অনেক দিন পর বাসে ভ্রমণ ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্টঃ
অনেক দিন পর বাসে ভ্রমণ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো অনেক দিন পরে বাসে ভ্রমণ। আসলে প্রায় দুবছর ধরে বাসে চড়ি না। আমার বাবার বাড়ি থেকে শশুড় বাড়ির পার্থক্য বেশি না। আমরা সব সময় অটোতে করে যাই বাবার বাড়িতে। বিশেষ করে ফরিদ পুরের ভিতরে সব আত্মীয়স্বজন,তাই আমরা অটোতে করে বেশি যাওয়া আসা করি।তবে কিছু দিন আগে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে ছিল পদ্মাসেতুর কাছে।তাই আমাদের সবারই দাওয়াত ছিল ভাইয়ের শশুড় বাড়িতে। তাই আমরা কয়েক ভাই বোন মা সবাই মিলে গিয়েছিলাম সাথে সবারই বাচ্চা ছিল। আমরা একটা মাইক্রো নিয়ে গিয়েছিলাম ।কিন্তু অনেক দূর তাই অনেকেই থেকে সকালে বউ নিয়ে আসবে, তাই আমরা মাইক্রোতে শুধু গিয়েছি।আসার সময় আমরা ছিলাম চারজন তাই বাসে এসেছি । প্রায় দুই বছর যাবৎ দূরে কোথাও যায়নি তাই বাসে চড়া হয়নি। অনেক দিন পরে এভাবে বাসে চড়ে অনেক ভালো লেগেছে। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমে আমরা বাসের জন্য কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছি। আসলে অনেক দিন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকিনি তো তাই একটু খারাপ লাগছিল।আগে যখন কলেজে পড়তাম তখন অনেক সময় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম ও বাসে সিট ছাড়ায় যেতাম। সত্যি বলতে আবার অনেক কিছু দেখে বেশ ভালো লাগছিল। পর পর দুটি বাস এলো কিন্তু বাসে সিট ছিল না বিধায় বাস ছেড়ে দিয়েছি।
এভাবে বেশকিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আর ভালো লাগছিল না। তারপর পাশেই রয়েছে বাচ্চাদের খেলার অনেক জিনিস পত্র আর হরেক রকমের আচারের দোকান। বাচ্চারা আচার খাওয়ার জন্য অস্হির হয়ে উঠলো। তারপর আমরা সবাই মিলে কিছু আচার খেলাম। আর বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা কিনা হলো। বাচ্চারা খেলনা পেয়ে অনেক খুশি। তারপর আমরা একটা ভ্যান গাড়ি করে যাত্রী ছাউনির কাছে চলে আসলাম।
যাত্রী ছাউনির ওখানে এসে আবার কিছু সময় দাঁড়িয়ে রইলাম। আসলে অনেক দিন পর এভাবে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে অনেক ভালো লেগেছিল। কিন্তু সময় একটু বেশি লেগে গেল তাই আর ভালো লাগেনি। আর বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভালো লাগছে না। কারণ বাচ্চারা অনেক বিরক্ত করছে যা দেখে শুধু তাই কিনে দিতে হবে।
যাইহোক প্রায় আধাঘন্টা পরে আমরা ভাঙ্গা থেকে বাসে পেয়েছি ফরিদপুরের। আসলে বাস আরো আগে পেয়েছিলাম অনেক গুলো কিন্তু সেই বাস গুলোতে সিট ছিল না বিধায় আর আসতে পারিনি।তারপর আমরা ভাঙ্গা থেকে ফরিদ পুরের বাসে উঠলাম। বাস গুলো বেশ ভালোই ছিল আমরা ছিলাম পাঁচ জন তাই আমরা চার সিট নিয়েছিলাম। কারণ আমার ছোটমেয়ের সিট নেইনি, দুজনের মাঝে ওকে বসিয়ে এনেছি। যাইহোক অনেক দিন পর এভাবে বাসে বেরাতে ভালোই লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন সময় অন্য পোস্ট নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ।
অনেক দিন পর বাসে ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার ভাইয়ের বিয়েতে মনে হচ্ছে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বাসে ভ্রমণ করতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার চমৎকার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জি ভাইয়া অনেক দিন পর, আসলে ভালোই লেগেছে কিন্তু বেশি দেরি তার জন্য বাচ্চারা বিরক্ত করছিল আরকি।ধন্যবাদ
আপনি দুই বছর পর বাসে চড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে পদ্মাসেতুর পাশে আচারের দোকান দেখে জিভে জল চলে আসলো।অনেক রকমের আচার দেখেই খেতে মন চাইছে।আশা করি দারুণ দাওয়াত কাটিয়েছেন ভাইয়ের শশুড় বাড়িতে।ধন্যবাদ আপু।
জি আপু অনেক ভালোই ইনজয় করেছি। সত্যি আপু আচার গুলো কিন্তু অনেক মজার।ধন্যবাদ আপু
ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি গেলেন খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশাকরি। অনেক দিন পর বাসে করে বাসায় ফিরলেন পোস্ট পড়ে জানলাম। আসলে বাচ্চারা বেশি সময় থাকলে বিরক্ত হয় ই।আর পথে খেলনা,খাবার যাই দেখুক না কেন খেতে চায়ই।আপনি খেলনা, আচার দিলেন বেশ ভালোই করেছেন। বেশি সময় ওয়েট করলে আসলে খারাপই লাগে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বাসে ভ্রমণ ভালো লাগে কিন্তু বেশি সময় অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে।ধন্যবাদ
আপনি তো দেখছি প্রায় দুই বছর পর বাসে করে যাওয়া আসা করছেন।বাসে চড়তে ভালো লাগে কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হয় সেজন্য একটু বিরক্ত লাগে।তবে আচার খেয়েছেন এবং বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনেছেন বেশ ভালো লেগেছে।বাসে চড়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে আপু দুই বছর যাবত বাসে ভ্রমণ করি না, অনেক দিন পরে ভ্রমণ ভালো লাগছে, কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকার জন্য একটু বিরক্ত লেগেছিল।ধন্যবাদ না
জি আপু অনেক দিন পর ভ্রমণ বেশ ভালো লেগেছে কিন্তু দাড়িয়ে থাকতে সমস্যা আরকি।ধন্যবাদ আপু।
আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন বছরের প্রথম দিকে পিকনিকে যেতাম তবে আমরা বাসে সরে যেতাম এবং এই বাসের ভ্রমণটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগত। বাসে সরে যদি জানালার পাশে সিটটা পড়ে তাহলে তো অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার ভাইয়ের বিয়েতে মনে হচ্ছে আপনি খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বাসে ভ্রমণের চমৎকার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া জানালার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে,ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি যাওয়াতে দুই বছর পর বাসে উঠার সুযোগ পেয়েছেন। আপনার লেখা পড়ে মনে হল খুব উপভোগ করেছেন বাস ভ্রমণ। শুরুতে বাস না পেয়ে বাচ্চাদের জন্য ভালই হয়েছে খেলনা কিনতে পেরেছে। ছোট বাচ্চার সিট না নিলেও হয়। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া অনেক ভালো লেগেছে কিন্তু বাচ্চারা একটু বিরক্ত করছিল আরকি। ধন্যবাদ ভাইয়া।