ভালোবাসার জয় ২য় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট:
ভালোবাসার জয়
নিশি যখন পরিক্ষায় পাশ করতে পারল না, তখন নিশির মা বাবা একেবারে ভেঙে পড়ল। পরবর্তী রেজাল্ট সিটে দেখার পর জানা গেল এক বিষয়ে ফেল এসেছে। এখন আবার এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। আসলে নিশি বয়স কম তাই কিছু না বুঝে শুধু প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল।
এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল। নিশি সারাদিন রাত শুধু ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। যেহেতু নিশির এক বিষয়ে পরিক্ষা দেবে তাই আবার নিশির মা নিশিকে একটা কোচিং এ ভর্তি করে দিল। নিশি ও সময় মত কোচিং করতে লাগল।কিন্তু দেখা যেত নিশি প্রায়ই কোচিং এর উদ্দেশ্যে গিয়ে নিরব এর সাথে ঘোরাঘুরি করত। এটা মাঝে মাঝে অনেকেই দেখে ফেলত কিন্তু নিশির বাবা মা কখনো বিশ্বাস করত না। তারা শুধু মেয়ের কথা বিশ্বাস করত কিন্তু তাদের এই অন্ধবিশ্বাস এক দিন যে বিপদ ডেকে আনবে তারা তা বুঝতে পারছিল না।যদি কেউ বলত তোমার মেয়েকে দেখলাম ঘোরাঘুরি করছে, কিন্তু নিশির মা তো বিশ্বাস করত না বরং তাদেরকে রাগ করত, আর প্রমাণ দিতে বলত।এভাবেই নিশির সম্পর্ক আরো গভীরে যেতে লাগল। এখন নিশি শুধু নিরবের ভালোবাসা ছাড়া কিছুই বোঝে না।
একদিন নিশির ছিল টেস্ট পরিক্ষা, নিশি কোন রকম পরিক্ষা দিয়ে নিরবের সাথে ঘুরতে চলে গেল। এদিকে নিশির বাড়ি পাশের বান্ধবীরা সবাই চলে এলো কিন্তু নিশি আসলো না। এভাবে অনেক সময় পেরিয়ে গেল। তারপর নিশির মা ফোন দিলেও নিশি ধরে নি। প্রায় সন্ধ্যার দিকে নিশি বাড়িতে ফিরে এলো। সেই দিন নিশির বাবা মা আবারো নিশিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে মারল কিন্তু নিশির তখনো একই কথা বললো আমি বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে গিয়েছি। তার বাবা মা বললো তুমি নিরব নামে একটা ছেলের সাথে কেন ঘুরে বেরাও। তুমি জান নিরবের পরিবারের অবস্থা। তখন নিশি আবার সব মেনে নিল।
তারপর নিশি আবার পরিক্ষার জন্য বসলো। পরিক্ষা শেষ হবার পর পরই নিশির আঠারো বছর পূর্ণ হয়ে গেল। নিশি এখন জাতীয় পরিচয় পত্র বানানোর জন্য ব্যস্ত। কারণ নিশির মনে কি আছে শুধু নিশিই জানে। তারপর নিশি তার সকল কাগজ পত্র নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বানালো। কিন্তু পরিচয় পত্র সাথে সাথে পেল না। এভাবে নিশির এসএসসি পরিক্ষার রেজাল্ট দিয়ে দিল, নিশি পরিক্ষায় পাশ করলো। এখন নিশির বাবা মা নিশিকে কলেজে ভর্তি করে দিল। নিশি রীতিমত ক্লাস করতে লাগল আর নিরবের সাথে ঘুরতে লাগল।নিশি শুধু অপেক্ষা করছে কবে পরিচয় পত্র হাতে পাবে।কিছু দিনের মধ্যে নিশি পরিচয় পত্র হাতে পেল। পরিচয় পত্র হাতে পাবার সাথে সাথে নিশি তার কাপড় চোপড় একটা একটা করে নিতে শুরু করল। একদিন নিশির মা নিশিকে রাগ করল,তাই নিশি রাগ করে রাতের খাবার খায়নি। পরের দিন সকালে তার বাবার কাছে কলেজে যাবার জন্য ভাড়া চাইল, তার বাবা বলল না খেয়ে গেলে ভাড়া নেই। নিশি বলল ঠিক আছে ভাড়া লাগবে না। এই বলে নিশি বাড়ি থেকে কলেজে যাবার জন্য রওনা দিল। কিছু ক্ষণ পরে নিশি একটা কার্বিনের ছবি তার বাবা মা পাঠিয়ে দিল। (চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
বাহ! ভালোবাসার জয় দ্বিতীয় পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। তবে আজকাল বাচ্চাদের এভাবে ছেড়ে দেওয়া ভালো না মাঝে মাঝে একটু তদারকি করা ভালো। লোকজন এসে যা বলেন তা যদি বিচার বিবেচনা করে দেখতাম তাহলে ঘটনা এত দূরে যেতনা। আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে এই গল্প থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় আছে।
সত্যি আপু বাচ্চাদের আদর করে, আর তার অন্ধবিশ্বাস এর জন্য আজ এই অবস্থা। ধন্যবাদ আপনাকে।
সময়ের অভাবে আপনার লেখা গল্পের প্রথম পর্বটি পড়া হয় নি।তবে বুঝলাম এটা ভালোবাসাসংক্রান্ত গল্প।যাইহোক নিশি ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে নিজের ভবিষ্যতকে নষ্ট করে ফেলছে।কার্বিনের ছবি বলতে ঠিক বুঝতে পারছি না, তাছাড়া নিশি মনে হয় নিরবের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ফন্দি করছে পরিচয় পত্র পেলে।যাইহোক পরের পর্বে জানা যাবে, ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপু কার্বিন মানে তারা বিয়ে করে ফেলেছে,ধন্যবাদ আপু।
আমি জানতাম, ওটাকে কাবিন বলে।
ওকে আপু