বয়সে ভালোবাসা পালায় দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বয়সে ভালোবাসা পালায় দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
তন্নী তার বাচ্চা হবার পরপরই তার স্বামীর আগের মতো তেমন খোঁজ খবর নেইনি।আসলে তন্নী সব সময় তার বাচ্চা ও মামাতো ভাইয়ের সাথে সময় কাটায়।তন্নীর হাসবেন্ড যেহেতু বাসায় তেমন থাকে না তবে যতটুকু থাকে সে খেয়াল করে তন্নী কেমন যে হয়ে গেছে আগের মতো তাকে আর ভালোবাসে না। যাইহোক তন্নীর স্বামীর সাথে তন্নীর মামাতো ভাইয়ের দেখাই হয় না তেমন। তবে যাইহোক তন্নীর এখন তার স্বামীকে কেমন যেন সর্হ্য করতে পারছে না। তবে তন্নীর স্বামী কিন্তু তন্নীকে তার প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।
বাচ্চাটা আস্তে আস্তে বড় হতে চলল।তন্নীর বাচ্চার বয়স ছয়মাস চলে। একদিন হঠাৎ তন্নীর শশুড় অসুস্থ হয়ে পড়ল। আসলে তন্নীর স্বামী দেশে আসতে চেয়েছিল তন্নীকে নিয়ে। তবে তন্নী নানা অজুহাতে দেশে আসবে না।আসলে তন্নী তার মামাতো ভাইয়ের সাথে ইটালিতে থাকতে চাই। তন্নীর স্বামী সিদান্ত নিল তিনি একাই দেশে আসবেন। তবে তন্নীকে একা রেখে আসতে কেন যেন সাহস পাচ্ছে না। আসলে তন্নী পরকীয়ায় এমন ভাবে আসক্ত তা শুধু তন্নীকে দেখলেই বুঝা যায়। তন্নীর স্বামী সব কিছু ওকে করল দেশে আসার জন্য। ইতিমধ্যে তন্নীর স্বামী ১৫ দিনের জন্য দেশে চলে আসল।
আসলে দেশে আসার দুদিন পরেই তন্নীর শশুর মারা গেল। এদিকে তন্নী তার সমস্ত গহনা আরো নগদ টাকা পয়সা অনেক কিছুই তার মামাতো ভাইকে দিয়ে দিল।আসলে তন্নীর মামাতো ভাই বেশ ভালো একটা অবস্থানে আছে। আর তন্মীর টাকা পয়সা নিয়ে আস্তে আস্তে তন্নীর কাছ থেকে দূরে সরে আসতে চেয়েছে।আসলে তন্মী যেমন তার মামাতো ভাইকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে ঠিক তেমনি তন্নীর স্বামী ও তন্নীকে অনেক ভালোবাসে। আসলে কাউকে ঠকালে নিজেকে ঠকতে হয়। তন্নীর হ্যাসবেন্ড দেশে আসার পরে তন্নীর বাচ্চাটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল কিন্তু তন্নী তার মামাতো ভাইকে ফোন দিল সে ব্যস্ততা দেখিয়ে কাটিয়ে দিল।আসলে তন্নীর মামাতো ভাই তন্নীকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল।সে মনে মনে ভাবতে লাগলো আসলে ভাইয়ার মতো মানুষকে যেমেয়ে ছেড়ে যেতে পারবে আর আমাকে ছেড়ে যেতে কতক্ষণ। তারপর তন্নী একাই বাচ্চাটা নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নিল।আর ভাবতে লাগলো কেন সে আসল না।
এভাবে কয়েক দিন পরে তন্নীর স্বামী দেশ থেকে ফিরে আসল। তবে তন্নী তার মামাতো ভাইকে তাকে বিয়ে করতে বলেছিল কিন্তু সে বলেছে আরো পরে বিয়ে করবে।এদিকে তন্নীর স্বামী তাদের ভালোবাসার কথা জেনে গেল।আসলে তন্নীর স্বামী যখন তাদের ভালোবাসার কথা জানল তখন তন্নী আর তার মামাতো ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় শেষের দিকে। আসলে তন্নী কখনো ভাবতে পারেনি তার মামাতো ভাই তার সাথে এমন করবে।ইতিমধ্যে তন্নীর মামাতো ভাই দেশে আসল ছুটিতে। এসেই সে মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিল। একথা শোনে তন্নী যেন আকাশ থেকে পড়ল।আসলে তন্নীসব কিছু তাকে দিয়েছে তার স্বামীকে ঠকিয়েছে।সত্যি তন্নীর জন্য এমন শিক্ষা অবশ্যই দরকার ছিল । তন্নী সব চিন্তা করে সিদান্ত নিল সে আত্মা হত্যা করবে। তন্নী তার স্বামীকে সব বলে ক্ষমা চেয়ে নিল।তখন তন্নীর স্বামী তন্নীকে শান্তনা দিয়ে বলল তোমাকে আমি অনেক ভালো বাসি। একথা শোনে তন্নী তার ভুল বুঝতে পারল। আসলে তন্নী স্বামীর বয়স বেশির কারণে তার মামাতো ভাইয়ের সাথে যেতে চেয়েছিল। আসলে তার মামাতো ভাই যে তন্নীকে ভালোবাসে না তার অর্থ সম্পদ নেওয়ার জন্য এমন করেছে এটা তন্নী বুঝতে পারল।যাইহোক তার মামাতো ভাই বিয়ে করে আর বিদেশ যায়নি তবে তন্নী তার স্বামী সন্তান নিয়ে নতুন ভাবে বাঁচতে শুরু করলা। আসলে পরকীয়া অনেক খারাপ তাই আমাদের সবারই উচিত পরকীয়া ত্যাগ করা। আসলে প্রতিটি মেয়ের উচিত বিয়ের পরে স্বামী যেমনই হোক তাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা।তন্নীর থেকে অবশ্যই আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
তন্নীর মামাতো ভাই কিন্তু তন্নী কে বেশ ভালোই শিক্ষা দিয়েছে। তন্নী সবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, এটা দেখে ভালোই লেগেছে। তন্নীর স্বামী কিন্তু সত্যি তন্নীকে অনেক বেশি ভালোবাসে। তন্নী সব শেষে বুঝেছে, তার মামাতো ভাই তাকে নয় বরং তার টাকা পয়সা কে ভালোবাসতো। কাউকে ঠকিয়ে একটা মানুষ কখনোই ভালো থাকতে পারে না। সবশেষে তন্নী তার স্বামী এবং সন্তানকে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করেছে, এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জি আপু কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো ভালো থাকতে পারে না, ধন্যবাদ আপু।
তন্নীর জন্য এটা অবশ্য ভালো হয়েছে। কাউকে ঠকিয়ে জীবনে কখনো সুখী হওয়া যায় না। স্বামীকে ঠকিয়ে সুখী হতে চেয়েছিল কিন্তু তার মামাতো ভাই তাকেই ঠকিয়ে দিল। তন্নীর স্বামী নিতান্তই ভালো মানুষ জন্যই এগুলো জানার পরও তন্নীকে ক্ষমা করে দিয়েছে। যাক তন্নী স্বামী সংসার নিয়ে এখন সুখে আছে জেনে ভালো লাগলো।
আসলে ভালো মানুষ ছাড়া এই ধরনের ক্ষমা করা সম্ভব নয়, ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক তবুও যে তন্নী তার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে আর তার মামাতো ভাই কে চিনতে পেরেছে এটাই বা কম কিসে। পরকীয়া কিন্তু কখনও ভালো হয় না। যে মানুষ গুলো পরকীয়া করে তারা নিজেরাও বুঝে না যে এর ফল সব শেষে জিরো। নিজের সর্বনাশ ছাড়া কিছুই না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু পরকীয়া কখনো ভালো হয় না। ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
তন্নীর একেবারে উচিত শিক্ষা হয়েছে। তন্নীর থেকে তার হাজবেন্ডের বয়স বেশি হলেও, তার হাজবেন্ড তাকে নিজের থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসতো। আর শেষ পর্যন্ত তার মামাতো ভাই তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, তার সাথে মিথ্যা নাটক করেছিল। পরবর্তীতে তারা একসাথে হয়েছে অর্থাৎ তন্নী তার হাজবেন্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে জীবন শুরু করেছে, এটা দেখতেই ভালো লাগতেছে।
জি ভাইয়া তন্নিনীর জন্য এমন শিক্ষা উচিত ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন যদিও আমি প্রথম পর্ব গুলো পড়ি নাই। কিন্তু শেষের পর্বটা পড়ে বুঝতে পেরেছি আসলেই মানুষ পাপ করলে তার শাস্তি ভোগ করতে হয়। যদিও তন্নী তার হাজবেন্ডকে নিয়ে সুখী ছিল না। শেষমেষ কিন্তু তার মামাতো ভাই তাকে অনেক বেশি ধোকা দিল। অবশেষে তার ভুল বুঝতে পেরেছেন সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।
জি আপু নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক, ধন্যবাদ আপু।
তন্নীর মতো মেয়েরা এমন উচিত শিক্ষা না পেলে, তাদের লাফালাফি বন্ধ করে না। বর্তমানে পরকীয়া একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অনেক ওয়াইফ হাসবেন্ডকে ঠকাচ্ছে, আবার অনেক হাসবেন্ড ওয়াইফকে ঠকাচ্ছে। তবে কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো জিততে পারে না। আসলে খারাপ কাজের প্রকৃত ফলাফল কখনোই ভালো হয় না। মাঝখান দিয়ে তন্নীর মামাতো ভাই ছক্কা মেরে দিয়েছে। তবে ভবিষ্যতে তন্নীর মামাতো ভাই ও ঠকতে পারে এভাবে। কারণ কর্মফল আজ না হয় কাল ভোগ করতেই হয়। তবে তন্নীর হাসবেন্ড খুব ভালো। আশা করি তন্নীর বাকিটা জীবন সুখে কাটবে তার হাসবেন্ড এবং বাচ্চাকে নিয়ে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।