চালকুমড়া দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
চালকুমড়া দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চালকুমড়া | ছোট একটি |
ডিম | চারটি |
পিঁয়াজ কুঁচি | ৫টি |
হলুদ গুঁড়ো | ২ চামচ |
মরিচ গুঁড়ো | দের চামচ |
ধনের গুঁড়ো | ১ চামচ |
জিরার গুঁড়ো | ১/২ চামচ |
আদাবাটা | ১ চামচ |
রসুনবাটা | ১ চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
ধাপ-১
প্রথমে আমি চারটি ডিম নিয়েছি। তারপর ডিম গুলো ভেঙে একটা বাটিতে রেখে দিয়েছি। এখন চামচ দিয়ে ভালো করে ভেঙে একটা পলিথিনে ভরে মুখ লাগিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-২
এখন চুলাই একটা কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি। তারপর ডিমের প্যাকেটটা বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ দিনগুলো সিদ্ধ করে নিব।
ধাপ-৩
ডিম গুলো সিদ্ধ হলে একটা প্লেটে ঢেলে এভাবে পিস পিস করে কেটে নেব। তারপর একটু হলুদ ও লবণ মাখিয়ে নেব।
ধাপ-৪
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে আসলে মেখে রাখা ডিম গুলো দিয়ে দিলাম। ডিম গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব।
ধাপ-৫
ডিমগুলো একই প্লেটে তুলে সেই কড়াইতে কিছু পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দেব। পিঁয়াজ বাদামী রঙের হয়ে আসলে আদা রসুন বাটা দিয়ে দেব। আদা ও রসুন একটু নেড়ে সকল মসলা দিয়ে কিছু সময় কষিয়ে নেব।
ধাপ-৬
মসলা ভেতর সামান্য একটু পানি দিয়ে দেব। তারপর ধুয়ে রাখা চাল কুমড়া গুলো দিয়ে দেব। চাল কুমড়া দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ডিম গুলো দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নেব।
ধাপ-৭
কষাণো হয়ে গেল ঝোলের জন্য পানি দিয়ে দেব।পানি দিয়ে বেশ কিছু সময় রান্না করে নেব।তারপর একটু জিরার গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নেব।ব্যাস এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব। তারপর একটি বাটিতে বেড়ে পরিবেশন করব।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
চাল কুমড়া দিয়ে ডিম রান্না রেসিপি এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার করে খেয়েছি আমাদের ঢাকার মেস থেকে। আপু আপনার রেসিপিটি তৈরি প্রক্রিয়া অনেক অনেক ভালো লাগলো খুব সহজেই আপনি আমাদের সাথে চালকুমড়া দিয়ে ডিম রান্না রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রশংসনীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বলতে পারেন ডিম হলো জাতীয় খাবার। ডিম বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আপনি আজ চাল কুমড়া দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। রান্নার প্রসেস সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন আমাদের মাঝে। সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি ভাইয়া আপনাদের ভালো লাগা আমার কাছের স্বার্থকতা। ধন্যবাদ আপনাকে।
বরাবরের মতো আজকেও আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। রেসিপি পোস্টগুলি আমার ভীষণ ভালো লাগে এবং অনেক কিছু শিখতে পারি। নতুন নতুন রান্না গুলো সম্পর্কে জানতে পারি। আজকে আপনি চাল কুমড়া দিয়ে ডিম রান্না রেসিপি নিয়ে এসেছেন। ঠিক বলেছেন আমার কাছেও তাই মনে হয় মাছ-মাংস দিয়ে বেশি ভাত খাওয়া যায় না কিন্তু এভাবে রান্না করা রেসিপি গুলো দিয়ে অনেক রান্না করা ও ভাত খাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি আপনি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন এবং প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং আপনার রান্নার প্রস্তুত প্রণালী দেখে আমি শিখতে পারলাম। অবশ্যই বাসায় চেষ্টা করবো অনেক ভালো লাগলো এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া এমন রেসিপি দিয়ে অনেক ভাত খাওয়া যায়,ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপু চাল কুমড়া দিয়ে এমন করে তো কখনও ডিম রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে ডিম সেদ্ধ করে ভেজে নিয়ে চাল কুমড়া দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে আপনার রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক স্বাদ হয়েছিল খেতে। আমার কাছে একটি আন কমন রেসিপিই মনে হচ্ছে এটা কে।
খেয়ে দেখবেন আপু অনেক মজার হয়, ধন্যবাদ আপু।
চাল কুমড়ো ওর ডিম দিয়ে আপনি খুবই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। চাল কুমড়ো ছোট থাকা অবস্থায় ভাজি করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি ডিম দিয়ে খুবই চমৎকার ভাবে চাল কুমড়ো রান্না করেছেন রান্নার ধাপ গুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ভাজি খেতে অনেক মজার, আবার এভাবে রান্না করে খেতে ও অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চাল কুমড়া দিয়ে ডিম রান্না করলে আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আমি কয়েকবার খেয়েছি, এছাড়া আমাদের ভাইয়া এই রেসিপিটি অনেক বেশি পছন্দ করে জেনে খুবই ভালো লাগলো। এখন শীতের মৌসুম আর শীতের মৌসুমে বাজারে ছোট জালি টাটকা চাল কুমড়ো পাওয়া যায় আর এই চাল কুমড়ো ভাজি থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের রেসিপি করলে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। অনেকদিন হলো এই রেসিপিটি খাওয়া হয় না। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া আপনার ভাইয়ের অনেক পছন্দ এই খাবার গুলো। সত্যি ভাইয়া অনেক সুস্বাদু ছিল এই রেসিপি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু জালি কুমড়া দিয়ে ইলিশ মাছ কিংবা চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। তবে এভাবে কখনো ডিম রান্না করা হয়নি। আপনার কাছ থেকে একদম নতুন রেসিপি শিখতে পারলাম। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝতে পারছি ভাইয়ার কেন এই রেসিপি এত পছন্দ। একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদিন অবশ্যই তৈরি করে খাবেন অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ডিম ভাজি করে এরকম প্রস্তুত করা রেসিপি মাঝে মাঝে খাওয়া হয় বিশেষ করে আলু এবং পেঁপে দিয়ে খেয়েছি চাল কুমড়া দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি।
তবে আপনার ভিন্নভাবে প্রস্তুত করা দেখে খুব লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই মজা হয়েছিল খেতে।
সত্যি ভাইয়া অনেক মজা হয়েছে খেতে একদিন খেয়ে দেখতে পারেন।
আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।চাল কুমড়ো দিয়ে কোনদিন ডিম রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে গেলাম। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপি টি শেয়ার করেছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
বাহ আপনার ভিন্ন ধরনের রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে এর আগে কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো লাগবে। যেহেতু চালকুমড়া দিয়ে রান্না করলেন ডিম ভুনা। অনেক ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রশংসনীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।