অনেকদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
অনেকদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজ আমি এসেছি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সত্যি বলতে ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে সময়ের অভাবে তেমন ঘুরা হয় না কিন্তু সময় পেলে ঘুরতে মিস করি না। প্রায় দুই তিন বছর হয়ে গেল কলেজের আর যাওয়া হয় না। সম্ভবত ২০২০ সালে হয়তো একবার মাস্টার্স এর সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলাম, আর কখনো যাওয়া হয়নি। এবার যেহেতু সুযোগ পেলাম তাই যেতে মিস করিনি।আসলে কয়েকদিন আগে আমি গিয়েছিলাম আমাদের কলেজের কাছে একটা কাজে । আমার মেয়ের জন্য গার্লস স্কুলে ফরম পূরণ করার জন্। যদিও হাতে বেশি সময় ছিল না । আর যেহেতু কলেজের কাছাকাছি গিয়েছি তাই ভাবলাম কলেজ থেকে একটু ঘুরে আসি। সত্যি কলেজ মাঠে গিয়ে সব পুরনো কথা মনে পড়ে গেল। তবে কলেজে আগের মতন তেমন ঘুরার লোক পাইনি। যদিও কলেজে আগের মতন সবই আছে তবে আগের মত সেই প্রিয় মানুষগুলো আর নেই। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমে যে বিল্ডিংটা দেখতে পাচ্ছে সেটা হচ্ছে আমাদের ডিপার্টমেন্ট। সত্যি যদিও ঘুরতে গিয়েছি, তবে ক্লাসের সময় যেমন মজা পেতাম তেমন একটা মজা পাইনি পরিচিত কেউ নেই। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর দেখলাম আমার এক বান্ধবীর বোন এখানে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। যাইহোক তারসাথে দেখা হয়ে বললাম চলো কলেজটা একটু ঘুরে দেখি, তখন সে বলল আপু আমার বোন ও এসেছে তাহলে ফোন দেই আপনার সাথে দেখা করবে। তখন আমি খুশিতে তারাতাড়ি নিজেই ফোন দিলাম তখন নাজমা বললো তুই দাঁড়া আমি দশ মিনিটে আসছি। একথা শোনে আমার কাছে মনে হলো আকাশের চাঁদ পেয়েছি। সত্যি একা একা ভালো লাগছিল না তারপর অনেক দিন পর প্রিয় বান্ধবীর সাথে দেখা ভাবা যায়।আসলে আমার বান্ধবী পাশেই চাকরি করে তাই ফোন দেবার সাথে সাথে চলে আসলো। আর যখন বান্ধীকে পেলাম তখন এমনি মন ভালো হয়ে গেল। একজনকে পেয়েই মনহলো সব পরিচিত।যাইহোক তারপর আমি আর বান্ধবী মিলে সেই চেনা মাঠের ভিতর দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। এভাবে হাঁটতে অনেক ভালো লেগেছিল।
আসলে আমাদের কলেজ মাঠ অনেক ভালো। আমরা দুই বান্ধবী মিলে সেই পুরানো দিনের সব গল্প করতে লাগলাম আর ঝাল মুড়ি খেতে লাগলাম। সত্যি এভাবে বান্ধবীর সাথে দেখা হবে ভাবতে পারিনি ।যাইহোক দুজনে মিলে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলাম। অনেক গল্প গুজব হলো।আমাদের কলেজ অনেক বড় অনেক গুলো ডিপার্টমেন্ট। পুরো কলেজ ঘুরে দেখতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।তারপর আমি যতদূর সম্ভব ঘুরলাম কলেজটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি বারবার মনে হচ্ছিল আবার যদি ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে পারতাম। আসলে এখন চাইলে আর ফিরে আসা সম্ভব নয়।
আমরা দুজন মিলে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি।তবে সব কিছু আগের মতোই আছে শুধু আগের মতো আনন্দ ছিল না।আসলে কলেজে যখন পড়তাম তখন ছিল অন্য রকম আর এখন আরেক রকম।যাইহোক অবশেষে আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট এ টুকলাম। আসলে আমাদের সময়ের দুজন স্যারের সাথে দেখা করলাম আর দপ্তরি ছিল আমাদের সময়ের উনি আমাদের ভালো করেই চিনতেন। যাইহোক অনেক দিন পরে কলেজে ঘুরতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে আর বান্ধবীকে পেয়ে আরো বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি প্রিয় জিনিস গুলোর প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা থাকে সব সময়। যাইহোক দুজনমিলে বেশ ভালো একটা সময় আর কাটিয়েছি। অনেক ভালো লেগেছে। তবে আমরা সেখানে গিয়ে শুধু বাদাম আর ঝাল মুড়ি খেয়েছি। আসলে কলেজ লাইফের খাবার গুলো খেতেই বেশি ভালো লেগেছিল।সময়টা বেশ ভালো কেটেছে।আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর, রাজেন্দ্র কলেজ |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
আসলে প্রিয় জিনিস গুলোর প্রতি আলাদা ভালোবাসাটা সারা জীবনের জন্য থেকে যায়। অনেকদিন পর কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখছে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আপনার বান্ধবীকে ফোন দেওয়ার পর সেও এসেছিল, এটা জেনে তো আরো বেশি ভালো লাগলো। দুজনে একসাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলেন এবং বাদাম ও ঝাল মুড়ি খেয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। মুহূর্তটা এত সুন্দর করে শেয়ার করা হয়েছে দেখে আনন্দিত হয়েছি।
সত্যি আপু প্রিয় জিনিসের প্রতি আলাদা একটা টান থাকে।আসলে বান্ধবীকে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছিল আপ। ধন্যবাদ আপু ।
সত্যি কথা বললে এখন স্কুল বা কলেজের কথা ভাবলে অন্যরকম একটা ফিল হয়। যখন আমি স্কুল কলেজে পড়তাম বিশেষ করে স্কুলে তখন মনে হতো কবে এই জায়গা থেকে বের হব কিন্তু এখন সেই স্মৃতিগুলো যেন হৃদয়কে আঘাত করে। যাইহোক আপনি অনেকদিন পর আপনার ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে সবকিছু আগের মতো না থাকাটাই স্বাভাবিক কারণ সময়ের সাথে সাথে যেহেতু সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে ঘোরাঘুরির মাঝে আপনার বান্ধবী ছোট বোনকে দেখতে পেয়ে তার সাথে ঘোরাঘুরি করতে চাইলেন কিন্তু সে বলল যে আমার বোনও এখানে আছে। তারপর আপনি আপনার বান্ধবীকে কল দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে দুজনে একসাথে ঘোরাঘুরি করলেন জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক আশা করি খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছিলেন আপনারা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর সময় নিয়ে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনাদের ক্যাম্পাসটা কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর। প্রায় তিন বছর পর গিয়েছেন কলেজে। প্রথমে যদিও একা একা কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছিলেন, পরবর্তীতে যখন বান্ধবীর বোন কে দেখেছিলেন, তখন সে আপনার বান্ধবীর কথা বলেছিলো। দুই বান্ধবী তাহলে কলেজের ক্যাম্পাসে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন।
জি ভাই অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছি ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি করার জন্য।
শিক্ষা জীবন সবচেয়ে সুন্দর জীবন।আর সেই শিক্ষাঙ্গনে যদি বার বার ফিরে যাওয়া যায় তবে অনেক মধুর স্মৃতি মনে পড়ে যায়।আপু মেয়ের ভর্তি ফরম পূরণ করতে গিয়ে নিজের ক্যাম্পাসে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি আপু বারবার ফিরে যাওয়া গেলে অনেক ভালো হতো। ধন্যবাদ আপু।
অবশেষে তাহলে অনেকদিন পরে দুই বান্ধবী কলেজে গিয়েছিলাম যদিও অনেকদিন পরে কলেজে গিয়ে আপনাদের পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল। কলেজ লাইফটা হয়তোবা এমনই যখন শেষ হয়ে যায় তখন খুবই খারাপ লাগে কিন্তু অনেকদিন পরে যখন আবার কলেজে যাওয়া হয় তখন পুরনো কথা মনে পড়ে যায়। দুই বান্ধবী বসে ঝাল মুড়ি খেয়েছেন এবং অতীতের গল্প করেছেন যেন ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া অনেক ভালো লেগেছিল যে সেই দিন। তবে বান্ধবীকে পেয়ে একটু বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
প্রিয় ক্যাম্পাসে গেলেন অনেকদিন পর ভালো লাগলো দেখে। আসলেই প্রিয় ক্যাম্পাস যদিও আগের মতো থাকে কিন্তু সেই আগের স্মৃতি গুলো থাকে শুধু। আগের মত করে ঘোরাঘুরি করার কিংবা কারো সাথে মনের কথাগুলো শেয়ার করার মত কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই যার যার মত ব্যস্ত হয়ে পড়েন বন্ধু বান্ধব সবাই। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।