আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেস তৈরি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেস তৈরি । প্রায় অনেক দিন ধরে অনেক ব্যস্ত, ব্যস্ততার মাঝে ও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে থাকতে।সত্যি বলতে আপনাদের মাঝে না আসলে মনে হয় কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। তাই যখন একটু সময় পাই, তখন চেষ্টা করি রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু তৈরি করতে ।আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু তৈরি করতে ও রঙিন কাগজের জিনিস গুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।তাইতো সপ্তাহে একদিন হলেও চেষ্টা করি রঙিন কাগজের জিনিস নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হতে।আজ যখন ড্রেস তৈরি করি,তখন আমার মেয়ে বলে ড্রেস তার অনেক পছন্দ হয়েছে। সে পড়বে কিন্তু তারা পড়তে পারেনি, তারপর পুতুলের জন্য রেখে দিয়েছে। রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়।আর রঙিন কাগজ নিয়ে যা কিছু তৈরি করা হোক না কেনো, দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।যাইহোক তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করি আমার আজকের ব্লগ।
১. রঙিন কাগজ
২.পেন্সিল
৩. কাঁচি
৪. আঠা
ধাপ -১
প্রথম আমি একটি রঙিন কাগজ নিয়েছি। তারপর মাঝ খান থেকে এভাবে কেটে নিয়েছি ।
ধাপ -২
এখন কাগজটিকে এভাবে দু পাশ থেকে ভাজ করে নেব।আবারো চিএের মতো করে কয়েকবার ভাজ করে নেব।
ধাপ -৩
এখন কাগজটির ভাজ খুলে এভাবে ছোট ছোট করে চিএের মতো ভাজ করে নেব।
ধাপ -৪
এভাবে দুইটি কাগজ ভাজ করে নেব।তারপর দুটি কাগজ এক সাথে আঠা লাগিয়ে দেব।
ধাপ -৫
এখন হলুদ কাগজ নিয়ে এভাবে একটি লাভ বানিয়ে নেব। তারপর লাভটিকে আঠা লাগিয়ে ড্রেসের সাথে লাগিয়ে দেব।
ধাপ -৬
এখন এভাবে লম্বা করে কাগজ কেটে হাতা বানিয়ে নেব। তারপর হাতার সাথে আঠা লাগিয়ে দেব।
ধাপ -৭
আঠা লাগানো হয়ে গেলে ড্রেসের সাথে লাগিয়ে দেব। ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেস। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে ভুলবেন না।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম
@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে৷
যাক তাহলে আপনার মেয়ের পুতুলের জামা হয়ে গেল। আসলে কাগজের তৈরি জিনিসগুলো করতে একটু ধৈর্যের প্রয়োজন। তবে জিনিসগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে। যেমনটা আপনার এই জামাটি লাগছে। সত্যি দারুন একটি ডাইপ্রজেক্ট শেয়ার করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি রঙিন কাগজের জামা তৈরি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু কাগজের জিনিস গুলো তৈরি করতে একটু ধৈর্য ও সময়ের প্রয়োজন হয়। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি রঙিন কাগজ ব্যবহার করে অসাধারণ একটি ড্রেস তৈরি করেছেন যা দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ। রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন জিনিস তৈরি করলেই অসাধারণ লাগে। আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে যে ড্রেস তৈরি করেছেন তা তৈরি করতে আপনার অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়েছিল মনে হয়। ভাঁজে ভাঁজে তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার এই ড্রেস তৈরি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
জি আপু অনেক সময় লেগেছে, আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা জামাটি তাহলে মেয়ে পড়তে চেয়েছে। আর মেয়ে পড়তে হলে তো মেয়ের জন্য বিশালাকারের কাগজ দিয়ে জামা তৈরি করতে হবে। কিন্তু পড়ার সাথে সাথেই হয়তো ছিড়ে যাবে, হাহাহা। যাইহোক মেয়ের পছন্দ হয়েছে এটাই তো বড় কথা।আর সে পুতুলের জন্য রেখে দিয়েছে। অন্তত ব্যবহার করবে। আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি ক্রাফট নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু মেয়ে পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল, তবে আমি বুঝিয়েছি তারপর পুতুলের জন্য রেখে দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা জামাটি তাহলে মেয়ে পড়তে চেয়েছে। আর মেয়ে পড়তে হলে তো মেয়ের জন্য বিশালাকারের কাগজ দিয়ে জামা তৈরি করতে হবে। কিন্তু পড়ার সাথে সাথেই হয়তো ছিড়ে যাবে, হাহাহা। যাইহোক মেয়ের পছন্দ হয়েছে এটাই তো বড় কথা।আর সে পুতুলের জন্য রেখে দিয়েছে। অন্তত ব্যবহার করবে। আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি ক্রাফট নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি যেকোনো কিছু দেখলেই ভালো লাগে। এরকম কাজগুলো করতে অনেক সময় ধৈর্য এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এই ড্রেস আপনার মেয়ে পড়তে চেয়েছিল । ছোট ছোট বাচ্চারা এরকম দুষ্টুমি করেই থাকে শেষে পুতুলের জন্য রেখে দিয়েছে জামাটি। এমনিতে কিন্তু জামার কালার খুবই ভালো ছিল। মাঝখানে লাভ দেওয়ার কারনে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
সত্যি ভাইয়া অনেক দুষ্টমি করে বাচ্চারা, যাইহোক ভাইয়া আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি খুব চমৎকারভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেস তৈরি করেছেন। রঙিন কাগজের যেকোনো জিনিস বানালে আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে ড্রেসের মধ্যে লাভ পাতাটি দেওয়ার কারণে দেখতে অনেক সুন্দর লাগলো। খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
জি ভাইয়া লাভ দেওয়াতে অনেক ভালো লেগেছে আপনার কাছে জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমি জানি বেশ কিছুদিন যাবৎ সাংসারিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তবে আজ আপনি সুন্দর একটি ক্রেয়েটিভ পোস্ট করলেন আপু। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে ছোট বাচ্চাদের ড্রেস তৈরি। আইডিয়া টা ভাল ছিল। তবে আপু আপনার পোস্টের শেষের দিকে একটু সংশোধন প্রয়োজন।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি ড্রেস তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি ড্রেস ।এভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে এত অল্প সময় ড্রেস তৈরি করা যায় আমি জানতাম না। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে এভাবে ড্রেস তৈরি করে ছোট বাচ্চাদের উপহার দিলে তারা খুব খুশি হয়ে যাবে। দারুন হয়েছে ধন্যবাদ।
সময় কিন্তু ভালোই লেগেছে আপু, আর বাচ্চাদের উপহার দিলে সত্যি ওরা অনেক খুশি হবে।ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর ড্রেস তৈরি করেছেন। এড্রেস তৈরি করার উপস্থাপন দেখতে পেয়ে খুবই ভালোলাগলো। সুন্দরভাবে উপস্থাপন অসাধারণ হয়েছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।