মজাদার আলু পরোটার রেসিপি।|১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
মজাদার আলু পরোটার রেসিপি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো মজাদার আলু পরোটার রেসিপি। আসলে আমি কখনো আলু পরোটা বানাইনি।তবে আমার মেয়ে যখন স্কুলে টিফিন খেয়ে যায় তখন বলল আম্মু আমি এসে পরোটা খাব। তুমি বানিয়ে দেবে, আমি দুপুর বেলা শুয়ে পড়েছি। হঠাৎ করে মনে পড়েছে মেয়ে পরোটা খাবে, কিন্তু বানানো আর ভালো লাগছে না। হঠাৎ মনে পড়লো বেলা ছাড়াই আলু পরোটা বানানো যায়। তাই আরকি এই পরোটা বানানো। তবে পরোটা গুলো অনেক মজার হয়েছে। আমি চালের গুঁড়া দিয়েছি কারণ মেয়ে আসা পর্যন্ত মচমচা থাকবে,আসলে চালের গুঁড়া দিলে একটু বেশি মচমচা থাকে।তবে আপনারা চাইলে ধনের পাতা কুঁচি দিতে পারেন। তবে আমার মেয়েরা এগুলো দিলে খায় না,তাই আমি দেয়নি।যাইহোক খাবার গুলো অনেক মজার। তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| আলু | ৩ টি |
| পিঁয়াজ কুঁচি | ২টি |
| কাঁচামরিচ কুঁচি | ২ টি |
| হলুদ গুঁড়ো | ১ চামচ |
| লবন | স্বাদমতো |
| তেল | সামান্য |
| ময়দা | দেড় কাপ |
| চালের গুঁড়ো | ১ কাপ |
ধাপ-১
প্রথমে আলু তিনটি পানির ভিতর দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি। সিদ্ধ হয়ে গেলে খোসা ছাড়িয়ে ম্যাশ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এখন ম্যাশ করা আলু গুলোর ভিতর মরিচ, পিঁয়াজ, হলুদ ও লবন দিয়ে দেব। (মানে তেল বাদে আলু ভর্তা)
ধাপ-৩
এখন ময়দা নিয়ে তার ভিতর চালের গুঁড়ো দিয়েছি। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে এভাবে একটা ব্যাটার তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
 |  |
|---|
এখন আগে থেকে যে আলু ভর্তা করে রেখেছি সেগুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
 |  |
|---|
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর কড়ায়ের ভিতর হালকা তেল ব্রাশ করে দেব।তারপর চামচে করে এভাবে ব্যাটার কড়াইতে দিয়ে দেব।
ধাপ-৬
 |  |
|---|
এখন দুপাশ ভালো করে ভেজে নামিয়ে নেব। এভাবে আমি সব গুলো আলু পরোটা তৈরি করে নেব।ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার মজাদার আলু পরোটা রেসিপি ।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আলু পুরি খেয়েছি তবে আলু পরোটা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি খুব বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই বাসায় বলে আলু পরোটা বানিয়ে খেতে হবে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
প্রথমে বলে রাখি আপু,আলু এমন একটা তরকারি যা সবকিছুর মধ্যে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে আলু আমি সব রকম করে রান্না করে খেয়েছি কিন্তুু কখনো আলুর পরোটা তৈরী করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি তৈরি করা দেখেই মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে অবশ্য খেতে অনেক মজা। তবে চেষ্টা করব এভাবেই আলুর পরোটা করে খাওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুস্বাদু আলুর পরোটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এভাবে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু এভাবে একদিন তৈরি করে খাবেন অনেক মজা লাগবে,ধন্যবাদ আপু।
মজাদার আলু পরোটার রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
দারুন মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আলু পরোটা খেতে খুব মজা হয়।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপগুলি তুলে ধরেছেন। দারুন মজা হয়েছে আশাকরি।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য
এভাবে আলু পরোটা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু
ওয়াও আপনি অনেক সুন্দর করে আলু পরোটা বানিয়েছেন। তবে আমি আলু পুরি খেয়েছি কখনো পরোটা বানিয়ে খাইনি। আপনার মেয়ে পরোটা খাবে সেই হিসাবে আপনি আলু পরোটা বানিয়েছেন। আমিও বাসায় চেষ্টা করব এভাবে আলু পরোটা বানানোর জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আলু পরটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এভাবে একদিন পরোটা বানিয়ে খাবেন অনেক ভালো লগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু পরোটা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। বিকেলের নাস্তায় আলু পরোটা হলে তো আর কোন কথাই নেই। আপনি খুব সুন্দর করে আলু পরোটা বানিয়েছেন আপু। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এমন মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রশংসা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও আপনি খুবই একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আলু পরোটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু ছিল অনেক।আপনি রান্নার ধাপগুলো গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন,এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি প্রস্তুত করতে পারবেন সহজেই।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনেক সহজেই তৈরি করা যাবে, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।