়ে রাখা ডোটা একটু একটু করে দিয়ে দুপাশ এভাবে ভেজে নেব।
🥣ধাপ-৭🥣
| |
|---|
এখন তেল ঝড়িয়ে একটি ছাকনি দিয়ে এভাবে বাটিতে তুলে নেব।
🥣শেষ ধাপ🥣
ব্যাস এভাবেই হয়ে গেল আমার দারুন মজার কলার বড়া।বড়াটা অনেক মজা হয়েছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানে শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
🥣আমার পরিচয়ঃ 🥣
আমি পারুল। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। আমি ফরিদপুরে বসবাস করি। আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলায় লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লেগে এই লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য।
আপু আসলে গ্রামের মানুষ কলার বডা প্রায় খেয়ে থাকে বেশ মজাদার লাগে ৷আপনার রেসিপি টা মনে হয় ৷খুব সুস্বাদু হয়েছে ৷
অনেক ইউনিক একটা রেসিপি দেখলাম। আপনি কলার বড়া বানানোর রেসিপি করেছেন আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আমরা সবাই তৈরি করতে পারব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আসলে সবাই তৈরি করতে পারবে,ধাপগুলো সম্পন্ন দেওয়া আছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
কলার বড়া পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে পাকা কলা দিয়ে বরা পিঠা তৈরি করি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কলার বড়া বানানোর রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। কলার বড়া আমার খুবই প্রিয়। এভাবে যদি কলার বড়া তৈরি করা হয় তাহলে খেতে খুবই ভালো লাগে। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি তো দেখছি কলা দিয়ে খুব সুন্দর কলার বড়া তৈরি করে ফেলেছেন। দেখে তো খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে আপনার এই রেসিপিটি। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার কলার বড়া রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে যে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। কলার বড়ার কালার গুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। কলার তৈরি করা বড়া কখনোই খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে শিখে নিলাম। বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু শেয়ার করার জন্য।
কলার বড়া বানানোর রেসিপিটি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হবে। অনেক সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
ইশ আপু গাছের কলা।যাই হোক এভাবে কলার পিঠা বানালে খেতে বেশ দারুন লাগে।অনেকটা তালের মত।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই বলেছেন আপু অনেকটা তালের বড়ার মতো, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তেব্যের জন্য।
খুব ইউনিক ছিল রেসিপিটি কারণ আমি তালের বড়া খেয়েছি কিন্তু কখনও কলার বড়া খাওয়া হয়নি, এটি আমার কাছে খুব ইউনিক ছিল তবে দেখে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে, এত চমৎকার ইউনিক একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু তালের বড়া বানানোর থেকে কলার বড় বানালে সেটা খেতে অনেক নরম হয়।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে কলার বড়া তৈরি করার খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি শেয়ার করেছেন আপু। গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করার সুবাদে এই ধরনের রেসিপি এর সাথে খুবই সুন্দর ভাবে পরিচিতি রয়েছে আমার।