হঠাৎ বাবার বাড়ি যাওয়া অনুভূতি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ

PhotoCollage_1673106399502.jpg

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো হঠাৎ বাবার বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি । আসলে কয়েকদিন দিন আগে আমার ভাইয়ের বিয়ে খেয়ে এসেছি।।এখন যাবার কোন ইচ্ছে নেই। তবে সকাল বেলা মা ফোন দিয়ে বলল,তাই বিশেষ কারণে যেতে হলো।যে কারণে যেতে হলো হয়তো সেই বিষয় নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করবো। আজ অনেক শীত, শীতের ভিতরে সকাল থেকে বের হই হই করে বেরুতে বেরুতে আমাদের প্রায় দুইটা বেজে গেছে। তারপর আমরা একটা রিজার্ভ অটো নিয়ে গিয়েছি।যাবার সময় রাস্তায় অনেক শীত লেগেছে, আমার মনে হয় আজ অনেক শীত পড়েছে,আসলে বাইরে বের হয়নি তো তাই মনে হচ্ছে বেশি শীত। তো চলুন শুরু করি আজকের পোস্টঃ

20230107_134429.jpg

20230107_134320.jpg

প্রথমে আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে অটোতে উঠলাম। অটো উঠতে উঠতে কি যে শীত বলার মতো নয়। আমরা গিয়েছিলাম চারজন আমি আমার হাসবেন্ড ও আমার দুই মেয়ে।আমরা যাবার সময় রাস্তার দুই পাশে বেশ সুন্দর লাগছে। আসলে নদীর পানি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। আমি অটো থেকে ছবি গুলো তুলছি। আমরা তিন জন শীতের ভালো কাপড় চোপড় পড়েছি কিন্তু আমার বড় মেয়ে শীতের তেমন কাপড় চোপড় পড়েনি।আমরা যখন অটোতে চড়লাম তখন মেয়ের অনেক শীত লাগল।আমি যদিও মেয়ের জন্য মোটা জ্যাকেট নিয়েছিলাম।এমনিতে পড়বে না। যখন শীত বেশি লাগল তখন বলল আম্মু আমাকে জ্যাকেট দেওআমি পড়বো। আসলে ঠেলায় পড়লে যা হয় আরকি।।

20230107_134201.jpg

20230107_133920.jpg

আমরা যাবার সময় রাস্তার পাশের দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর লাগছে।।এখানে তিন রাস্তার মোড়ে আমি কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আসলে অটোওয়ালা একটু বাইরে গিয়েছিল তাই আমি অটো থেকে নেমে ছিলাম।সত্যি বলতে অনেক দিন এভাবে এখানে ঘুরা হয়নি। সব সময় অটোতে যাই তাই আর দাঁড়ানো হয় না।আজ যখন সুযোগ পেলাম তাই আর হাত ছাড়া করলাম না। যদিও হঠাৎ করে যাওয়া তারপরে অনেক শীত,তবে ভালোই লেগেছিল।মনে হচ্ছেলি আরো কিছু ক্ষণ এখানে ঘুরাঘুরি করি, কিন্তু এদিকে অটো চলে আসলো, আমাদের তারাতাড়ি যেতে হবে কারণ আবার ফিরে আসতে হবে।

20230107_133806.jpg

20230107_133613.jpg

এটা হচ্ছে আমাদের ধুলদি বাজার এর এরিয়া। ধুলদি বাজার এর জায়গাটা অনেক সুন্দর। কলেজে যাবার সময় এই স্টানে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতাম বাসের জন্য। তাই আজ এই জায়গায় একটু দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ ভালোই লাগছিল। সত্যি বলতে বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই স্টানে দাঁড়ানো হয়নি, তাই আজ কিছু ক্ষণ দাঁড়াতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।

20230107_133853.jpg

20230107_133844.jpg

20230107_133709.jpg

সবশেষে আমাদের ধুলদি বাজার থেকে কিছু ফল ও মিষ্টি নিলাম। আসলে এই ধুলদি বাজারে আগে মিষ্টির দোকান ছিল না। মাস দুইয়েক হলো এখানে মিষ্টির দোকান দিয়েছে। তবে মিষ্টি গুলোর মান অনেক ভালো। এর ভাইয়ের দোকান হলো আমাদের বাহিরদিয়া বাজারে। আমরা আগে বাহির দিয়া থেকে মিষ্টি নিতাম কিন্তু এবার ভাবলাম এখানে দোকান আছে তাই এখান থেকে নিই । আসলে এখানে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেশি নিয়েছে। বাহিরদিয়া থেকে ২৫০ টাকা কেজি আর ধুলদি থেকে ২৬০ টাকা কেজি নিল।তারপর কিছু ফলমূল নিলাম। যাইহোক সব মিলে অনেক ভালো সময় পার করেছি। হঠাৎ যাওয়া হলেও আজই অনেক আনন্দ অনুভব করেছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনলিংক

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

Sort:  
 2 years ago 

প্রথমেই বলি আপু আসলে কয়েক দিন প্রচন্ড পরিমাণ শীত পড়ছে।তেমন রোদের মুখ দেখা যাচ্ছে না।সব মিলিয়ে মানুষ কিন্তু জমে গেছে সেই শীতে। যাহোক আপনি আপনার বাবার বাড়িতে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। একটা কথা খুব ভালো লাগলো যে, ঠেলায় পড়লে ঢালাই সালাম করতে হয়। আপনার মেয়ে শীতের জন্য মোটা জ্যাকেট গায়ে দিয়েছে।আপনি বিয়ের পরে এই প্রথম ধুলদি বাজারে আসলেন। কিছু ফল, মিষ্টি কেনাকাটা করলেন।যদিও এর আগে মিষ্টির দোকান ছিল না মাস দুয়েক আগে এখানে মিষ্টির দোকান দিয়েছে।

 2 years ago 

জি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন কয়েক দিন অনেক শীত পড়েছে।কিন্তু হঠাৎ করে যেতে হলো তাই আরকি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে বাইরে বের হলে বোঝা যায় যে কতটা শীত ৷ আপু আপনি তো পুরো পরিবার মিলে যাচ্ছেন আপনার বাবার বাড়ি ৷ আসলে এভাবে করে বেড়াতে বেশ ভালই লাগে ৷ নিশ্চয়ই অনেক মজা হবে আপনার বাবার বাড়িতে যেহেতু শীতের দিন বলে কথা ৷

এটা হচ্ছে আমাদের ধুলদি বাজার

বাজারের নামটা শুনে হাসি পাচ্ছে ধূলদি বাজার ৷ যা হোক আপনি বিয়ের আগে কলেজে যাওয়ার পথে বাসের জন্য অপেক্ষা করতেন ৷ শুনে ভালো লাগলো ৷
ধন্যবাদ

 2 years ago 

হঠাৎ করে বাবার বাড়িতে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যেহেতু কিছুদিন আগে আপনার ভাইয়ের বিয়ে খেয়ে বাবার বাড়ি থেকে এসেছেন তাই হঠাৎ করে মায়ের ডাকে সেখানে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে অনেক সময় বাচ্চারা শীতের কাপড় পড়তে চায় না। তাইতো আপনার বড় মেয়ে ঠান্ডার প্রকোপের কারণে শেষ পর্যন্ত শীতের কাপড় পড়তে বাধ্য হয়েছে। যাইহোক বাড়ির জন্য মিষ্টি কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। বাড়িতে অনেক সুন্দর সময় কাটুক এই প্রত্যাশাই করি।

 2 years ago 

জি আপু আমার বড় মেয়ে শীতের কাপড় পড়তেই চায় না।আমার পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আসলে কয়েক দিন ধরে অনেক শীতের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বের হওয়ার মতো অবস্থা নেই।আমিওতো ঢাকা থেকে আসার পরে গ্রামে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম কিন্তু অবস্থা দেখে আবার ক্যানসেল করে দিয়েছি।কারণ গ্রামে গেলে বাচ্চাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।আপনি বিশেষ কারণে যাচ্ছেন ঠিক আছে কিন্তু গাড়িতে করে বেশ ঘোরাফেরা করলেন।যাওয়ার সময় কিছু মিষ্টি নিলেন ধুলদি বাজার থেকে মিষ্টি দেখে তো বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক ভালো হবে।তবে সাবধানে থাকবেন এবং সুস্থ ভাবে ফিরে আসবেন এই কামনা করি।

 2 years ago 

সত্যি আপু কয়েক দিন ধরে যে পরিমাণে শীত পড়ছে বলার মতো নয়,আসলে আপু প্রয়োজন ছাড়া তেমন বের হয়নি।ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপু ঢাকায় ও অনেক শীত এখন।শৈত্য প্রবাহ এখন অনেক জায়গায় খুব বেশি হচ্ছে।যাই হোক, আপনি মায়ের ফোন পেয়ে আবার বাবার বাড়ি গেলেন। আপ্নারা অটো রিজার্ভ করে গেলেন।কিন্তু অটোতে বাতাস আরো বেশি লাগে। যাওয়ার পথে আবার মিষ্টি, ফল নিলেন। খুব ঠান্ডা বাতাস সাবধানে থাকবেন সবাই। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু অটোতে আরো বেশি বাতাস লাগে। যাইহোক আপু দোয়া করবেন যেন ভালো ভাবে ঘুরে আসতে পারি।ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

বাবার বাড়ি যেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আর হঠাৎ করে গেলে তো আরো অনেক ভালো লাগে। বাইরে প্রচুর ঠান্ডা। তাই গাড়ি করি যেতেও অনেক কষ্টকর। আর আপনার বাচ্চাগুলো শীতে মনে হয় একটু সমস্যা হল। তবে বাবার বাড়ি যাওয়ার সময় খুব চমৎকার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মিষ্টিগুলো খেতে মনে হয় অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে অনুভূতিটি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

বাবার বাডিতে যাওয়া মানে নিজেকে যুদ্ধে জয় করা। বিয়ের পরে বাবার বাডিতে যাওয়া যে কত আনন্দের সেটা একমাত্র যে যায় সেই জানে।কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশের সব জায়গায় প্রচণ্ড শীতের ধাক্কা। আপনার মেয়ে শীতের কাপড় পরেনি সেটার মজা আসলে সে পরে বুঝতে পেরেছে। আর বুঝতে পেরেই তাড়াতাড়ি শ্বীতের কাপড় পড়েছে। স্কুল বা কলেজ জীবনের স্মৃতি এখনো খুব মনে পড়ে। আপনি আপনার কলেজের রাস্তায় একবার দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু এমনহ সুন্দর একটি মুহূর্তের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58560.83
ETH 2491.85
USDT 1.00
SBD 2.40