মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ঘুরাঘুরি পর্ব-১ ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
ঘুরাঘুরি পোস্ট
আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ঘুরাঘুরি। আসলে আমাদের বাড়ির অতি নিকটে রয়েছে মসল গবেষণা উপকেন্দ্র। সকলে অনেক জায়গা থেকে ঘুরতে আসে। আমাদের বাড়ির লোকজন ও গিয়েছে, আমার বাচ্চারা ও মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ঘুরতে গিয়েছে কয়েকবার। কিন্তু আমার কখনো ভিতরে যাওয়া হয়নি। আজ আমার মেয়েরা বলল বাইরে যাবে। কিন্তু ছোট দিন দূরে গেলে , ৩ টার পরে বের হলে আসতে আসতে রাত হয়ে যাবে।তাই বলল আম্মু চলো আমরা মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রে যায়। আমি ও ভাবলাম আসলে ভিতরে কখনো যায়নি তাহলে যায়।যেই ভাবা সেই কাজ। আমরা তারাতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলাম । আমাদের যেতে ২০ মিনিটের মতো লেগেছিল।তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে আসি মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র কাটানো মূহুর্ত।
ফটোগ্রাফি -১
ফটোগ্রাফি -২
আমরা প্রথমে মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রের মেইন গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে ঢুকতেই একজন লোক বসে আছে কেয়ার টিকার হিসেবে। তার কাছে আমাদের ঠিকানা জমা দিয়ে তারপর ভিতরে ঢুকে গেলাম। তিনি বলেন আপনারা আধাঘন্টার ভিতরে ঘুরে চলে আসবেন। আসলে শুক্রবার ও শনিবার সারাদিন ঘুরলেও সমস্যা নেই। আজ অফিস টাইম তাই কাউকে ঢুকালে ৩০ মিনিটের বেশি থাকতে দিইনি।সব কিছু মেনে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। কিন্ত আমাদের ঘুরতে অনেক সময় লেগেছে।
ফটোগ্রাফি -৩
ফটোগ্রাফি -৪
ফটোগ্রাফি -৫
ভিতরে ঢুকতেই কতো সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ল। সুন্দর দুটি গেট রয়েছে। দেখলেই মন প্রাণ জুড়ে যায়।আসলে গেট দেখেই আমার মেয়ে দুটি গেটের ভিতর গিয়ে খেলছে।তারপর কতোগুলো গাড়ি রয়েছে। সেগুলো দেখতে বেশ চমৎকার ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তাই ছবি তুলে নিয়েছি।তারপর চোখে পড়ল কতে সুন্দর ফুল গাছ।গাছের ফুলের সমারোহ। কি সুন্দর ফুল দেখলে চোখ জুরিয়ে যায়।
ফটোগ্রাফি -৬
ফটোগ্রাফি -৭
ফটোগ্রাফি -৮
ফটোগ্রাফি -৯
আরো কিছু দূরে আগাতে চোখে পড়ল ফসলের সমাহোর। আসলে এখানে যারা থাকেন, তাদের মধ্যে অনেকেই এসকল ফসল ফলায়। ফসলের মাঠ গুলো দেখতে কতোই না সুন্দর লাগছে। ছবি থেকে বাস্তবে দেখলে মন প্রাণ ভরে যায়।এখান কারের লোকজন বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। যেমন, ধান, পিঁয়াজ রসুন, শাক সবজি ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে হয়তো আবার অন্য একদিন আলোচনা করবো।যাইহোক আজ বিকেলের সময়টা অনেক আনন্দের সাথে কেটেছে। মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র অনেক সুন্দর একটি জায়গা।আসলে ঘুরতে অনেক ভালোই লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে৷
মসলা উপকেন্দ্রে ভ্রমণ করে বাচ্চাদের সাথে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। সে সাথে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।। আমি বেশ কয়েকদিন আগে ফরিদপুর গিয়েছিলাম যদি জানতাম এত সুন্দর একটি জায়গা রয়েছে তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসতাম একবার হলেও।।
আবার আসলে অবশ্যই ঘুরে যাবেন, জায়গাটা নিরিবিলি অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি বাচ্চাদের নিয়ে মসলা উপকেন্দ্রে ঘুরতে গেলেন।আবার খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন,দেখে অনেক ভাল লাগলো। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে আমার ভাল লাগলো। শেয়ার করে আমাদের দেখানোর সুযোগ করে দিলেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
মসলা উপকেন্দ্র তো অনেক সুন্দর একটি সময অতিবাহিত করেছেন ৷ তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
ধন্যবাদ আপু সবসময় ভালো থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা ৷
মশলা উপকেন্দ্র বেশ সুন্দর। অনেক কিছু চাষ হচ্ছে। আপনি বাচ্চাদের সাথে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু আমাদের মশলা কেন্দ্র দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য
এই ধরনের জায়গা গুলোতে গেলে অনেক নতুন নতুন জিনিস যেমন দেখা যায়, ঠিক তেমন শেখাও যায় অনেক কিছু। মেয়েকে নিয়ে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি হয়েছে তাহলে। আপনার মাধ্যমে আমারও প্রথমবার দেখা হয়ে গেল মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র টি । ভালোই লাগলো চারপাশ দেখে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভাইয়া নতুন নতুন জিনিস দেখা যায় আবার অনেক কিছু শেখা যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।